নিউজ ডেস্কঃ প্রশাসনের জারী করা ৭ দিনের লকডাউন চলাকালে ফেনী শহরে এক যুবকের সাথে ধস্তাধস্তি করার ঘটনায় পুলিশের এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে ক্লোজড করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের দুই কনস্টেবলের কাছেও কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে।সোমবার রাতেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশের সাথে যে যুবক ধস্তাধস্তিতে জরিয়ে পরেছিল সেই যুবক মানুষিকভাবে অসুস্থ ছিল।পুলিশ চাইলেই সেই যুবকের সাথে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতেন।
পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল ১৯ এপ্রিল ফেনিতে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়।ফেনী শহরের মডেল হাইস্কুলের সামনে ঐ যুবককে আটকের সময় পুলিশের সাথে তর্ক করতে দেখা যায়।ভিডিওতে দেখা যায় এক যুবক মাস্কবিহীন অবস্থায় রিক্সা করে আসছিলেন সেই সময় তাঁর রিক্সাটি মডেল হাইস্কুলের সামনে পৌঁছালে এসআই যশোমন্ত মজুমদার সহ সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাঁর গতিরোধ করে।
সেই সময় ঐ যুবক পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলে অন্য রিক্সা ছেরে দিছস আমার টা কেন ধরছস!কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাঁকে রিক্সা থেকে নামান হলে সে পুলিশ সদস্যদের গালাগালি দিতে থাকে,এই সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁকে পাগল বললে কেন তাঁকে পাগল বলা হল কারন জানতে চায় সে।সেই সময় তাঁর হাতে হ্যান্ডক্যাপ লাগানোর চেষ্টা করা হলে পুলিশের সাথে তাঁর ধস্তাধস্তি ঘটনা ঘটে।তখন সে চিৎকার করে বলে ‘এ দেশ পুলিশের দেশ।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জোরানো হুবকের নাম শহীদ এবং সে ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং শহীদ স্থানীয় যুবলীগের একজন সক্রিয় সদস্য।
ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওমর হায়দার জানান, পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জোরানো সেই যুবকের মানুষিক সমস্যা আছে।তাঁকে গ্রেফতার করে থানায় এনে হাজত খানায় রাখলে সে চিৎকার করে থানার সবাইকে অস্থির করে তুলে।পরে তাঁর স্বজনদের থানায় ডেকে নিয়ে আসলে তারা তাঁর মানুষিক সমস্যার কথা আমাদের কে জানান।পরে মুচলেকা নিয়ে তাঁকে তাঁর পরিবারে জিম্মায় ছেরে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply