এই আর্টিকেল পড়া শুরু করার আগে আপনার কাছে প্রথম একটি প্রশ্ন করে নেই,আচ্ছা বলুন ৎ আপনি আপনার দেহের কোন অঙ্গ ছাড়া বাঁচতে পারবেন না?কি ভাবছেন হাত,পা,চোখ?যদি তাই ভেবে থাকেন তাহলে আপনার উত্তরটি সঠিক হয় নি!সঠিক উত্তর হল মাথা।জি আপনি আপনার মাথা ছাড়া কোন ভাবেই বেঁচে থাকতে পারবেন না।এবার বলুন ত আপনার কম্পিউটার অথনা আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মাথা কোনটি?আপনি হয়ত এই প্রশ্নের উত্তর জানেন।আবার অনেকেই জানে না,যারা জানে না তাদের জন্য উত্তর হল আপনার কম্পিউটার অথবা আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মাথা হল প্রসেসর।জি আপনি ঠিক শুনেছেন।প্রসেসর ছাড়া আপনার কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোন কোন ভাবেই চলবে না।আর আমরা আজকের এই লেখার মাধ্যমে জানবো মোবাইল এবং কম্পিউটার এর প্রসেসর এর মধ্যে পার্থক্য কি?
আপনার কম্পিউটার অথবা মোবাইল দুইটা তেই প্রসেসর ব্যাবহার করা হলেও এই দুটি ডিভাইস এর প্রসেসরের মধ্য কিছু পার্থক্য রয়েছে।কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনের প্রসেসর দেখতে একই রকম হলেও ডিজাইন,স্পিড এবং ফিচারে কিছু ভিন্নতা রয়েছে।আজকে আমরা মোবাইল এবং কম্পিউটার এর প্রসেসরের ছোট ছোট কিছু ভিন্নতা সম্পর্কে জানবো।
আকারঃ
মোবাইল এবং কম্পিউটার এর প্রসেসর এর মধ্যে পার্থক্য যদি আমরা করতেই চাই তবে প্রথমে এর আকার এর কথা চলে আসে।মোবাইল এর প্রসেসর এর চাইতে কম্পিউটার এর প্রসেসর এর আকার অনেক বড়।আর কম্পিউটার যেহেতু মোবাইল ফোন এর চাইতে আকারে এবং কাজে বেশী শক্তিশালী সুতরাং কম্পিউটার এর প্রসেসর বড় হবে এটাই স্বাভাবিক।
গতিঃ
মোবাইল ফোনের স্পিড এর চাইতে কম্পিউটার এর প্রসেসরের স্পিড অনেক বেশী।আবার কম্পিউটার এর প্রসেসরের জন্য রয়েছে ঠাণ্ডা করার বাবস্থা অপরদিকে মোবাইল ফোনের প্রসেসরের ঠাণ্ডা করার কোন বেবস্থা নেই।আর এই কারনেই কম্পিউটার প্রসেসর এর চাইতে মোবাইল এর প্রসেসর এর গতি কিছুটা কম।
কোন প্রসেসর কতটা শক্তি খরচ করে?
আপনি আপনার কম্পিউটারে যত বেশী পারফরমান্স যুক্ত প্রসেসর ব্যাবহার করবেন আপনার তত সক্তির প্রয়োজন হবে।যেহেতু কম্পিউটার এর প্রসেসর এর আকার এবং স্পিড দুই’ই বেশী সুতরাং এটি বেশী শক্তি খরচ করবে এটাই স্বাভাবিক।শক্তিশালী একটি কম্পিউটার ৪৫০ থেকে ৮৫০ ওয়াট অথবা এর চাইতে বেশী বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে,আর এই কারনেই কম্পিউটার এর প্রসেসরে কুলিং ফ্যান লাগান থাকে।পক্ষান্তরে মোবাইল ফোন ব্যাটারির মাধ্যমে চলে তাই মোবাইল ফোনের প্রসেসরের জন্য অনেক কম বিদ্যুৎ খরচ হয় আর সেই জন্য মোবাইলের প্রসেসর গরম হয় না আর কুলিং ফ্যানেরও প্রয়োজন পরে না।
সিলিকনের ব্যাবহারঃ
কম্পিউটারের প্রসেসরের আকার,গতি যেহেতু বেশী সেহেতু এখানে বেশী পরিমান সিলিকন বেবহার করা হয়।অপরদিকে মোবাইলের প্রসেসরের আকার এবং গতি কম সেই জন্য এখানে সিলিকন খুব কম ব্যাবহার করা হয়।
শেষ লাইনঃ
আকার,গতি এবং কাজের পারফরমান্স এর দিক থেকে মোবাইল ফোনের প্রসেসরের থেকে কম্পিউটার প্রসেসর সব সময় এগিয়ে যদিও বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনের প্রসেসরের অনেক উন্নতি সাধন করা হয়েছে।এবং সেই সাথে কম্পিউটার এর প্রসেসরের ও অনেক উন্নতিসাধন করা হয়েছে।তাই মোবাইল ফোনের প্রসেসর আকার,ওজন এর দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও কম্পিউটার এর প্রসেসর ক্ষমতার দিক থেকে সব সময় এগিয়ে।
Leave a Reply