আপনি কি জানেন ইন্টারনেটের ও বিশেষ ওজন রয়েছে

আমি এই কনটেন্ট আপলোড করেছি। আপনি ইউটিউব দেখছেন। আমার এই ওয়েবসাইট এর নিচে কমেন্ট করতেছেন। এবং আমার এই ওয়েবসাইটে কিছু ডাটা আপলোড করছি। মানুষ ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতেছে। এবং আপনার-আমার আপলোডকৃত ভিডিও এবং কনটেন্ট ইন্টারনেটকে বৃহত্তর থেকে বৃহত্তর করছে। সারা বিশ্বে বর্তমান সময়ে প্রায় ৪ বিলিয়নের চেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। আপনি একবার চিন্তা করে দেখুন এতগুলো ইউজারের তৈরিকৃত ডাটা। বা এতগুলো মানুষের আপলোড করা ডাটা কত সুবিশাল সাইজের হতে পারে। ইন্টারনেট যেহেতু কম্পিউটার রিলেটেড জিনিস এবং ডাটাগুলো ডিজিটাল। তাই এই ডাটা গুলির আকার গিগাবাইট বা মেগাবাইট আকারে বা যেতে পারে। যদিও এই ইন্টারনেটের বৃহত্তর ডাটাগুলোকে মাপা সম্ভব। তবে এই ডাটাগুলো এর একটা সাধারণ ধারণা দেওয়া যেতে পারে। তাই অনুমান করে বলা হয়েছে যে এই ডাটাগুলো তাই ৬ মিলিয়ন টেরাবাইট হতে পারে। কিন্তু এই পরিব্যক্তি শুধু আমার আপনার ইন্টারনেটের ডাটার একটি পরিমাণ।

ক্লায়েন্ট ডিভাইস। কিন্তু আমার আপনার কম্পিউটারের থাকা ডাটার পরিমাপ যদি করা হয়। কিন্তু সবশেষে আমরা বুঝলাম যে ইন্টারনেটের মিলিয়ন বিলিয়ন টেরাবাইটের হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা কি একবার চিন্তা করেছি যে আসলে ইন্টারনেটের কোন ফিজিক্যালি কি ওজন রয়েছে? ধরুন আপনি আমার এই আর্টিকেলটি পরিদর্শন করতেছেন। এবং তার জন্য ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন হয়েছে? কিন্তু আপনি কি চিনতে পেরেছেন যে আসলে কি এটি ব্যবহার করার ফলে আপনার পিসি বা ডিভাইসের ওজন বেড়ে গেছে? এই প্রশ্নের উত্তর আমি হ্যাঁ বলবো। কারণ আপনার ডিভাইস থেকে ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে আপনি আমার এই লেখা আর্টিকেল ব্রাউজ করার কারণে কিছু একটা পর্যন্ত ওজন বেড়ে গেছে। কিন্তু সেটা এমন সহজ ভাবে পরিমাপ করা অসম্ভব। ইন্টারনেটের ডাটা বা কোন ডিজিটাল ডেটা বাইনারি আকারে সেভ করা থাকে। অর্থাৎ কোন বাইনারি ডেটা এক বা জিরও ইউনিক প্যাটন হয়ে থাকে।

ফ্ল্যাশ স্টোরেজ ডিভাইসগুলোতে ট্রানজিস্টার লাগানো থাকে। আর এই ট্রানজিস্টার গুলো সাধারণত সুইচ আকারে ধারণ করে থাকে। অর্থাৎ আপনি খুব সহজেই এই ট্রানজিস্টারগুলি অফ এবং অন করতে পারবেন। ট্রানজিস্টারগুলিতে বিদ্যুৎ পেলে বাইনারি ডেটা এক স্টোর করে বাড়তে থাকে। বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে সেটা ০ স্টোর হয়ে থাকে। বিদ্যুৎ সরবরাহ করানো মানে ইলেকট্রন সর্বাহ করানো। আর এই ইলেকট্রন এর কিন্তু ফিজিক্যালি ওজন রয়েছে। একটি ৫০ কিলোবাইট ইমেইল স্টোরি করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ইলেকট্রন এর ব্যবহার করা হয়। যদিও বিলিয়ন বিলিয়ন শুনতে অনেক বেশি মনে হচ্ছে। কিন্তু এর ওজন আসলেই একেবারে তুচ্ছ। তাহলে আপনার ধারণা কি ইন্টারনেটের ওজন কত হতে পারে? কয়েক বছর আগে এক বিজ্ঞানী ইন্টারনেটের ওজন পরিমাপ করেছিল। সেখানে অনুমানিক ভাবে আরমান করা হয়েছিল যে ইন্টারনেটের ওজন ৫০ গ্রাম।

তাহলে আশা করি আমার এই আর্টিকেলে থেকে আপনারা এই ইন্টারনেটের ওজন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরকম আরও আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথে থাকুন। কথা হবে আগামী কোন আর্টিকেল নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *