নিউজ ডেস্কঃ ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ এলাকার এক মন্দিরে পানি খাবার জন্য প্রবেশ করেছিল এই ছেলেটি। তাকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেখেছিল এলাকার কয়েকজন কট্টর হিন্দু ধার্মীক। তারা ছেলেটিকে ডেকে জিজ্ঞেস করে:
তোর নাম কি?
– আসিফ।
বাবার নাম কি?
– হাবিব।
ছেলেটি মুসলমান নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথে তাকে মারতে শুরু করে। চড়, থাপ্পর, ঘুষি, তারপর মাটিতে ফেলে এলো পাখারি লাত্থি মারতে থাকে। এক সময় ছোট্ট ছেলেটির দু’পা ধরে দুইদিকে টান দিতে যায়, তখন একজন বাঁধা দেয়। এভাবেই নির্যাতন করে ছোট্ট ছেলেটিকে।
এবং এই পুরো ঘটনা নিজেরাই ভিডিও করে এবং ফেসবুকে আপলোড করে। উদ্দেশ্য একটাই মানুষে মানুষে ভেদাভেদ স্পষ্ট করা। হিন্দুরা যে পবিত্র আর মুসলমানরা যে অপবিত্র সেটা প্রমান করা। এবং অপবিত্র মুসলিমরা যেন আর কোন মন্দিরে সহজেই ঢুকতে না পারে সেই ভয় মুসলিমদের অন্তরে ঢুকিয়ে দেয়া।
ছোট বেলায় আমি যে এলাকায় বড় হয়েছি সে এলাকায় প্রচুর হিন্দু আছে। আমাদের খেলার সাথিও ছিল অনেক হিন্দু। দুপুরে এবং বিকেলে যেই হিন্দুদের সাথে খেলতাম তাদের অনেককে দেখতাম ভোর বেলা গোসল করে কাঁসার প্লেটে করে ফুল নিয়ে যেতো পুজো দিতে। তখন তারা আমাদের কাছে আসতো না। আমাদের কাউকে ছুতো না। আমরা বিষয়টা প্রথমে জানতাম না।পরে জেনেছি। জানার পর আমাদের অনেকে দুষ্টুমি করে তাদের হাল্কা ছুয়ে দিত।
তখন তারা আবার পুকুরে যেয়ে গোসল করে আসতো। বিষয়টিতে তখন হাসি লাগতো। এখন অদ্ভুত লাগে। কি আজিব অনুভূতি! তাদের প্রা্থনালয়ে আমরা যেতে পারি না, আমাদের পার্থনালয়ে তারা ঢুকতে পারে না। আমরা ছুলে তারা অপবিত্র হয়, তারা ছুলে আমরা অপবিত্র হই। আসলে পবিত্র কারা?
Leave a Reply