বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা করল যুক্তরাষ্ট্রের ১২ অঙ্গরাজ্য

নিউজ ডেস্কঃ নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ অঙ্গরাজ্য!মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জলবায়ু সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশের কারনে দেশজুরে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে।খবর ফক্স বিজনেস।

বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলার নেতৃত্ব আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক শ্মিট।তিনি বর্তমানে মিসৌরির অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে কর্মরত আছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক শ্মিট এর সাথে যোগ দিয়েছে, আরকানসাস, অ্যারিজোনা, ইন্ডিয়ানা, কানসাস, মন্টানা, নেব্রাস্কা, ওহিও, ওকলাহোমা, সাউথ ক্যারোলাইনা, টেনেসি ও উটাহ অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা।

গত সোমবারে বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়।মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের “জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বিজ্ঞান পুনরুদ্ধার” আদেশে গ্রিনহাউস গ্যাস ব্যাবহারে “সামাজিক ব্যয়” এর পরিমান নির্ধারণ করে দেওয়ার কোন অধিকার নাই।

অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক শ্মিট দাবি করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই আদেশের কারনে মিসৌরির উৎপাদন ব্যাবস্থা এবং কৃষিখাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।লিখিত এখ সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক শ্মিট বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই ধরনের আদেশ জারি করার কোন ক্ষমতা নেই।তাঁর এমন আদেশের ফলে এসব জমিতে কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করা এবং কাজ করা পরিশ্রমী মিসৌরিয়ানরা সব হারিয়ে পথে বসে যাবে।

দায়ের করা মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, গ্রিনহাউস গ্যাসগুলর জন্য ৯ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার “সামাজিক ব্যায়” এর প্রভাব শুধু মিসৌরিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং এর প্রভাব মিসৌরির বাহিরেও ছড়িয়ে পড়বে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এই আদেশের এর প্রভাব আমেরিকানদের জীবনযাত্রার প্রতিটা ধাপে ধাপে প্রভাব ফেলবে।মামলার বাদি পক্ষদের দাবি প্রেসিডেন্টের আদেশে কার্বন, মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইডের সামাজিক ব্যায় নির্ধারণ করে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই যা কিনা নীতিনির্ধারক সংস্থাগুলো ব্যবহার করবে।

অভিযোগকারীরা আরও বলছেন, এই আদেশ আগামী কয়েক দশক মার্কিন অর্থনীতির কোটি কোটি ডলার অপ্রয়োজনীয় ভাবে ক্ষতি করতে ব্যাবহার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *