আপনি হয়ত ক্যাশ টাকা সাথে নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন না!আপনি নগদ টাকা নিয়ে চলাফেরা কে একদম ঝামেলা মনে করেন।তাহলে আপনার একমাত্র সল্যুশন হল ক্রেডিট কার্ড।আপনি যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে থাকেন অথবা ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য গ্রাহক হতে চাচ্ছেন।তাহলে এই লেখা টি আপনার অবশ্যই ভালোভাবে পড়া উচিত।আমরা আজকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানবো কিভাবে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড আমরা পেতে পারি।ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে আমাদের কি কি শর্ত পুরন করতে হবে।
বর্তমান সময়ে সারা পৃথিবীতে অনলাইন ব্যাংক এর ব্যাবহার বেড়েই চলেছে।এবং এটি অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।বাংলাদেশ ও এর থেকে পিছিয়ে নেই।বাংলাদেশে ডাচ-বাংলা ব্যাংক অনেক জন প্রিয় একটি ব্যাংক।ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংক সব চাইতে নিরাপদ মোবাইল ব্যাংকিং বেবস্থা।
আপনি যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গ্রহন করতে চান তাহলে আপনার উচিত হবে আপনার নিকটস্থ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কোন শাখায় যেয়ে এই ব্যাপারে আলোচনা করা।আপনি হয়ত ভাবতে পারেন যদি শাখাতেই যেতে হয় তাহলে এই আর্টিকেল পড়ার কি দরকার।আমি বলব আপনার পড়ার প্রয়োজন আছে।কারন আপনি যদি এই ব্যাপারে কিছুই না জেনে থাকেন তাহলে তাদের কথা গুলো বুঝতে আপনার কষ্ট হবে।আমরা এই আর্টিকেল পড়ব এই কারনে যেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যাংক কর্মকর্তাদের কথা গুলো আমাদের বুঝতে সুবিধা হয়।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে চাইলে নিচের কাগজ পত্র গুলোর প্রয়োজন হবেঃ
আপনার সদ্য তোলা এক কপি ছবি,ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নাম্বার এর কপি,আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি(১ থেকে ৬ নাম্বার পাতা এবং নবায়ন পাতা),আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি,আপনার বাসার বিদ্যুৎ,ফোন অথবা গ্যাস বিলের ফটোকপি,গত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট,যদি আপনি চাকুরীজীবী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সর্বশেষ বেতন এর সনদ বা বেতন স্লিপ,আপনার ভিসিটইং কার্ড,আপনার যদি অন্য কোন ক্রেডিট কার্ড থেকে থাকে তাহলে সেই ক্রেডিট কার্ড এর বিল এর কাগজ।
আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড গ্রহন করতে চান তাহলে আপনাকে ক্রেডিট কার্ড গ্রহনের পূর্বে অবশ্যই যে ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড গ্রহন করতে চান সেই ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত সকল প্রকার নীতিমালা আগে জেনে নিতে হবে।কারন ক্রেডিট কার্ড এর কিছু গোপন নীতিমালা আছে সেই সম্পর্কে আপনার জানা না থাকলে আপনি পরে অনেক ঝামেলায় জরিয়ে যেতে পারেন।আমরা এখানে যেহেতু আলোচনা করছি কিভাবে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সহজে পেতে পারি।তাই আমরা এই পোস্ট এর মাধ্যমে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কিত নীতিমালা সমুহ জানবো।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড আপনার জীবন যাত্রার মাঙ্কে আরও উন্নত করবে।আপনি যখন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার করে কোন কিছু কিনবেন তাঁরা আপনাকে নগদ ক্যাশ ব্যাক দিয়ে থাকে।এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড বাংলাদেশের প্রথম ইএমভি ক্রেডিট কার্ড।
আপনি চাইলে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড দেশ এবং দেশের বাহিরে ব্যাবহার করতে পারবেন।ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড এর জন্য আপাকে প্রতি বছরে ১৮% সুদ দিতে হবে এবং প্রতি মাসে ১.৫% সুদ দিতে হবে।আপনি যখন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নতুন ক্রেডিট কার্ড নিবেন এর জন্য আপানেক কোন ফি দিতে হবে না।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড এর বার্ষিক নবায়ন ফি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা।এটা আপনার ক্রেডিট লিমিট এর উপর কম বা বেশি হতে পারে,এছারা আপনার বার্ষিক কেনাকাটার পয়েন্ট এর উপর নবায়ন ফি অনেক সময় ১০০% ছাড় দেওয়া হয়।আপনাকে কোন প্রকার বিলম্ব ফি এর শিকার হতে হবে না।এছারা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের রয়েছে সুবিশাল এটিএম নেটওয়ার্ক।এই নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করে একজন ক্রেডিট কার্ড এর গ্রাহক কোন রকম ফি ছারায় টাকা উত্তোলন করতে পারবে।
এছারাও একজন গ্রাহক চাইলে সারা পৃথিবীর যেকোনো এটিএম থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার করে টাকা উত্তোলন করতে পারবে।এই ক্ষেত্রে অনেক সময় আপনার চার্জ দেওয়া লাগতে পারে।আপনি যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার করে কোন ই-কমার্সের মাধ্যমে কেনাকাটা করে থাকেন তাহলে ৫০ দিনের মধ্যে সেই বকেয়া পরিশোধ করলে আপনাকে কোন সুদ দিতে হবে না।
একজন ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার তার ক্রেডিট কার্ড থেকে ৯০% পর্যন্ত অর্থ তার ডিবিবিএল অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারবেন।একজন গ্রাহক প্রতি বছরে ২ টি কার্ড গ্রহন করতে পারবে একদম বিনামুল্লে।আপনি যখন আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার করে কোন লেনদেন করবেন তখন প্রতিবার আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রী।আপনি চাইলে সারাদেশ ব্যাপী ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখা, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এটিএম এবং ফাস্ট ট্র্যাকের মাধ্যমে আপনার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড এর বিল জমা দিতে পারবেন।
Leave a Reply