আপনি জানেন কি কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি?কম্পিউটার সম্পর্কে বিস্তারিত

কম্পিউটার কি এটা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন পরে না।কারন আপনি যখন এই পোস্ট পড়ছেন তখনও হয়তবা কম্পিউটার ব্যাবহার করে এই লেখা পড়ছেন।তারপরেও আমি সংক্ষেপে বলছি কম্পিউটার কি?কম্পিউটার এমন একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র যা একসাথে অনেক গুলো কাজ খুব নিখুত এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারে।অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে  একসাথে আপনি ২-৩ টির বেশী কাজ করতে পারবেন না।কম্পিউটার এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল কম্পিউটার একসাথে মিলিয়ন মিলিয়ন তথ্য সংরক্ষন করতে পারে এবং এবং নির্ভুল ভাবে এর ব্যাবহারকারীর দেওয়া নির্দেশ পালন করতে পারে।কম্পিউটার শব্দ মূলত গ্রিক শব্দ Compute হতে এসেছে।Compute শব্দের অর্থ হল গননা করা।প্রথম দিকে কম্পিউটার গননা করার কাজের জন্য আবিস্কার করা হলেও এখন কম্পিউটার শুধু গননা করার কাজে সীমাবদ্ধ নেই।একটি কম্পিউটার দিয়ে কি কি কাজ করা যায় তা আপনার অজানা নয়।আজকে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানবো কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি?তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

কম্পিউটার কে সাধারণত প্রধান দুই ভাগে ভাগ করা যায়।যেমনঃ সাধারণ ব্যাবহারকারীর কম্পিউটার এবং বিশেষ ব্যাবহারকারীর কম্পিউটার।আবার আকার আয়তন এবং কম্পিউটার এর গঠন মালার উপর নির্ভর করে কম্পিউটার কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।যেমনঃ এনালগ,ডিজিটাল এবং হাইব্রিড কম্পিউটার।আকার সামর্থ্য কাজের চাপ নেওয়ার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়।যেমনঃ মাইক্রো,মিনি,মেইনফ্রেম এবং সুপার কম্পিউটার।

মাইক্রো কম্পিউটারকে আমরা আবার তিনভাগে ভাগ করতে পারি।যেমনঃ ল্যাপটপ কম্পিউটার,ডেক্সটপ কম্পিউটার এবং সুপার মাইক্রো কম্পিউটার।ল্যাপটপ কম্পিউটারকে আমরা বার দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।যেমনঃ নোট বুক এবং পিডিএ।

এখন আমরা কম্পিউটার এর শ্রেণী বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবোঃ

এনালগ কম্পিউটারঃ যে কম্পিউটার গুলো একটি রাশির সাপেক্ষে অন্য যেকোনো একটি রাশি পরিমাপ করতে পারে তাঁকে এনালগ কম্পিউটার বলে।সাধারণত তাপ এবং গতি এসব রেকর্ড করার জন্য এনালগ কম্পিউটার ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।মোটর গাড়ির ডিজিটাল মিটার এনালগ কম্পিউটার এর একটি উৎকৃষ্ট উধারন হিসাবে ধরা যায়।

ডিজিটাল কম্পিউটারঃ ডিজিটাল কম্পিউটার সাধারণত শূন্য এবং এক এর উপর নির্ভর করে কাজ করে।এই শূন্য এবং এক কে বিট বলা হয়।আধুনিক সব কম্পিউটারই সুন এবং এক এর উপর নির্ভর করে কাজ করে।এই শূন্য এবং এক মূলত ইলেকট্রিক ভোল্টেজ।আধুনিক সব কম্পিউটার শূন্য এবং এক কে গননা করে যোগ,বিয়োগ,গুন,ভাগ ইত্যাদি সকল কাজ করতে পারে।আধুনিক সকল কম্পিউটার ডিজিটাল কম্পিউটার।

হাইব্রিড কম্পিউটারঃ হাইব্রিড কম্পিউটার কম্পিউটার মূলত এনালগ এবং ডিজিটাল কম্পিউটার এর সমন্বয়ে তৈরি হয়ে থাকে।এবং এটি ডিজিটাল এবং এনালগ সকল প্রকার কাজ কর্ম সম্পাদন করতে পারে।হাইব্রিড কম্পিউটার মূলত বড় বড় গবেষণার কাজে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।হাইব্রিড কম্পিউটার দিয়ে এনালগ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে এবং তা ডিজিটাল পদ্ধতিতে হিসাব নিকাশ করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।আবহাওয়া অধিদপ্তর এর আবহাওয়ার পুরবভাস হাইব্রিড কম্পিউটার এর কাজের উৎকৃষ্ট উধারন।

মিনি কম্পিউটারঃ যে কম্পিউটার টার্মিনাল এর সাথে যুক্ত হয়ে অনেক কম্পিউটার ব্যবহারকারী যুক্ত হয়ে একসাথে কাজ করতে পারে তা মিনি কম্পিউটার।বিভিন্ন অফিসে মিনি কম্পিউটার এর ব্যাপক ব্যাবহার দেখা যায়।

মাইক্রো কম্পিউটারঃ আমি আপনি সচারচর যে কম্পিউটার ব্যাবহার করি তা মাইক্রো কম্পিউটার।এই কম্পিউটার গুলো সাধারণত মাদারবোর্ড চিপ,প্রসেসর র‍্যাম ইত্যাদি সহযোগে গঠিত হয়ে থাকে।

সুপার কম্পিউটারঃ সুপার কম্পিউটার অনেক দ্রুত কাজ করতে পারে।এবং এই কম্পিউটার পৃথিবীর সব চাইতে দ্রুত গতি সম্পন্ন কম্পিউটার বলা যায়।এর কাজের গতি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর।এই কম্পিউটার দিয়ে অনেক বড় বড় হিসাব করা হয় এবং তথ্য সংরক্ষন করা হয়।যেমন কোন দেশের আদমশুমারি এর মত কাজ গুলো সুপার কম্পিউটার এর সাহায্যে করা হয়।

তাহলে আমরা আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে জানলাম কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি?আমি আমার জানার পরিধি থেকে এই পোস্ট টি লিখেছি।আপনার কাছে যদি এই পোস্ট সম্পর্কে আরও কোন গুরুত্বপূর্ণ ইনফোরমেশন থাকে তাহলে তা এই পোস্ট এর কমেন্টে জানান।যদি তা প্রকাশ করার মত হয় তাহলে আমরা আপ্নাএ সেই তথ্য অবশ্যই এই পোস্টে সংযুক্ত করে দিব।আর এই পোস্ট সম্পর্কে মতামত অবশ্যই জানাবেন,কারন আপনার মতামত আমাকে পরবর্তীতে লিখতে উৎসাহ যোগাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *