ফেইসবুককে নিয়ন্ত্রন করার জন্য কোঠর পদক্ষেপ নিতে পারে সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন।আর এই কারনেই বাইডেন প্রশাসন নিয়ে খুবই চিন্তিত আছে সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ফেইসবুক।সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক অবামার সাথে ফেইসবুকের ভালো সম্পর্ক থাকলেও তার পরের বছর গুলোতে ফেসবুককে নিয়ে অনেক বিতর্কর সৃষ্টি হয়েছে।
ফেইসবুকের উপর আসা অভিযোগ গুলোর মধ্য অন্যতম অভিযোগ গুলো হলঃ ডেটার অপব্যবহার, নির্বাচনী বিজ্ঞাপন, হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়ানো গুজব ও ফেইসবুকে কিউ অ্যানন গ্রুপের তাণ্ডব।আর এই কারনেই মোটামুটি ফেইসবুক মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এক সময় ফেইসবুকের পাশে ছিলেন,কিন্তু এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে!মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট প্রায়ই ফেসবুকের সমালোচনা করে ফেইসবুকে পোস্ট দেন।যেমন তিনি লিখেন তিনি ফেইসবুকের ভক্ত না এমনকি ফেসবুকের সকল সমস্যার জন্য মার্ক জাকারবার্গকেই দায়ী করেন সদ্য নির্বাচিত এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট চাইলেই ফেইসবুক সহ সকল টেক জায়ান্টগুলোকে ভেঙ্গে দিতে পারেন অথবা চাইলেই তাদের জন্য নতুন এবং কোঠর নীতিমালা তৈরি করতে পারেন।তবে তিনি যদি চান যে ফেইসবুককে ভেঙ্গে দিবেন তাহলে শুধু একটি আইন বাতিল করলেই হবে।শুধু ২৩০ ধারা বাতিল করে দিলেই মামলায় জর্জরিত হয়ে যাবে এই সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট।
২৩০ ধারার কারনে এতদিন পর্যন্ত ফেইসবুক ব্যাবহারকারীদের করা কোন পোস্টের দায় ফেইসবুককে নিতে হয় নি।কিন্তু যদি ২৩০ ধারা বাতিল করে দেওয়া হয় তাহলে ব্যাবহারকারীদের করা সকল পোস্টের দায় ফেইসবুককে নিতে হবে।এক বছর আগে সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিউইর্য়ক টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল তিনি এই ২৩০ ধারা বাতিল চান।আর যদি এই ২৩০ ধারা সত্যি বাতিল হয়ে যায় তাহলে তা ফেইসবুকের তা বিপর্যয় ডেকে আনবে।
তবে সদ্য বিদায় নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেইসবুকে বেশ সক্রিয় ছিলেন।কিন্তু জো বাইডেনের সাথে যে ফেসবুকের সম্পর্ক ভালো হবে না এটা বেশ আগেই সবাই বুঝতে পেরেছিল।আর এখন ফেইসবুক অনেকটা নিয়ন্ত্রনহীন!আর এই নিয়ন্ত্রনহীন ফেইসবুককে নিয়ন্ত্রনে আনতে জো বাইডেন প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয় এটাই এখন দেখার বিষয়।
Leave a Reply