আসুন জেনেনিই কম্পিউটার ভাইরাস কি?কীভাবে আমাদের ক্ষতি করে

কম্পিউটার ব্যাবহার করে অথচ কম্পিউটার ভাইরাস এর নাম শুনেন নি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর।আমাদের সবার কম্পিউটার হয়ত ক্ষতিকর ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় নি কিন্তু নাম বা এর প্রভাব সম্পর্কে একটু হলেও সবাই জানি।আজকে এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা জানবো “কম্পিউটার ভাইরাস কি?কীভাবে আমাদের ক্ষতি করে এবং এ থেকে বাঁচার উপায় কি?“তাহলে আর কথা নয় চলুন মূল প্রসঙ্গে চলে যাওয়া যাক।

কম্পিউটার ভাইরাস মূলত একটি ক্ষতিকর কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা আমাদের কম্পিউটার এর অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম এর সাথে নিজেকে যুক্ত করে এবং আমাদের সেই সব প্রোগ্রাম কে সংক্রামিত করে পরিশেষে এর ধ্বংসকারী ফলাফল নিয়ে আমাদের সামনে নিজেকে প্রদর্শন করে।এবং আমাদের এই প্রোগ্রাম গুলো নিজে সংক্রামিত হবার পর আমাদের কম্পিউটার এর অন্যান্য প্রগ্রামক্র আক্রান্ত করে।ভাইরাস মূলত একটি ইংলিশ শব্দ “ভাইটাল ইনফরমেশান রিসার্স ভেনডার সাইজ” যার বাংলা অরথ দাড়ায় “গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে”।এবং ভাইরাস শব্দের নামকরণ করেন “ফ্রেড কোহেন” নামের একজন গবেষক।আসুন এবার আমরা জেনে নেই ভাইরাস আমাদের কম্পিউটার এর কি কি ক্ষতিসাধন করতে পারেঃ- 

১। ধরেন আপনি কম্পিউটার এর ওয়ার্ড সফটওয়্যারে কিছু লিখছিলেন হঠাৎ আপনার কম্পিউটার হাং করল!আপনি আপনার কম্পিউটার এর কী-বোর্ডে প্রেস করছেন কিচতু আপনার কম্পিউটার এর কী কোন রেস্পন্স করছে না।এই রকম পরিস্থিতি হলে আপনাকে আপনার কম্পিউটার রি-স্টার্ট দিতে হবে।যার ফলে আপনি ওয়ার্ড সফটওয়্যারে যা কিছু লিখেছিলেন সব লেখা হারিয়ে যাবে!কারন আপনার কম্পিউটার হাং করার ফলে আপনি সেই ফাইলটি সেভ করতে পারেন নি।সুতরাং আপনাকে পুনরায় সেই কাজ করতে হবে।এখানে ওয়ার্ড ফাইল এর কাজের বিষয়টা সুধু মাত্র উধারন হিসাবে উপস্থাপন করা হল।অন্য যে কোন কাজ করার সময় আপনার কম্পিউটার হাং করতে পপারে,যদি আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রমনের শিকার হয়।

২। আপনার কম্পিউটার যদি কোন অফিসিয়াল কাজে ব্যাবহার করা হয়।সে ক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটারে অনেক ফাইল এবং আপনার অফিসের গুরুত্তপুরন তথ্য সেভ করা থাকবে।আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে আপনার সব ডকুমেন্ট পরিবর্তন করে ফেলতে পারে।

৩। ভাইরাস অনেক সময় কম্পিউটার এর মাত্র কয়েক বিট ডাটা পরিবর্তন করে হিসাব নিকাশ এর ভুল ঘটাতে সক্ষম।আর এটা জন কোন বড় কম্পানি এর কম্পিউটারে হয় তাহলে একবার চিন্তা করুন কতটা ক্ষতি হতে পারে।

৪। এমন কিছু কম্পিউটার ভাইরাস আছে যারা সরাসরি আপনার কম্পিউটার এর হার্ড ডিস্ক কে টার্গেট করে।এবং অনেক সময় হার্ড ডিস্ক ফরম্যাট না দিয়ে আর কোন উপায় থাকে না।

৫। আপনার কম্পিউটার যতই দামী এবং গতি সম্পন্ন হোক না কেন জসি আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে আপনার কম্পিউটার এর গতি কমে যাবে।

৬। এছারা অনেক সময় আপনার পুরা কম্পিউটার হার্ড ডিস্ক এর সকল ডাটা স্থায়ী ভাবে ডিলিট করে দেয়।

এখন প্রশ্ন হল আমরা কীভাবে বুঝতে পারব আমাদের কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে?যদি নিচের লক্ষন গিল আপনার কম্পিউটারে পাওয়া যায় তাহলে বুঝবেন আপনার কম্পিউটার ক্ষতিকর ভাইরাস দ্বারা আক্রমনের শিকার হয়েছেঃ

১। কম্পিউটার এর গতি অনেক বেশী কমে যাবে।

২। কম্পিউটারে কাজ করার সময় কোন কারন ছারাই হাং হয়ে যাবে এবং রি-স্টার্ট না দেওয়া পর্যন্ত আর কোন কাজ করতে পারবেন না।

৩। হঠাৎ করে কোন কারন ছারাই আপনার কম্পিউটার যদি ব্বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন আপনার কম্পিউটার ভাইরাস এর শিকার হয়েছে।

৪। আপনার সেভ করা ফাইল গুলোর আকার বড় হয়ে যাওয়া ভাইরাস এর আক্রমনের লক্ষন।এছারা কম্পিউটারে কাজ করতে জেয়ে বিভিন্ন রকম এরর মেসেজ পাওয়া।এবং কোন প্রোগ্রাম চালু করতে গেলে অনেক বেশী সময় নেওয়া।

এবার আমরা জানবো কীভাবে আমরা আমাদের কম্পিউটার কে ভাইরাস এর আক্রমণের শিকার থেকে রক্ষা করতে পারিঃ- 

ভাইরাস এর আক্রমনের শিকার থেকে আমাদের কম্পিউটার কে রক্ষা করতে হলে প্রথমে যে কাজ আমাদের করা উচিত তা হল,কম্পিউটারে ভাল মানের নতুন ভার্সনের শক্তিশালী এন্টিভাইরাস ব্যাবহার করা এবং নিয়মিত তা আপডেট রাখা।এন্টিভাইরাস দ্বারা রুটিন মাফহিক আমাদের কম্পিউটার কে স্ক্যান করা।যেকোনো প্রকার রিমোভেব্যল ডিক্স,পেন ড্রাইভ,মেমোরি কার্ড ব্যাবহারে পূর্বে  এন্টিভাইরাস দিয়ে চেক করে নেওয়া।যদি কোন ভাইরাস পাওয়া যায় তাহলে সেসব রিমোভেব্যল ডিক্স,পেন ড্রাইভ,মেমোরি কার্ড ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকা।পরিচিত অথবা বিশ্বস্ত কারও ছাড়া ই-মেইল এটাচমেন্ট ফাইল ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকা।এছারা অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য আপনার ডাটার ব্যাকআপ অন্য কথাও ব্যাকআপ হিসাবে সংরক্ষন করে রাখা যেমনঃ অন্য কোনো হার্ডডিস্ক,সিডি অথবা ডিভিডি ডিস্ক,অনলাইন মিডিয়া ফায়ার/ড্রপবক্স অথবা এই রকম কোন সাইটে সেভ করে রাখতে পারেন।যেন সাবধানতা অবলম্বন করার পরেও যদি আমাদের কম্পিউটার ভাইরাস এর শিকার হয় আমরা যেন পুনরায় আমাদের ডাটা গুলো ব্যাবহার করতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *