বাংলাদেশের প্রথম ব্লকচেইন রেমিট্যান্স পরিষেবা চালু করল এসসিবি, বিকাশ এবং ভ্যালিও

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বিকাশ বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার ভালিউর সাথে পার্টনারশিপ করেছে এবং এখন থেকে বাংলাদেশে ব্লকচেইন ভিত্তিক রেমিট্যান্স পরিষেবা চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।এবং এই পরিসেবাটি অ্যান্ট গ্রুপের উদ্ভাবনী ব্লকচেইন প্রযুক্তি দ্বারা চালিত করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।

এই পরিষেবাটির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিকাশের ওয়ালেট ব্যবহারকারীদের ভ্যালিয়োর মাধ্যমে তাদের উপার্জিত অর্থ রেমিট্যান্স হিসাবে পাঠাতে পারবেন, ব্যাংকটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এই পরিসেবাটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন করবে এবং ব্যাংকটি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক,বিকাশ,ভালিউ এবং অ্যান্ট গ্রুপকে সকল প্রকার সাহায্য করবে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এর প্রধান নির্বাহী,নাসের এজাজ বিজয় বলেন,”রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, লক্ষ লক্ষ পরিবারের জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে এবং জাতীয় রাজস্বতে বৈদেশিক মুদ্রা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।আমাদের পার্টনার বিকাশ, ভ্যালিউ এবং অ্যান্ট গ্রুপের সাথে, আমরা একটি নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তিগত সমাধান প্রবর্তন করতে সক্ষম হতে পেরে আনন্দিত যা রেমিট্যান্স পাওয়ার পদ্ধতি সহজ এবং দ্রুততর করে তুলবে বলে আমরা আশা করি, প্রেরণকারী  চাইলে তাঁর হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ২৪x7 সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।আমরা আশা করি যে এই নতুন পরিষেবাটি শেষ ব্যবহারকারীদের উপকার করবে এবং প্রথাগত রেমিট্যান্স চ্যানেলগুলির বর্ধমান ব্যবহারে অবদান রাখবে।

বিকাশ এর প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির বলেন,মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য রেমিট্যান্সের অন্যতম প্রধান উৎস।তিনি আরও বলেন,এই পার্টনারশিপ এর ফলে সেখানকার প্রবাসী যারা এখন মালয়েশিয়ায় তাদের ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিকাশ অ্যাকাউন্টে তাদের উপার্জিত অর্থ প্রেরণ করতে পারবেন।এবং এই অর্থ যে গ্রহন করবে সে চাইলেই তাঁর নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট থেকে ক্যাশআউট করে টাকা তুলে নিতে পারবে।এবং চাইলে এই অর্থ দ্বারা বিকাশের সাথে যুক্ত যেকোনো সার্ভিস ব্যাবহার করতে পারবে।এই প্রযুক্তিগত ইন্টিগ্রেশন প্রাপক এবং প্রেরক উভয়েরই জন্য দুর্দান্ত সুবিধা আনবে বলে মনে করি আমরা এবং আমাদের বিদেশী রেমিট্যান্স উপার্জনে আরও অবদান রাখবে। “

ভালিউ এর প্রধান নির্বাহী প্রসন্ন রাও বলেন, আমরা আমাদের গ্রাহকদের বিশেষত এই চ্যালেঞ্জের সময়ে স্বাচ্ছন্দ্য এবং সুবিধার্থে এমন চমকপ্রদ অফার করেছি এবং মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশীরা তাদের বিকাশ ওয়ালেটে ভাল্যু মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করে সরাসরি তাদের উপার্জিত অর্থ তাঁরা তাদের দেশে পাঠাতে পারবে।এখন থেকে ভালিউ গ্রাহকরা অনলাইন ব্যাংকিং, এটিএম ব্যাবহার করে ক্যাশ-ইন করতে পারবে এবং চাইলে 1,300 এর ও বেশী মার্চেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্যাশআউট করতে পারবেন।ভ্যালিও তাদের গ্রাহকের সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বদা আগ্রহি ছিল এবং এই ধারা আগামিতেও অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন,আমরা বিশ্বাস করি যে এই ব্লকচেইন প্রযুক্তি ভাল্যু থেকে বিকাশে প্রেরিত রেমিট্যান্স লেনদেনের সুরক্ষা এবং সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনও আপস করবে না এবং রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যয় এবং সময় দুই’ই সাশ্রয় করবে। ” এই পরিসেবাটি বাণিজ্যিক পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তথ্য সুত্রঃ TheDailyStar.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *