আমরা অনেকে ওয়েব এবং ইন্টারনেট কে একই জিনিস মনে করে থাকি। তবে আজকে আমি বলব এটি একদমই ভুল ধারণা। কেননা ইন্টারনেট হচ্ছে বিশাল বড় একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। আর ওয়েব হচ্ছে ইন্টারনেটের একটি বিশাল অংশ। সারা পৃথিবীর বিলিয়ন বিলিয়ন কম্পিউটার মোবাইল ট্যাবলেট। এ সমস্ত জিনিস নিয়ে এক বিশাল ইন্টারনেট তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট হওয়া মনে ইন্টারনেট এর প্রতিটি ডিভাইসের সাথে কানেক্টেড হওয়া। আর ওয়েব মানে ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড হয়ে ওয়েবপেজকে ভিজিট করা। যদি সম্পূর্ণ ওয়েবপেজকে একটি রেস্টুরেন্ট এর সাথে তুলনা করা হয় তবে। ওয়েব হচ্ছে রেস্টুরেন্টের খাবারের মেনু। ইন্টারনেট হচ্ছে একটি দৈত্যকার স্থান। কারণ কুটি কুটি ডিভাইস ওয়ারলেসের মাধ্যমে বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে একত্রিত হয়েছে। ফলে এভাবেই ইন্টারনেটের তৈরি হয়েছে। আপনি যখন শেয়ারইট এর মাধ্যমে দুটি অ্যান্ড্রয়েড একসাথে একে অপরের সাথে ফাইল ট্রান্সফারের করেন। সে দুটি ডিভাইস এবং ইন্টারনেট এখন ধারণার ওপর নির্ভরশীল।
আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট থেকে ফাইল ডাউনলোড করেন। তবে সেই ওয়েব সার্ভার এবং আপনার কম্পিউটার এবং ওয়েব পেজ একে অপরের সাথে কানেক্ট হয়ে যায়। যেমনটা আপনি দুটি এন্ড্রয়েড দিয়ে শেয়ারইট ব্যবহার করে করেছিলেন। শেয়ারইট ব্যবহার করার সময় ওয়াইফাই এর সাথে একে অপরের ডিভাইস এর সাথে কানেক্ট হয়। যেহেতু ইন্টারনেট একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। তাই এর মাধ্যমে যেকোনো ডিজিটাল ডাটা আদান প্রদান করা যেতে পারে। এবং ডাটাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডিজিটাল করার পর যে কোনো কঠিন কাজ খুব সহজেই করা যেতে পারে। ওয়েবপেজের ডাটা যেহেতু ডিজিটাল ডাটা তে পরিণত করা থাকে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেই টাকা গুলো খুব সহজেই ভিউ করা যায়। ইন্টারনেট সাধারণত দুটি কাজ করে থাকে। একটি হলো একে অপরের কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করে দিতে পারে। এবং দ্বিতীয় কাজটি হলো যে কোন ডিজিটাল ডাটাকে আদান প্রদান করতে পারে।
আপনি যখন ইন্টারনেট কানেকশন এর সাথে যুক্ত হন। তখন আপনার কম্পিউটার আপনার ইন্টারনেট প্রোভাইডারের সার্ভারে ওয়ারলেস বা তার বিহীন ভাবে যুক্ত হয়ে যায়। এবং আপনার সার্ভিস প্রোভাইডারদের কমিটির সাথে আরো বড় বড় সার্ভারের কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করা হয়ে থাকে। আর ওইসব সার্ভারের কম্পিউটার গুলো সরাসরি ওয়েব সার্ভারের কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করা থাকে। এর মানে কি দাঁড়ালো আপনি ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট হয়ে গেলেন মানে যে কোন ওয়েব সার্ভারের সাথে কানেক্ট হয়ে গেলেন। ইন্টারনেটে সাধারণত দুই টাইপের ডিভাইস রয়েছে। এই ডিভাইসগুলোতে কোন ডাটা সেন্ড করে তাকে সার্ভার বলা হয়। এবং সার্ভার থেকে যে টাকাগুলো রিকোয়েস্ট করে তাকে ক্লায়েন্ট ডিভাইস বলা হয়।
এই যে নেই যে কম্পিউটার গুলোর মধ্যে ওয়েব পেজ সেভ করা থাকে তাকে সার্ভার কম্পিউটার বলা হয়। এবং আপনার স্মার্ট ফোন ল্যাপটপ ডেস্কটপ এবং ট্যাবলেট কে ক্লায়েন্ট কম্পিউটার বলা হয়। ওয়েবপেজ গুলি সাধারণত এক বিশাল কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ। যা এইচটিএমএল ফরমেটে তৈরি করা হয়। এবং আপনার ওয়েব ব্রাউজার একটি সফটওয়্যার হয়ে থাকে যা ল্যাংগুয়েজ টি টেক্সট আকারে পড়তে পারে। এবং তা টেক্সট আকারে মানুষের পড়ার প্রদর্শন করে দেয়। ওই পেজ গুলি নির্দিষ্ট প্রোটকল ধরে আপনার কম্পিউটার ডাউনলোড হয়ে যায়। এবং সেই ওই পেজের মধ্যে নানান লিংক থাকে। এবং সেই লিঙ্কে ক্লিক করার পরে একটি নতুন নতুন ওয়েবপেজ ভিউ হতে থাকে।
Leave a Reply