বর্তমান সময়ে মোবাইল বা সেলফোন এর ব্যবহার অনেক পরিমানের। আগেকার দিনে যখন মোবাইল ফোন এর প্রচলন ছিলো না । আগেকার দিনে যখন একজনের সাথে কথা বলা বা যোগাযোগ করার প্রয়োজন পরত। তখন আর সহজে কারো সাথে যোগাযোগ করা যেতো না। মানে একেক জনের সাথে অনেক দিন পরে যোগাযোগ করা লাগতো।
মনে করেন কারো সপ্তাহ কারো মাস আবার অনেকেরই বছর ও কেটে গেছে। কেনোনা- তখন কারো সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন পরলে চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করা লাগতো। মনে করেন চিঠি পৈছানোর জন্যেও অনেক সময় লাগতো যদি সেটা অনেক দূরের পথ হয়ে থাকত। আবার সেই চিঠি পৌঁছানোর পরে সেখান থেকে লিখে দিতো। আবার ফিরতি চিঠি পেতেও সেই সময়ের মতো লাগতো। তাহলে আপনি চিন্তা করেন কতো সময় এবং কতো কষ্ট করা লাগতো শুধু ২ জনের কথা দুজন শুনার জন্যে। আবার অনেকে অল্প কিছু কথা বলার জন্যে তার বাড়িতে যেতে হতো।
যদিও অনেকটা দুরের পথ হয়ে থাকলেও। আবার সেখানে যেতে হলে আরেকটি ঝামেলা পহাতে হতো। কারন সে সময়ে রাস্তাঘাট এবং যানবাহন গুলি এখানকার যোগের মতো এতো স্মার্ট ছিলো না। যার জন্যে মানুষ কে শুধু বেশি সময়ের জন্যই পায়ে হাঁটতে হতো। তারপর যখন সেলফোনের ব্যবহার অল্প অল্প করে আমাদের মাঝে আসতে লাগলো তখন মনে হয় আমরা আরেকটি নতুন প্রযুক্তির ছোয়া হাতে পেলাম। যখন প্রতি গ্রামে আশে পাশে হাতে গোনা কয়েক শত মানুষের ভিড়ে দুই থেকে একটি মোবাইল হয়ে গেলো তখন তবে একটু তারাতারি করে কিছু কথা বলে যোগাযোগ করা যেতো।
তারপর আস্তে আস্তে সেলফোন গুলি অতি সহজেই হাতের মঠুই এসে গেলো। তারপর থেকে আমরা অতি সহজেই সবার সাথে যোগাযোগ করা যেতো। মানে তখন আর কষ্ট করে ডাকপিয়ন দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে। আবার সেই ফিরতি চিঠির আশায় থেকে যোগাযোগ করা লাগে না। এখন ইচ্ছে করলে আমরা সবাই শুধু আমাদের শহর বা দেশগুলিতে যোগাযোগ নয়। পৃথীবির সকল দেশ থেকে আমরা সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারি। তাও আবার অনেক সময় লেট করতে হয় না। সাধারণত ১ মিনিট অ লাগেনা একজনের সাথে অপরজনের খুঁজ খবর নিতে।
তাহলে আপনি খুব সহজেই জানতে বা বুঝতে পারলেন যে বর্তমান সময়ে সেলফোনের মাধ্যমে আমরা আজকে কতোটা ডিজিটাল হতে পেরেছি। আর সেলফোন যদি না পেতাম তাহলে আমরা প্রচীন সভ্যতার মধ্যেই পরে থাকতে হতো। আর একটা জিনিশ বা কারো সাথে যোগাযোগ করার জন্যে আমাদের প্রচুর পরিমানে কষ্ট করতে হতো।
Leave a Reply