আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখনও হয়ত আপনি কম্পিউটার ব্যাবহার করছেন।কারন বর্তমান সময়ে কম্পিউটার অনেক সহজ লভ্য হয়ে গেছে।তবে এই কম্পিউটার এমন অনেক তথ্য আমরা জানি যা আদতেও সঠিক না।আমরা আজকে এই পোস্ট এর মাধ্যমে এমন কিছু বিষয় জানবো কম্পিউটার সম্পর্কে যা এত দিন আপনি জেনে এসেছেন।কিনতি এই তথ্য গুলো কোনদিন কখনও ঠিক ছিল না।এই পোস্ট পড়ার পর আপনি অবাক হয়ে যাবেন যে আমি এই ব্যাপার গুলো এতদিন একেবারেই ভুল জেনে এসেছি।
আপনি অনেক মুভিতে দেখে থাকবেন একজন হ্যাকার কোন একজন নির্দিষ্ট পারসন এর কম্পিউটার হ্যাক করার জন্য বসে আছে।সে তার কম্পিউটারে লাইন এর লাইন কোড লিখে যাচ্ছে কোন একটি নির্দিষ্ট কম্পিউটার হ্যাক করার জন্য।এখন আপনি যদি মনে করেন কোন একজন হ্যাকার সব সময় আপনার কম্পিউটার হ্যাক করার জন্য বসে আছে,তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন।কারন হ্যাকাররা কোন হাই প্রোফাইল পারসন ছাড়া আমার আপনার মত চুনো-পুঁটির কম্পিউটার হ্যাক করার জন্য সবসময় বসে থাকবে না।তাহলে এই ব্যাপারে অবশ্যই আপনি ভুল জানতেন?
আমারা অনেকবার শুনেছি যে আমাদের কম্পিউটারে এমন কিছি সফটওয়্যার আছে যারা অনেক বেশী র্যাম ব্যাবহার করে যার ফলে আমাদের কম্পিউটার অনেক স্লো হয়ে যায়।তাই আমরা এমন কিছু অ্যাপ ব্যাবহার করতে চাই যেগুলা অতিরিক্ত র্যাম ব্যাবহার করে এমন সফটওয়্যার কে বন্ধ করে দেয়।মূলত এসব অ্যাপ কোন কাজের না বরং এসব অ্যাপ লাভের চাইতে ক্ষতি ই বেশী করে আমাদের।কারন এসব অ্যাপ কিছু দরকারি প্রসেসও বন্ধ করে দিয়ে আমাদের কম্পিউটারকে স্লো করে দেয়।এই প্যারার শেষে আপনার কাছে প্রশ্ন আমাদের কম্পিউটার এর র্যাম এর প্রধান কাজ কি?তা এই আর্টিকেল এর কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিন।
আমারা এতদিন জেনে এসেছি ডিফ্র্যাগমেন্ট অ্যাপ গুলো আমাদের অনেক উপকার করে।তাই নিয়মিত বিরতির পর পর আমাদের কম্পিউটারে ডিফ্র্যাগমেন্ট অ্যাপ/সফটওয়্যার রান করা উচিত।কিন্তু পুরনো আমলের কম্পিউটারে এটা প্রয়োজন ছিল কিন্তু বর্তমান সময়ের উইন্ডোজ ৭,৮,১০ এত স্মার্ট যে ডিফ্র্যাগমেন্ট অ্যাপ রান করার কোন প্রয়োজন নাই।বরং এরা নিজেরাই এই কাজ করে নিবে এবং আপনি যদি এসএসডি ব্যাবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে ডিফ্র্যাগমেন্ট অ্যাপ রান করলে আপনার লাভের চাইতে ক্ষতিই বেশী হয়।
আমরা এতদিন জেনে এসেছি যে ভাইরাস আমাদের কম্পিউটারকে স্লো করে।কিন্তু আপনার পিসিতে হয়ত আপনি এমন কিছু সফটওয়্যার ইন্সটল করে রেখেছেন তাঁরা হয়ত আপনার কম্পিউটার কে স্লো করে দিচ্ছে অথবা আপনি যদি আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারে বেশী পরিমানে ট্যাব চালু করে রাখেন সেই খেত্রেও আপনার কম্পিউটার স্লো কাজ করতে পারে।আবার আপনার কম্পিউটারে ফটো এডিট করার সফটওয়্যার অথবা মিডিয়া প্লেয়ার রান করা থাক্লেও আপনার কম্পিউটার স্লো কাজ করতে পারে।অনেক সময় ভাইরাস আপনার কম্পিউটারকে স্লো না করেওক আপনার চোখের আড়ালে আপনার কম্পিউটার এর ক্ষতি সাধন করতে পারে।
আপনি হয়ত মনে করেন অ্যান্টিভাইরাস আপনার কম্পিউটারকে অনেক নিরাপদ রাখবে।তাহলেই এই তথ্যও আপনি এতদিন ভুল জেনে এসেছেন।আসলেও কোন অ্যান্টিভাইরাস আপনাকে সুরক্ষা দিতে পারবে না যতক্ষণ না আপনি নিজে সাবধান হবেন।আর যেকোনো অ্যান্টিভাইরাস আপনি যখন আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করবেন তখন এই অ্যান্টিভাইরাস আপনার কম্পিউটার কে অনেক স্লো করে দিবে এবং আপনাকে অনেক কাজ করতে বাধা প্রদান করবে।আর উইন্ডোজ ১০ এ আপনার অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করার প্রয়োজন নেই।কারন উইন্ডোজ ১০ এ উইন্ডোজ ডিফেন্ডার আছে।
আমরা এতদিন জেনে এসেছি কাজ শেষে আমাদের কম্পিউটার অবশ্যই অফ করতে হবে।কিন্তু জানলে অবাক হবেন কাজ শেষে আপনার কম্পিউটার অফ করা বাধ্যতা মুলক না।আপনি যদি বিদ্যুৎ বাঁচানোর জন্য কম্পিউটার বন্ধ রাখতে চান তাহলে বন্ধ জকরে রাখতে পারেন।আমরা জেনে এসেছি বেশী সময় কম্পিউটার চালু থাকলে আমাদের কম্পিউটার স্লো কাজ করা শুরু করে। এটা একটি ভুল ধারনা।সুতরাং এই ভুল ধারনা থেকে বের হয়ে আস্তে হবে।
Leave a Reply