ইউজার ইন্টারফেস ওয়ালটন প্রিমো আর ৬

ক্যামেরার লেন্সের ফোকাল লেন্থ এর অপর এর ছবির মান অনেকটা নির্ভর করে থাকে। এই ফোকাল লেন্থকে প্রকাশ করা হয় এপারচার দ্বারা। এপারচার নাম্বার যত ছোটো হবে ক্যামেরার ওপেনিং তত বড় হবে। আর এই ফোনটির ডুয়াল ক্যামেরা মডিউলে আপনি পাচ্ছেন এপারচার এফ২.০। যা আপনাকে অবজেক্টকে তুলনামূলক ভালো ফোকাস পয়েন্টে রেখে খুব দারুন কিছু ছবি তুলতে সহায়তা করবে। এর এপারচার এফ২.০ আপানাকে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করতে অনেক সুবিধা দিবে।

অনেক ফোনে লেন্স এর বেপারটা খুব ভালোভাবে দেখা হয়না, তবে ভাল মানের লেন্স কিন্তু ছবিকে ক্লিয়ার ভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে কোয়ালিটিকে কিছু গুনে বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রিমো আর৬ ডিভাইসটির এই রিয়ার ক্যামেরা মডিউলে আপনি পাচ্ছেন ৫পি লেন্স, যা আপনার জন্য আরেকটি প্লাস পয়েন্ট।

ফ্রন্ট প্যানেলে সেলফি এবং সেলফ/ভিডিও কলিং এর জন্য পাচ্ছেন ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এর স্পেশাল ফিচার হিসেবেও থাকছে ৪পি ক্যামেরা লেন্স, মিররড সেলফি, ফেস ডিটেকশন ইত্যাদি। সেলফি লাভারদের জন্য এটি সত্যিই এই দামে অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট।

এতে থাকা বেশ কিছু শুটিং মোড ছবি এবং ভিডিওগ্রাফির ক্ষেত্রে আপানাকে বেশ ভাল কোয়ালিটি উপহার দিবে। আর ডে লাইটে তো দুর্দান্ত বটেই, লো-লাইটেও এর পারফর্মেন্স এই সেগমেন্ট এর উপরের অনেক ফোনকেও হার মানাতে সক্ষম। বিস্তারিত ক্যামেরা ফিচার এবং মোড গুলো আপনি স্পেসিফিকেশন থেকেই খুব সহজে দেখে নিতে পাচ্ছেন। নিচে ক্যামেরা ইউআই সংযুক্ত করে দিলাম।

ইউজার ইন্টারফেস

ডিভাইসটিতে আপনি পাচ্ছেন, লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েডের পাই এডিশন। এর ইউজার ইন্টারফেস এর স্যাম্পল নিচে দেয়া হ্ল,

হার্ডওয়্যার এবং মেমোরি

একটি স্মার্টফোন এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তাতে সিস্টেম হার্ডওয়্যার হিসেবে কি বিদ্যমান। ভালো বিল্ড কোয়ালিটি আউটপুট-ইনপুট হার্ডওয়্যার এবং ভালো সিস্টেম হার্ডওয়্যার একটি স্মার্টফোনকে আদর্শ স্মার্টফোনে পরিণত করে। আর এসব মিলে নির্ভর করে স্মার্টফোনটি গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিং এর জন্য কতোটা ভালো হবে। রিয়েল গেমিং এক্সপেরিয়েন্স হিসেবে বলতে গেলে প্রিমো আর৬ স্মার্টফোনটিতে আপনি হালের জনপ্রিয় যেসব গেমস রয়েছে; পাবজি, অ্যাস্পল্ট ৯ এগুলো অনায়াসে খেলতে পারবেন। আর এর ভেতর পাবজি খেলার জন্য যারা ১০ হাজার টাকার মধ্যে নতুন স্মার্টফোন খুঁজছেন, তারা এই প্রিমো আর৬ বাছাই করতে পারেন। পাবজি এর পাশাপাশি ফ্রিফায়ার গেমটি আরও বেশি স্মুথলি খেলা যাবে, যদিও পাবজিই সবার প্রথম টার্গেট সেটি খেলতে পারবেন সমস্যা হবে না।

ফোনটিতে থাকছে করটেক্স-এ৫৫ অক্টাকোর ১.৬ গিগাহার্জ প্রসেসর। আর এই অক্টাকোর প্রসেসর এর সাথে এতে গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট হিসেবে পাবেন পাওয়ারভিআর জিই৮৩২২ জিপিইউ। এর অন্যতম আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, এতে পাওয়া যাবে ডিডিআর৪ ৩ জিবি র‍্যাম। আর ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে এতে পাওয়া যাবে ৩২ জিবি জায়গা।

এই সম্পূর্ণ সিপিইউ এবং মেমোরি এর সার্বিক পারফর্মেন্স আমরা ডিভাইসটির বেঞ্চমার্ক স্কোর থেকেই যাচাই করতে পাচ্ছি। ফোনটির এনটুটু বেঞ্চমারক স্কোর এসেছে ৭২৬৪১। গিক বেঞ্চ অ্যাপে সিঙ্গেল কোরে ১৪৮ এবং মাল্টি কোরে এসেছে ৭৯৯। সুতরাং স্কোর থেকে এর ক্ষমতা সম্পর্কে ধারনা আচ করতে পারছি নিশ্চয়ই।

ডিজাইন

এবার আসি ডিজাইনে। ডিজাইন এর কথা বলতে গেলে বর্তমান সময়ের সাথে একদম মানানসই। ডিসপ্লেকে আরও বেশি প্রসারিত করা এবং বেজেললেস কনসেপ্ট নিয়ে, বাইরের অন্যসব স্মার্টফোন ম্যনুফ্যাকচারারের মত ওয়ালটন এই ফোনে দিয়েছে ফুলভিউ ভিউইং অভিজ্ঞতা, সাথে নচ। ফোনটির ফ্রন্ট প্যানেলে উপরে অর্ধবৃত্ত আকৃতিতে ফ্রন্ট ক্যামেরা সহকারে যে কালো নচটি দেখতে পারবেন, একে বলা হচ্ছে ইউ নচ বা আমরা অনেকে ডট নচ হিসেবেও চিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *