আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি তাঁদের কাছে মাস্টার কার্ড এবং ভিসা কার্ড খুবই পরিচিত একটি নাম।কেননা আমরা সবাই মাস্টার কার্ড অথবা ভিসা কার্ড ব্যাবহার করে থাকি আমাদের অনলাইনে বিভিন্ন দরকারি জিনিস ক্রয় করার জন্য।আজকে আমরা মাস্টার কার্ড এবং ভিসা কার্ড নিয়ে এমন কিছু প্রশ্ন উত্তর জানবো,যা একজন নতুন মাস্টারকার্ড এবং ভিসাকার্ড ব্যাবহারকারীর মনে প্রায়ই ঘুরপাক খায়।তাহলে চলুন শুরু করা যাকঃ-
প্রশ্নঃ- ভিসা কার্ড ও মাস্টার কার্ডের মধ্যে মূল পার্থক্য কী? কোনটি রাখার সুবিধা বেশি?
উত্তরঃ- ভিসা এবং মাস্টারকার্ড এর তেমন পার্থক্য নাই,শুধু আলাদা দুইটি কোম্পানি।যেমনঃ আইফোন এবং সামসাং।তবে ভিসা এবং মাস্টারকার্ড দুইটিই ইউএসএ এর কোম্পানি এবং মাস্টারকার্ড এর চাইতে ভিসাকার্ড এর ব্যাবহারকারী বেশী।যেখানে ভিসা কার্ড ব্যাবহার করার সুযোগ রয়েছে সেখানে মাস্টারকার্ডও ব্যাবহার করা যায়।আর সুবিধার কথা বলতে আপনি যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভিসাকার্ড অথবা মাস্টারকার্ড নিবেন তাঁদের উপর নির্ভর করছে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন।
প্রশ্নঃ- কীভাবে ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয়?
উত্তরঃ- বর্তমানে প্রায় সব ব্যাংকের ই মাস্টারকার্ড সার্ভিস রয়েছে।আপনি যে ব্যাংক এর মাস্টারকার্ড ব্যাবহার করতে চান তাঁদের যেকোনো শাখায় যেয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চালু করে মাস্টারকার্ড এর জন্য আবেদন করতে হয়।এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য এবং হেল্প এর জন্য ব্যাংক এর যেকোনো শাখায় উপস্থিত হয়ে ব্যাংক ম্যানেজার অথবা ব্যাংকের সিলেক্ট করা অফিসার এর সাথে কথা বলে নিতে হবে।
প্রশ্নঃ- ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কী? আমার ডেবিট কার্ড কে আমি কি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবো?
উত্তরঃ- ডুয়েল কারেন্সির কার্ড এমন এক ধরনের কার্ড যে কার্ডটি মূলত দুইটি ভিন্ন ভিন্ন কারেন্সি সাপোর্ট করে,যেমনঃ টাকা এবং ডলার।আপনার ডেবিট কার্ড টি ডুয়েল কারেন্সি সাপোর্ট করে কি না তা জানতে আপনি বর্তমানে যে ব্যাংক এর কার্ড ব্যাবহার করছেন সেই ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে ব্যাংক অফিসার এর সাথে আলোচনা করে জেনে নিতে হবে।
প্রশ্নঃ- ভিসা কার্ড, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড- এর মধ্যে পার্থক্য কী?
প্রশ্নঃ- বাংলাদেশে কিভাবে আমি মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড পেতে পারি? এর জন্য কী কী প্রয়োজন?
উত্তরঃ- আপনি খুব সহজেই পাইওনিয়ার এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মাস্টারকার্ড নিতে পারবেন।এর জন্য আপনার একটি ইমেইল এড্রেস,মোবাইল নাম্বার এবং আপনার এনআইডি,পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর স্ক্যান কপি প্রয়োজন হবে।পাইওনিয়ার এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মাস্টারকার্ড নিতে এই লিংকে যেয়ে আবেদন করতে হবে।আবেদন করার লিংকঃ পাইওনিয়ার মাস্টারকার্ড আবেদন।
প্রশ্নঃ- ইষ্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড-এর একোয়া মাষ্টার কার্ড পেতে আমার কী কী নথিপত্রের প্রয়োজন?
উত্তরঃ- এই বিষয়ে একটি পোস্ট লিখে ছিলাম,চাইলে পড়তে পারবেন এখানেঃ ইবিএল অ্যাকুয়া প্রি-পেইড মাস্টার কার্ড এর বিস্তারিত আলোচনা।
প্রশ্নঃ- কীভাবে অনলাইনে মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয়?
উত্তরঃ- বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত অনলাইনে মাস্টারকার্ড অথবা ভিসা কার্ড আবেদন করার কোন ব্যাবস্থা নেই,আপনি বাংলাদেশ থেকে মাস্টারকার্ড অথবা ভিসাকার্ড নিতে চাইলে সরাসরি ব্যাংকে যেয়ে আবেদন করতে হবে।তবে আপনি পাইওনিয়ার মাস্টার কার্ড নিতে চাইলে অনলাইনে আবদেন করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ- কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেয়?
উত্তরঃ- কোন ব্যাংক আপনাকে বেশী সুবিধা প্রদান করবে এটা আসলে বলা মুশকিল।তবে আপনাকে একটা সহজ উপায় বলে দিতে পারি।আপনাকে যেটা করতে হবে প্রথমে সবগুলো ব্যাংক এর হেল্পলাইন কল নাম্বার কালেক্ট করতে হবে,এরপর এক এক করে সব গুলা নাম্বারে কল করে কথা বলে জানতে হবে সুবিধা অসুবিধা গুলো এবং সাথে সাথে তাঁদের উত্তর গুলো নোট করে রাখতে হবে,এখন কথা বলা শেষ হলে আপনাকে নিজে নিজে কম্পায়ার করে দেখতে হবে কারা আপনাকে বেশী সুবিধা দিতে চাচ্ছে।
প্রশ্নঃ- কোন ব্যাংক কার্ড দিয়ে বা কী ধরনের কার্ড দিয়ে ডলারে পে করা যায়?
উত্তরঃ- আপনি বাংদেশের যেকোন ব্যাংক এর ডুয়েল কারেন্সির কার্ড ব্যাবহার করে ডলার পে করতে পারবেন।আর ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড হলেও ডলার কারেন্সি পে করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ- আমি ভিসা কার্ড কিভাবে পাবো?
প্রশ্নঃ- বিকাশ থেকে কি মাস্টারকার্ড বা ভিসা রিচার্জ করা যায়?
উত্তরঃ- না এখন পর্যন্ত এমন সার্ভিস চালু হয়নি,তবে ফিউচারে হয়ত হতে পারে,ততদিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।তবে উল্লেখ্য,আপনি চাইলে ভিসাকার্ড এবং মাস্টারকার্ড ব্যাবহার করে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা লোড করতে পারবেন।
কেমন লাগল আমাদের আজকের আর্টিকেল?আপনার যদি ভিসাকার্ড এবং মাস্টারকার্ড নিয়ে আরও কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে আপনার প্রশ্ন করুন,আমরা চেষ্টা করব আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার।
Leave a Reply