আপনি কি স্থির থাকতে পারবেন, যখন দেখবেন আপনার কাছের কেউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গোল্ড মেডেল পেয়ে পাশ করে সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখছে, ঠিক এমনই এক রঙিন সময়ে ক্যান্সার নামক মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি নিশ্চিত আপনি মেনে নিতে পারবেন না? যেভাবে হোক তাকে সুস্থ করে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।
হ্যাঁ, আজ তেমনই একজন বোনকে নিয়ে লিখছি, যিনি আপনার সামান্য একটু সহযোগিতা পেলে আল্লাহর ইচ্ছায় সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ।বলছিলাম, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিভাগের গ্রাজুয়েট রবিউন্নেসা কলি।গোল্ড মেডেলপ্রাপ্ত মেধাবী এই গ্রাজুয়েটের অনার্সে সিজিপিএ ৩.৯৮ আর মাস্টার্সে ৪.০০। কেবল তাই নয়, পড়াশোনা শেষ করে একই ডিপার্টমেন্টে শিক্ষক হিসেবে জয়েনও করেছিলেন তিনি।
পড়াশোনা, উন্নত সিজিপিএ তথা সফল ক্যারীয়ারই নয় শুধু, বিনয়ী-নম্রতা, মাধুর্যপূর্ণ আচরণ থেকে শুরু করে সকল দিক থেকেই সেরা এবং সকলের অতিপ্রিয় “রবিউন্নেছা কলি”।সকলের এই প্রিয় রবিউন্নেসা কলি শারীরিক জটিল অসুস্থতায় শয্যাশয়ী। স্রষ্টার ইচ্ছা বুঝা আমাদের সাধ্যের বাইরে। তাই আজ এই নবীন মেধাবী গবেষকের জন্য সাহায্য চেয়ে লিখতে হচ্ছে।
আল্লাহর ইচ্ছায় দুরারোগ্য ব্যাধি (কোলন ক্যান্সারে) আক্রান্ত তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারে পরামর্শ, যেনো শীঘ্রই ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। ৮ টি কেমোথেরাপি দিতে হবে। প্রতিটি কেমোথেরাপি ২ লাখ টাকা করে! কেমোথেরাপির খরচ ২০-২২ লাখ টাকা লাগবে। সার্জারিসহ অন্যান্য চিকিৎসা বাবদ খরচের অংক দাঁড়াবে মোট ৪৫ লাখ টাকা।এতদিন পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ নিজের পরিবার বহন করলেও এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। মেধাবী এই IIUCian এর চিকিৎসার জন্য সকলের এগিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আমাদের সবার চেষ্টা ও সহযোগিতায় আবার জ্ঞান-গবেষণায় ফিরে আসবেন রবিউন্নেসা কলি। প্রেরণার উৎস হয়ে কাজ করবেন নবীন মেধাবী গবেষকদের জন্য।
তাই সবার কাছে অনুরোধ করছি, যে যেভাবে পারেন অনুগ্রহের হাতটি বাড়িয়ে দিন প্লীজ। আপনাদের উসিলায় মহান আল্লাহর ফয়সালায় একটি জীবন ফিরে আসতে পারে তার স্বাভাবিক নিয়মে। জ্বলে উঠতে পারে নবীন এই গবেষকের জীবন প্রদীপ দিক-দিগন্তে।আমরা তো প্রতিদিন কত টাকাই নষ্ট করি, এক আড্ডায় আমাদের কত পয়সা চলে যায়। তা থেকে সামান্য কিছু দিন। যে যা পারেন, একটু সহযোগিতা করুন। আপনার সামান্য সহযোগিতায় একজন মানুষ যদি ফিরে তার হাসি। এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে?