করোনা ভাইরাস (COVID-19) নিয়ে কোন সোশ্যাল গ্রুপে মিথ্যা খবর রটানো হলে ধরা হবে অ্যাডমিন কে

বিশ্ব জুরে চলছে করোনা ভাইরাস (COVID-19)  সংক্রামনের মহামারী।পৃথিবীর হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া অন্যান্য দেশে করোনা মহামারী রূপ নিয়েছে।প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ এবং মারাও যাচ্ছে অনেক।আর এসব নিয়ে অনেকেই সোশ্যাল ওয়েবসাইট গুলোর বিভিন্ন গ্রুপে অথবা পেজে গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।যেমনঃ একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে গুজব ছোড়ানো হয় যে,করোনা ভাইরাস সংক্রামনের আসল সংখ্যা লুকাতে চাইছে ভারতের রাজ্য সরকার।এই গুজব ছড়ানোর কারনে একজন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

লালবাজার থেকে জানানো হয়েছে,এখন থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে যেকোনো সোশ্যাল ওয়েবসাইট এর কোন গ্রুপ,অথবা ব্যাক্তিগত প্রোফাইলে কোন গুজব ছোড়ানো হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।যদি কোন গ্রুপে কোন সদস্য কোন ভুয়া খবর ছড়ায় তাহলে সেই সদস্য এর সাথে উক্ত গ্রুপ এর অ্যাডমিন দেরও এখন থেকে মাসুল গুনতে হবে।এমনকি কোন অ্যাডমিন যদি আইন অমান্ন করে তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হতে পারে।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন ভুয়া খবর ঠেকাতে গত মঙ্গলবারই চার জন গ্রুপ অ্যাডমিন কে ডেকে নিয়ে আশা হয়েছিল।যাদের ডাকা হয়েছিল তাদের গ্রুপে ভুয়া খবর ছোড়ানো হচ্ছিল।তদন্তকারী অফিসারের মতে,এসবের দায় সেইসব গ্রুপ অ্যাডমিনরা এরিয়ে যেতে পারেন না।কয়েক দিন হল শুধু সদস্যদের ডেকে পাঠানো হলেও এই প্রথম গ্রুপ এর অ্যাডমিন দের ডেকে নেওয়া হল।

পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে, লালাবাজার এর গয়েন্দা বিভাগ এবং সাইবার অপরাধ দমন শাখা শহরের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট এর গ্রুপ গুলোর উপর নজরদারি শুরু করেছে।এবং তারা এই কাজ করার জন্য কয়েকটি দলে ভাগ হয়েছেন।আর তাদের অনুসন্ধানের ফলে এমন প্রায় ৫০ টার মত গ্রুপ এর সন্ধান মিলেছে যেখানে ভুয়া খবর পোস্ট করা হচ্ছিল।পুলিশ তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন যে,কোন গ্রুপে ভুয়া খবর ছোড়ানো হলে শুধু সেই সদস্য নয় সেই গ্রুপ এর অ্যাডমিনও এখন থেকে অভিজুক্ত হবে।

লালবাজার জানান,ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্যোন্য সোশ্যাল ওয়েবসাইটে ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক জঙ্কে গ্রেহতার এবং ডেকে পাঠানো হয়েছে।যাদের এখন পর্যন্ত ডাকা হয়েছিল তারা সকলেই এসেছিল।তাদের কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কেন তারা এসব ভুয়া খবর ছরাচ্ছে?তারা এই প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারে নি।এছারাও তারা আরও জানান প্রতিদিন ই প্রায় ১০০ এর অধিক ব্যাক্তিকে ফোন করে মিথ্যা খবর ছড়ানোর জন্য সতর্ক করা হচ্ছে।

এর আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজব ছড়ানোর কারনে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমাদের দেখতে হয়েছে।বিশেষ করে ছেলে ধরা গুজব শুরু হলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাবহারের উপরে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।তাছারাও গ্রেফতার করা হয়েছিল কয়েকজন গ্রুপ অ্যাডমিনদের।এবারও একই পথে চলতে যাচ্ছেন লাল বাজারের কর্তারা।যদি কোন গ্রুপের মাধ্যমে ভুয়া খবর ছোড়ানো হয় তাহলে সেই গ্রউ অ্যাডমিনদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারাতেও মামলা করা হতে পারে।

নিউ আলিপুরের ওই মহিলাকে গ্রেফতার করার পর গুজব ছোড়ানো হয় যে,নিউ টাউনের একটি আবাসনে করোনাভাইরাসে কয়েক জন আক্রান্ত হয়েছেন।আর এই ভুয়া খবর ছড়ানোর কারনে মুসলেম আলি মোল্লা ওরফে বাপন নামের একজঙ্কে গ্রেফতার করে পুলিশ।নিউ টাউনের টেকনো সিটি থানা তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।অভিযোগ করা হয় ওই ভুয়া খবরের কারনে ওই আবাসনের সবার ভেতর আতংক ছড়িয়ে পরে।আতংকের কারনে ওই আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষি থেকে শুরু করে সবাই চলে যেতে শুরু করলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ এবং তদন্ত শেষে,মুসলেম আলি মোল্লা ওরফে বাপন কে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ আরও জানান,ওই আবাসনের এক ব্যাক্তি ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন।সেই ব্যাক্তিকে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে জাত পুলিশ কিন্তু তার জ্বরের সাথে করোনা ভাইরাসের কোন সম্পর্ক পাওয়া যায় নি।অভিযোগে বলা হয়,মুসলেম আলি মোল্লা ওরফে বাপন ওই খবর কে বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন।মুসলেম আলি মোল্লা ওরফে বাপন সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেন,ওই আবাসনে কমপক্ষে ছয় জন করোনা ভাইরাসে আক্রন্ত হয়েছে।তাদের সবাইকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।আর এই খবরেই ওই আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষি থেকে শুরু করে সবার মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরে। তথ্য সুত্রঃ আনন্দবাজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *