ডোমেইন-হোস্টিং কি?ডোমেইন-হোস্টিং কত প্রকার?কি কি কাজে ডোমেইন-হোস্টিং ব্যাবহার হয়?

অনেকেই ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট অথবা প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েব সাইট খুলতে চান। এজন্য প্রথমেই দরকার একটি ডোমেইন নেম। তারপর ডোমেইনটি হোস্ট করার জন্য ওয়েব স্পেস।পৃথিবীতে হাজার হাজার কোম্পানি আছে ডোমেইন এবং হোস্টিং সেবা প্রদানের জন্য। কিন্তু সবগুলোই ভাল সার্ভিস প্রদান করে না। অনেকেই আছেন যারা হুট করে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে ফেলেন। পরে এটি থেকে নিজের মনের মতো সুবিধা না পেলে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কিছু করার থাকে না।তাই যে সব বিষয় সম্পর্কে অবগত না হয়ে ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনা উচিত না বলে আমি মনে করছি তা আগেই জেনে নিন।

সহজ ভাষায় আমরা বলতে পার,হোস্টিং হচ্ছে ইন্টারনেটে কোন একটি জায়গা, যেখানে আপনি আপনার কোন তথ্য রাখবেন এবং তা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে রক্ষণাবেক্ষণ করবেন এমন একটি মাধ্যম। সাধারনভাবে, আমার কোন একটি ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিং ব্যবহার করি। কারণ, ওয়েবসাইটের সব ডকুমেন্ট যেমন – টেক্সট, ইমেজ, অন্যান্য ফাইল, অডিও/ভিডিও কন্টেন্ট, ব্যাবহারকারীর তথ্য বা ডাটা এগুলো ওয়েবসাইটে দেখানোর জন্য আমাদের হোস্টিং ব্যবহার করতে হয়। হোস্টিং ছাড়া ইন্টারনেটে দুনিয়ায় কোন ওয়েবসাইট স্টোর করে রাখতে পারে না।যেমন-গুগল,মাইক্রোসফট,আমাজন ইত্যাদির নিজস্ব হোস্টিং এ ওয়েবসাইট গুলো প্রতিটিই আলাদা আলাদা হোস্টিং-এ চলে। ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি অনুযায়ী হোস্টিং-এর সাইজ (MB/GB) এবং দাম নির্ভর করবে।

অবশ্যই, ওয়েব সার্ভার এছাড়াও রক্ষা করা প্রয়োজন, সফ্টওয়্যার ইনস্টল ও আপডেট করা হবে, ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা আছে, অনুকূল, সুরক্ষিত ও Monitor করা, এবং ক্লায়েন্ট হিসাবে প্রয়োজন সাহায্য করা হবে. তাই ওয়েব হোস্টিং শুধুমাত্র ঘর ওয়েবসাইটের কম্পিউটার প্রদান সঙ্গে যুক্ত নয়; এটি যারা অন্যান্য প্রযুক্তিগত এবং সমর্থন ফাংশন সমস্ত জড়িত থাকে.একটি সাধারণ ওয়েব হোস্টিং প্ল্যাটফর্মটি সাবধানতার সাথে পরিচালিত ওয়েব সার্ভারগুলির সংকলন করে থাকে যা আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য সুরক্ষিত রাখে। অর্থপ্রদানকারী ব্যবহারকারী হিসাবে, আপনি হোস্টিং প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযোগ করতে পারেন এবং আপনার সাইটটি পরিচালনা করতে পারেন।

ডোমেইন কেনার আগে যা ভাববেন-

১. ডোমেইন নেম কেমন হবে-

  • মানুষ ডোমেইন মানেই ডট কমকে মনে করে থাকে। তাই সব সময় ডট কমকেই প্রাধান্য দিতে হবে।
  • সহজে মনে রাখা এমন হতে হবে।
  • যেন সহজে বানান করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • যেন শ্রুতিমধুর হয়, উদ্ভদ কোনো ডোমেইন পছন্দ করে পাঠকে ভড়কে দেবার প্রয়োজন নেই।
  • ডোমেইন যথা সাধ্য ছোট রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • যেন অন্য কোনো প্রতিষ্টিত ওয়েবসাইটের নামের সাথে গুলিয়ে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

২. ডোমেইন রেজিস্ট্রার পছন্দ করবেন যেভাবে-

  • যেহেতু বাংলাদেশে পেপাল ও ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা নাই, সেহেতু বাংলাদেশি ডোমেইন রেজিস্ট্রার থেকেই কিনতে হবে।ডোমেইন কেনার আগে কয়েকটা রেজিস্ট্রারের তালিকা তৈরি করুন। তারপর তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
  • সবাইকে জিজ্ঞাসা করুন ডোমেইনের ফুল কন্ট্রোল প্রদান করে কি না। ফুল কন্ট্রোল ছাড়া ডোমেইন কিনবেন না
  • ডোমেইনের দামের ব্যাপারে চিন্তা করুন। অনেকেই ২০০-৪০০ টাকায় ডোমেইন অফার করে থাকে। এদের পরিহার করুন। কারন ICANN ডোমেইন নেম নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান।  তাদের ফি ১৮ সেন্ট আর .com এবং .net Verisign এর মাধ্যমে রেজি করতে হয়। তাদের প্রাইস ৫০০ টাকার উপরে। তাই বাংলাদেশি রিসেলাররা কিভাবে এই টাকায় দিবে চিন্তা করুন।

হোস্টিং কেনার আগে যা ভাববেন-

ডোমেইন পছন্দ করা এবং কেনা শেষে ডোমেইনটা হোস্ট করতে হবে। হোস্টিং ছাড়া ডোমেইন দিয়ে কোন কাজ হবে না। তাই হোস্টিং প্রোভাইডার নির্বাচন করার আগে কি কি বিষয় ভেবে দেখতে হবে তা জেনে নেই।

১. বাজেট-

প্রত্যেকেরই একটা আনুমানিক বাজেট থাকে যার মধ্যে সে হোস্টিং কিনবে। একই সাথে ভাল মানের এবং কম টাকার মধ্যে কিনতে হলে অবশ্যই আপনাকে বাজার ঘুরে দেখতে হবে। আপনার বাজেট নির্ধারণ অবশ্যই বাস্তব সম্মত হতে হবে।একটা কথা মনে রাখতে হবে যেমন টাকা পে করবেন তেমন সার্ভিস পাবেন। আপনি যেমন ডিমের দামে মুরগী পাবেন না তেমনি হোস্টিং এর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। একটা ডেডিকেটেড সার্ভারের প্রাইস ১৫০-৫০০ ডলার প্রতি মাসে এখন আপনি যদি ৫০ জিবি স্পেস ২ ডলার মাসে চান তাহলে আপনাকে ডাউনটাইম, সাইট স্লো লোডিং এসব বিষয় সহ্য করতে হবে। তাই কেনার আগে এ বিষয়টি ভেবে দেখুন। সস্তার তিন অবস্থা এই কথাটি মাথায় রাখুন।

২.ডিস্ক স্পেস-

আপনাকে স্পেস এর কথা চিন্তা করতে হবে। আপনার ওয়েব সাইটের জন্য কতটুকু স্পেস লাগবে তা হিসাব করে নিন। আপনি যদি ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট করতে চান তাহলে ২০০-৫০০ এমবি স্পেসই যথেষ্ট। আর আপনি যদি চিন্তা করেন ছবি, গান, ভিডিও রাখবেনতবে আপনাকে বড় ওয়েব স্পেসের দিকে নজর দিতে হবে। অনেকেই দেখা যায় ৫০০ এমবি হোস্টিং যথেষ্ট সাইট হোস্ট করার জন্য কিন্তু কিনে ফেলেন ৫-৫০ জিবি। বছর বছর টাকা দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু ব্যবহার করতেছেন ৩০০ এমবি। তাই অযথা স্পেসের জন্য অতিরিক্ত টাকা না দিয়ে সবচেয়ে ছোট প্লান থেকে শুরু করুন। আপনার যদি স্পেস বেশি প্রয়োজন পড়ে তাহলে পরবর্তী প্লানে আপগ্রেড করে নিবেন। এবং প্রায় সব কোম্পানিই আপগ্রেড সুবিধা দিয়ে থাকে।আনলিমিটেড স্পেসের ফাঁদে পা দিবেন না। এটা একটা মার্কেটিং ট্রিকস। কোন কোম্পানিরই আনলিমিটেড স্পেস দেয়া সম্ভব না। একবার চিন্তা করুন তো আপনি মার্কেটে আনলিমিটেড হার্ডডিস্ক দেখেছেন কি না। সার্ভারও আমাদের পিসির মতোই।

৩. ব্যান্ডউইথ-

প্রতিবার পাঠক / দর্শক যতগুলো পেজ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে, ততগুলো পেজ, ছবি, গান, ভিডিও অর্থাৎ ওইসব পেজে যা কিছু আছে সবগুলোই পাঠকের কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়। প্রাথমিক অবস্থায় একটা সাইটের ১ জিবি ব্যান্ডউইথ ও যথেষ্ট। পারসোনাল সাইটের জন্য এর চেয়ে বেশি লাগার কথা না। আর আপনার সাইটে যদি প্রচুর ইমেজ, ভিডিও ইত্যাদি থাকে তাহলে প্রচুর ব্যান্ডউইথ লাগতে পারে। ১০-১০০ জিবি অথবা তারচেয়ে ও বেশি।

৪. আপটাইম/SLA গ্যারান্টি-

একটি ওয়েবসাইটের জন্য আপটাইম বিষয়টি খুবই জরুরি। হোস্টের সার্ভার যতক্ষন সচল থাকবে, আপনার ওয়েবসাইটও ততক্ষন সক্রিয় থাকবে। এটা কেবলমাত্র পাঠকের জন্যই গুরুত্বর্পূণ নয়, বরং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও অনেক গুরুত্ববহন করে। পাঠক একবার আপনার ওয়েবসাইটে আসে দেখলো আপনার ওয়েবসাইট কাজ করছে না, তখন তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং সে ভবিষ্যতে নাও আসতে পারে। ঠিক তেমনি সার্চ ইঞ্জিনের বট ইনডেক্সের সময় ওয়েবসাইট ডাউন থাকলে, সে ফিরে যাবে এবং আপনি আপনার ওয়েবসাইট ইনডেক্স হওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন।এখন প্রতিটি হোস্টিং কোম্পানিই ৯৯.৯% টাইম সক্রিয় থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু এদের প্রকৃত আপটাইমের হিসেব পাওয়া সম্ভব নয়। তাই কেনার আগে গুগলে যে কোম্পানি থেকে কেনার কথা চিন্তা করছেন সে কোম্পানির নামের সাথে আপটাইম শব্দটি লাগিয়ে সার্চ দিন।যে কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনবেন সেই কোম্পানির নাম লিখে গুগলে  আপটাইম সম্পর্কে জানতে পারবেন।আর কোম্পানি যদি কোন মাসে আপটাইম গ্যারান্টি রক্ষা না করতে পারে তাহলে সে জন্য ক্রেডিট প্রদান করে কি না চেক করে নিতে হবে। কোম্পানির ওয়েব সাইটে টার্মস অব সার্ভিসেস লিংকে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত লেখা থাকে।

৫. মানিব্যাক গ্যারান্টি-

মানিব্যাক গ্যারান্টি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। অনেক কোম্পানিই ৩০ দিনের মানিব্যাক গ্যারান্টি দিয়ে থাকে। কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন কোম্পানি মানিব্যাক গ্যারান্টি দিচ্ছে কিনা।

৬. প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক অবস্থা-

হোস্টিং কেনার আগে হোস্টিং কোম্পানি ভাল না মন্দ তা জেনে নেয়ার চেষ্টা করুন। কোম্পানি সম্পর্কে ইউজারদের দৃষ্টি ভঙ্গি কেমন তা কোম্পানির রিভিউ দেখলেই বুঝতে পারবেন। যেমন- গুগলে গিয়ে Hostpair Review লিখে সার্চ দিলে Hostpair সম্পর্কে ব্যবহারকারিদের মতামত জানতে পারবেন।কোম্পানি যেসব বিলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা বৈধ্য উপায়ে করে কি না। নাকি চোরাই সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা নিশ্চিত হয়ে নিন। যারা চোরাই স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সার্ভিস দেয় তাদের থেকে ভাল কিছু আশা করা ঠিক হবে না।

৭. সাপোর্ট-

আজকের দুনিয়ায় সাপোর্ট একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার সার্ভার যদি কখনো ডাউন হয় আর যদি তা জানাতে এবং উত্তর পেতে কয়েক দিন লেগে যায় তাহলে লক্ষ ভিজিটর হারাতে পারেন। আর যদি আপনি রিসেলার ক্লাইন্ট হোন তবে তো মহা বিপদে পড়বেন। আপনার ক্লাইন্টকে কোন উত্তর দেয়ার মতো কিছু থাকবে না। তাই কোম্পানির সাপোর্ট কত দ্রুত তা নিশ্চিত হয়ে নিন। হোস্টিং কোম্পানি জিজ্ঞাসা করুন তাদের গ্যারান্টেড সাপোর্ট রেসপন্স টাইম কেমন। এবং কি কি মাধ্যমে সাপোর্ট দিয়ে থাকে।

৮. হোস্টিং ফিচার-

প্লানগুলোর মধ্যে কোন লিমিট থাকলে সেটা অনেক সময় উল্লেখ করা থাকে না,তাই প্লানগুলোর তুলনা করে আপনার চাহিদার সাথে ব্যাপার গুলো মিলে কিনা তা চেক  দেখে নিন আর আপনি যদি এএসপি ডট নেটে সাইট বানাতে চান তাহলে আপনার উন্ডডোজ হোস্টিং লাগব এবং  লিনাক্স হোস্টিং এ চলবে না তাই আপনার যে যে ফিচার প্রয়োজন তা তারা দিতে পারছে কি না চেক করে দেখে নিন।

৯. লিমিটেশন জেনে নেওয়া-

আপনি আপনার হোস্টিং এ কি কি হোস্ট করতে পারবেন এবং কতটুকু স্পেস, ব্যান্ডউইথ, সিপিউ ব্যবহার করতে পারবেন তা টার্মস অব সার্ভিসেস পেজে দেয়া থাকে। তাই কোম্পানির টার্মস অব সার্ভিসেস পড়ে নিতে হবে।

১০. কন্ট্রোল প্যানেল-

আপনার ওয়েব সাইট ম্যানেজ করার জন্য কন্ট্রোল প্যানেল প্রয়োজন। কন্ট্রোল প্যানেলের সাহায্যে আপনি আপনার ওয়েব সাইট সহজেই ম্যানেজ করতে পারেন। ওয়েব হোস্টিং এ সব চেয়ে সহজ এবং অধিক ফিচার সমৃদ্ধ কন্ট্রোল প্যানেল হচ্ছে সিপ্যানেল। তাই সবসময় সিপ্যানেল হোস্টিং নেয়ার কথা চিন্তা করুন।

১১. সার্ভার লোড-

সাভার ওভার লোড কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন। আপনি হোস্টিং কোম্পানিকে সার্ভারের টোটাল কোর এবং প্রসেসর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। যদি সার্ভার কোর ৮টা হয় এবং তাদের সার্ভার লোড ৮ এর উপরে হয় তাহলে সার্ভার ওভারলোড। এবং ওভারলোড সার্ভারে সাইট হোস্ট করলে সাইট লোড হতে বেশি সময় নিবে।

এসব বিষয় খেয়াল রেখে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনলে আশাকরি ভাল মানের হোস্টিং কিনতে পারবেন।

এখন আমারা ওয়েবহোস্টিং সম্পকে জানি! ওয়েব হোস্টিং মুলত কত প্রকার ও কি কি?

ওয়েব হোস্টিং মুলত ৬ প্রকারঃ

১/বিনামূল্যে হোস্টিং করা  (Free Hosting)

২/শেয়ারড হোস্টিং (Shared  Hosting)

৩/রিসেলার হোস্টিং(Reseller Hosting)

৪/ডেডিকেটেড হোস্টিং (Dedicated Hosting)

৫/ভিপিএস হোস্টিং বা VPS (Virtual Private Server)

৬/ ক্লাউড হোস্টিং (Cloud Hosting)

বিনামূল্যে হোস্টিং  (Free Hosting)

কিছু হোস্টিং কোম্পানি আছে যারা ফ্রি তে আপনাকে হোস্টিং ব্যবহার করতে দিবে। কিন্তু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে যেমন Bandwidth/Monthly Traffic খুব কম থাকে।নিরাপত্তা শক্ত হয় না, কোন ডোমেইন নামও পাবেন না।

বিনামূল্যে হোস্টিং  (Free Hosting) সুবিধাঃ
  • টাকা লাগে না
  • অনন্য ফিচার গুলো ফ্রি’তেই ব্যবহার করতে পারবেন
বিনামূল্যে হোস্টিং  (Free Hosting) অসুবিধাঃ
    • ব্যান্ডউইথ কম
    • হোস্টিং ধীর গতি সম্পন্ন হয়
    • সিকিউরিটি কম

শেয়ারড হোস্টিং (Shared  Hosting):

শেয়ারড হোস্টিং সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রচলিত। আমরা যে হোস্টিং গুলো ব্যাবহার করছি বা সাধারনত হোস্টিং প্রোভাইডাররা যে হোস্টিং অফার করে থাকে তা সবই শেয়ারড হোস্টিং। প্রফেশনাল বা কোন বড় সাইটের একটা স্বয়ংসম্পূর্ন সার্ভারের নির্দিষ্ট পরিমান সার্ভিস দরকার। এই সমস্ত সুবিধা নিজস্ব সার্ভারে নিয়ে আসতে গেলে বেশ ব্যায়বহুল হয়ে যায়। এদের জন্য Shared Hosting উপযুক্ত। এই সার্ভারের নিরাপত্তা কম  থাকে কারন এখানে একসাথে অনেক Client এর সাইট(১০ থেকে শুরু করে আরও বেশি) একসাথে থাকে। এছাড়া আনলিমিটেড ডেটাবেস, ইমেইল, ব্যান্ডওয়াইডথ এসব পাবেন না, সব সীমিত।

শেয়ারড হোস্টিং  (Shares Hosting) সুবিধাঃ
  • অনেক সস্তায় এবংকম দামেই কিনতে পারবেন।
  • একটি নতুন ওয়েবসাইটেরজন্য সেরা হোস্টিং।
শেয়ারড হোস্টিং  (Shared Hosting) অসুবিধাঃ
    • নিরাপত্তা কম থাকে
    • ডেটাবেস ও ব্যান্ডইউথ সীমিত

রিসেলার হোস্টিং(Reseller Hosting):

রিসেলার হোস্টিং মূলত আপনি অন্যদের থেকে হোস্টিং কিনে আবার অন্য গ্রাহকের কাছে বিক্রি করার জন্য নির্মিত একটি ভার্চুয়াল হোস্টিং অ্যাকাউন্ট।সাধারণত আপনি যে কোম্পানি এর কাছে থেকে রিসেলার হোস্টিং কিনবেন তারা আপনাকে হোস্টিং ম্যনেজ করার সম্পূর্ণ সরঞ্জাম প্রদান করবে।“হোস্টিং কোম্পানি হিসেবে নিজের কোম্পানিকে উপস্থাপন করার জন্য এটি সহজ পদ্ধতি,” ।

রিসেলার হোস্টিং  (Reseller Hosting) সুবিধাঃ
  • দাম কম
  • ওয়েবসাইট তদারকি করা সহজ
রিসেলার হোস্টিং  (Reseller Hosting) অসুবিধাঃ
    • মাঝে মধ্যে সার্ভার স্লো থাকে
    • সাপোর্ট ঠিকমত পাওয়া যায় না

ডেডিকেটেড হোস্টিং (Dedicated Hosting):

ডেডিকেটেড হোস্টিং এর জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার প্রয়োজন। এটা অনেক ব্যায়বহুল। যদি আপনার ওয়েবসাইট অনেক অনেক বড় হয় এবং শক্ত নিরাপত্তা দরকার তখন এই হোস্টিং করা চলে। এখানে আপনি আপনার খরচ পরিমাণ হার্ডওয়্যার পাবেন। যত ব্যস্ত সাইট হবে তত বেশি পাওয়ারফুল হার্ডওয়্যার লাগবে।

ডেডিকেটেড হোস্টিং ২ প্রকার—

Managed Hosting: হোস্টিং প্রোভাইডাররাই সব করে দেবে যেমন নিরাপত্তা, সার্ভার সেটাপ, নেটওয়ার্ক কনফিগার, কোন সফটওয়ার ইনস্টল দেয়া ইত্যাদি এজন্য তাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হবে।

Unmanaged Hosting: আপনি যদি Server administrator হন অর্থ্যাৎ আপনি যদি নিজেই আপনার এই ওয়েব সার্ভারের সকল কাজ করে নিতে পারেন তাহলে এটা হবে Unmanaged Hosting. এতে আপনার অনেক অর্থ সেভ হবে। সার্ভার ম্যানেজ করা শেখা যায়। ওয়েবে হাজারটা টিউটোরিয়াল আছে ইচ্ছে করলে শিখে নিজের কাজ নিজেই চালাতে পারেন।

ডেডিকেটেড হোস্টিং  (Dedicated Hosting) সুবিধাঃ
  • অনেক বেশি ট্রাফিক বা ভিসিটর্স handle করতে পারে।
  • এই রকমের হোস্টিং অনেক নিরাপদ (secure) .
  • কর্মক্ষমতা অন্যদের থেকে অনেক গুনে বেশি।
  • ওয়েবসাইট বা ব্লগ অনেক দ্রুত কাজ করবে।
ডেডিকেটেড হোস্টিং  (Dedicated Hosting) অসুবিধাঃ
    • দাম বেশী
    • সার্ভার ম্যানেজ করা একটু জটিল
    • সার্ভার ম্যানেজ করতে দক্ষ হতে হয়

ভিপিএস বা VPS (Virtual Private Server) হোস্টিং:

শেয়ারড আর ডেডিকেটেড হোস্টিং এর মাঝামাঝি হল ভিপিএস হোস্টিং। ডেডিকেটেড সার্ভারে সব হার্ডওয়্যার রিসোর্স একা আপনাকে দিয়ে দিবে এবং আপনার সাইট একটি সার্ভারে থাকবে। আর শেয়ারড হোস্টিং এ আপনার সাইটের সাথে থাকবে আরো হাজারটা সাইট। ভিপিএস হোস্টিং এ সাধারনত একটা ডেডিকেটেড সার্ভার কয়েকজনকে ভাগ করে দেয়। যেমন ১৬ জিবি র‍্যামের একটা সার্ভার আপনাকে দিল ৪ জিবি এবং বাকিগুলি আরো ৩ জনকে দিল এভাবে সব রিসোর্স ভাগ/সীমাবদ্ধ করে দেয়। ডেডিকেটেড সার্ভারের মতই মোটামুটি নিজের মত যেকোন সফটওয়্যার ইনস্টল দেয়া যায়। সাধারনত তখন এরুপ হোস্টিং প্যাকেজ নিবেন যখন একটা ডেডিকেটেড সার্ভারের সব রিসোর্স আপনার লাগবেনা, তাহলে কাজও হল কিছু অর্থ সেভ হল।

ভিপিএস হোস্টিং  (VPS Hosting) সুবিধাঃ
  • অনেক দ্রুত এবং এর কর্মক্ষমতা অনেক উচুস্থরের।
  • Share hosting থেকে অনেক গুন্ বেশি ট্রাফিক বা ভিসিটর এ হাতল (handle) করতে পারে।
  • Security  হিসাবে দেখতে গেলে vps server অনেক নিরাপদ  (secure).
ভিপিএস হোস্টিং  (VPS Hosting) অসুবিধাঃ
  • খরচ বেশী
  • রিসোর্স সীমাবদ্ধ

ক্লাউড হোস্টিং  (Cloud Hosting) :

ক্লাউড হোস্টিং আজ ব্লগার এবং ওয়েবসাইট মালিকদের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রচলিত এবং ভরসার হোস্টিং সার্ভিস হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এর কর্মক্ষমতা এবং স্পিড অনেক উন্নত মানের এবং এই হোস্টিং অনেক নিরাপদ। এখন  cloud hosting অনেক জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ক্লাউড হোস্টিং এ অনেক গুলি ওয়েব সার্ভার একসাথেই রাখা হয় এবং তাই আপনি আপনার প্রয়োজন হিসেবে সার্ভারের কিছু প্রয়োজনীয়তা যেমন cpu, RAM বা storage বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারবেন। এতে, যখনি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিসিটর বাড়বে আপনি অনেক সহজে সেই হিসেবে নিজের ওয়েব সার্ভারের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

ক্লাউড হোস্টিং (Cloud Hosting) সুবিধা:
  • সার্ভার ডাউন (server down) হওয়ার সুযোগ অনেক কম।
  • কর্মক্ষমতা অনেক উন্নত এবং বেশি। এবং, নিজের প্রয়োজনীয়তা হিসেবে বাড়ানো বা কমানো যাবে।
  • ওয়েবসাইটের বেশি ট্রাফিক বা ভিজিটর হ্যান্ডেল (handle) করতে পারে।
ক্লাউড হোস্টিং (Cloud Hosting) অসুবিধা:
  • দাম অন্যান্য হোস্টিং তুলনায়   অনেক বেশি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *