আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালোই আছেন। স্যাটেলাইট কি? এটা সম্পর্কে জানতে আমাদের বেশ কৌতুহলী জেগেছে। আমাদের বঙ্গবন্ধু ওয়ান স্যাটেলাইট আসার পরে। তো তাই আজকে আমি আপনাদের চাহিদা মতে। বঙ্গবন্ধু ওয়ান বা স্যাটেলাইট কি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই স্যাটেলাইট কি সবার জানার জন্য মনের ভিতর একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই আজকে আমার আর্টিকেলটি স্যাটেলাইট কি। স্যাটেলাইট-কিভাবে-কাজ-করে। এসমস্ত ব্যাখ্যা নিয়ে আর্টিকেল লিপিবদ্ধ করে ফেলেছি। আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা স্যাটেলাইট কি। স্যাটেলাইট-কিভাবে-কাজ-করে স্যাটেলাইটের সুবিধা এবং অসুবিধা সমূহ গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তো কথা না বাড়িয়ে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
স্যাটেলাইট হচ্ছে একটি মানুষের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ। যেটা উপগ্রহের কক্ষপথের দখল করে উনিশশো সাতান্ন সালের একটি দিনে। সে সময়ে একটি বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম একটি স্যাটেলাইট আকাশে উত্থাপন করে। তারপর থেকে মানুষ তাদের বিভিন্ন তৈরি কৃত যন্ত্র গুলো আকাশে উঠানোর একটি ডাল ভাত তৈরি হয়ে যায়। তারপর থেকে মানুষের তৈরি করা যন্ত্রপাতি পৃথিবীর বিশেষ কোনো কাজের লক্ষ্যে কক্ষপথে পাঠানো হয়। বর্তমানে আমেরিকানরা অনেক স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়েছে ।তাদের বিভিন্ন প্রযুক্তির কাজ সম্পন্ন করার লক্ষে। সেই স্যাটেলাইটগুলো উত্থান করা হয়েছে কিছু প্রযুক্তিগত কাজ সম্পন্ন করার জন্য। আবার কিছু ম্যাপ নির্ধারণ করার জন্য। আবার কিছু জিপিএস ব্যবহার করার জন্য। আবার কিছু আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে। এরকম আরো অনেক কাজের জন্য স্যাটেলাইট রয়েছে। বিভিন্ন স্যাটেলাইটের সাধারণত বিভিন্ন কাজ হয়ে থাকে।
আমরা বসে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যেখানে সেখানে বসে বা শুয়ে । ইচ্ছামত পৃথিবীর যে কোন টিভি চ্যানেলে দেখতে পারতেছি। এটি আমরা দেখতে পাচ্ছি শুধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এবং মুহূর্তেই রেডিও চ্যানেল শোনা এটি হচ্ছে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। তাহলে আপনি একবার সাধারন ভাবে চিন্তা করে দেখুন স্যাটেলাইট আমাদের আপনার কত টা কাজে লেগেছে। আমাদের সারা বিশ্বের বেশিরভাগ যোগাযোগ মাধ্যম এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এখন আমি আর একটি প্রশ্ন আপনাদের মাঝে পানির মত সহজ করে তুলবো সেটি হচ্ছে। এই কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে। নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী স্যাটেলাইট সাধারণত দুই ধরনের রয়েছে। একটি ভাল জিওস্টেশনারি। আরেকটি হচ্ছে পোলার। এই জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট সাধারণত পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে থাকে। আর পোলার স্যাটেলাইট থাকে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে। সাধারণত যোগাযোগ করার জন্য যে স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয় সেটি হচ্ছে জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট। এই ছেলেগুলো শুধু পৃথিবীর সমান গতিতে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ঘুরছে। এরজন্যে স্যাটেলাইট পৃথিবীর যেকোন স্থানে তথ্য পাঠাতে পারে। আর পোলার স্যাটেলাইট গুলো সাধারণত পৃথিবীর ছবি তুলতে ব্যস্ত থাকে। সারাক্ষণ তারা পৃথিবীর বিভিন্ন ছবি এবং মেরু অঞ্চলের ছবি গুলো পৃথিবীতে আবার তুলে সেন্ড করে থাকে। তবে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের ছবি ক্যাপচার করতে স্যাটেলাইট গুলোর খুব একটা সময় লাগে না। তারা পৃথিবীর সমান গতিতে চলতে পারে। তাই এই উপগ্রহগুলি কে এক জায়গায় বেশিক্ষণ থাকতে দেখা যায় না।
Leave a Reply