কেমন লাগে যখন আপনার কম্পিউটার অনেক ধীর গতিতে কাজ করে?অনেক বিরক্তিকর তাই না?কিন্তু এই ব্যাপারটা যদি আপনি আপনার কম্পিউটার কেনার আগে ভাবতেন তাহলে আপনাকে এই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হত না।তাই আমাদের উচিত যখন আমরা কোন নতুন কম্পিউটার (ডেক্সটপ/ল্যাপটপ) কিনতে যাব তখন আমাদের প্রথমে আমাদে এই ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে যে আমরা যে ডেক্সটপ অথবা ল্যাপটপ কম্পিউটার কিনতে চাচ্ছি টা কি আসলেই অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করবে?নাকি করবে না?আজকে আপনার এই পোস্ট এর ,মাধ্যমে জানবো কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ কেনার আগে কোন কোন বিষয় গুলতে নজর রাখা উচিত যেন আমাদের নতুন কেনা কম্পিউটার টি অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করে।কেনার পড়ে ধীর গতি যেন না হয়।তাহলে চলুন শুরু করা যাকঃ
আপনার হার্ড ডিস্ক এর স্পেস চেক করুনঃ
কম্পিউটার বলেন আর ল্যাপটপ বলেন একটা সাধারন নিয়ম হল আপনার সব সময় ১৫% ডিস্ক স্পেস খালি রাখা উচিত।চেক করার পর যদি দেখেন আপনার হার্ড ডিস্ক ফুল হয়ে গেছে,তাহলে আপনি এখান থেকে কিছু অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করে দিতে পারেন।কারন যখন আপনার কম্পিউটার এর হার্ড ডিস্ক সম্পূর্ণ লোড হয়ে যাবে তখন এই ফাইল গুলো আপনার কম্পিউটার এর গতি কিছু টা কমিয়ে আনবে।আর আরও একটি ভাল অভ্যাস হল অপ্রয়োজনীয় ফাইল গুলা কাজ শেষে ডিলিট করে দেওয়া।
যে ট্যাব গুলো ব্যাবহার হয় না সেসব বন্ধ করে দেওয়াঃ
আপনি যদি অনেক বড় প্রোজেক্টে কাজ করেন আর আপনার যদি অনেক বেশী ট্যাব থাকে,তাহলে আপনার উচিত হবে অপ্রয়োজনীয় ট্যাব গুলো বন্ধ করে দেওয়া।অথবা আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজার রি-স্টার্ট দিতে পারেন।কারন প্রায় সব ইন্টারনেট ব্রাউজার রি-স্টার্ট দেওয়ার পর আপনাকে অপশন দিবে ( জিজ্ঞাসা করবে আপনি কি আপনার পূর্ববর্তী ট্যাব গুলো আবার ওপেন করতে চান)। সুতরাং যখনই মনে হবে আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ধীর গতিতে কাজ করছে তখনই আপনি আপনার অপ্রয়োজনীয় ট্যাব গুলো বন্ধ করুন অথবা আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজার রি-স্টার্ট দিন।
অপ্রয়োজনীয় বড় ফাইল মুছে ফেলুনঃ
যদি আপনার কম্পিউটারে এমন কোন ফাইল থাকে যা সুধুমাত্র ইন্সটল এর প্রয়োজনে ব্যাবহার করা হয়েছে এবং এর পর আর কোন কাজে আসছে না।তাহলে আপনার উচিত হবে দ্রুত আপনার এই রকমের ফাইল গুলো আপনার কম্পিউটার থেকে সরিয়ে ফেলা।কারন অনেক বড় বড় ফাইল অনেক সময় আপনার কম্পিউটার কে ধীর গতি সম্পন্ন করে ফেলে।
আপনার কম্পিউটার রি-স্টার্ট করুনঃ
আপনি কি জানেন কেন আপনার কম্পিউটার ধীর গতিতে কাজ করে?না জানলেও সমস্যা নেই,আমি বলে দিচ্ছি,যখন আপনার কম্পিউটার এর ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ অনেক বেশী মেমোরি ব্যাবহার করা শুরু করে তখন আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্বভাবসুলভ ভাবেই ধীর গতিতে কাজ করা শুরু করে দেয়।এর থেকে পরিত্রান এর উপায় একটায় আর তা হল আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ কে দ্রুত রি-স্টার্ট দেওয়া।
আপনার ডাটা ব্যাকআপ রাখুনঃ
আপনার যদি মনে হয় আপনার কম্পিউটার এর মেমোরি অনেক কম কিন্তু আপনার পক্ষে ডাটা গুলো ও মুছে ফেলা সম্ভব না।তাহলে আপনার ফাইল গুলো অন্য কোন জায়গায় সংরক্ষন করে রাখুন।ডাটা ব্যাকআপ রাখার জন্য নিচের পদ্ধতি গুলো অনুসর করতে পারেনঃ
১। একটি অতিরক্ত হার্ড ডিস্ক কিনে আপনার ফাইল সেই হার্ড ডিস্কে সংরক্ষন করতে পারেন
২। অনলাইনে ব্যাকআপ রাখতে পারেন।যেমনঃ গুগল ড্রাইভ,অ্যামাজন ড্রাইভ,ড্রপ বক্স ইত্যাদি।
৩। আপনার ডাটা গুলো সিডি অথবা ডিভিডি ডিস্কে সংরক্ষন করতে পারেন।
ডাটা ব্যাকআপ নেওয়া হয়ে গেলে আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থেকে ফাইল গুলো মুছে ফেলুন।কারন এই ডাটা গুলোর ব্যাকআপ আপনার কাছে আছে।আর মুছে ফেলার কারনে আপনার হার্ড ডিস্ক ফাঁকা হবে আর এর ফলাফল হল আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ হবে দ্রুত গতি সম্পন্ন।
অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম সমূহ আনইন্সটল করে দিনঃ
আপনার কম্পিউটার কি এমন কিছু প্রোগ্রাম ইন্সটল করা আছে যেগুলো আপনার কোন কাজে লাগে না।কোন প্রোগ্রাম কীভাবে কাজ করে সুধু এটা টেস্ট করার জন্য ইন্সটল করেছিলেন?কিন্তু পরে আর আনইন্সটল করা হয় নি!এই রকম কোন প্রোগ্রাম থাকলে এখুনি আনইন্সটল করে দিন।
RAM চেক করুনঃ
আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর RAM চেক করুন।আপনার প্রয়োজনের থেকে কম থাকলে আপনার উচিত হবে নতুন RAM সংযোজন করা।RAM বড় হলে আপনার কম্পিউটার এর গতি বাড়বে।
ইন্টারনেট ব্রাউজার এর ক্যাশ কুকি ডিলিট করুনঃ
আপনি কি অনেক দিন হল আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যাবহার করেন?আপনি কি জানেন যে আমরা আমাদের কম্পিউটার এর ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যাবহার করে যত নেট ব্রাউজ করি তা আমাদের ইন্টারনেট ব্রাউজার এর একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডারে জমা হয়!এবং এই জমা হয়ে থাকা ক্যাশ কুকি আমাদের কম্পিউটারকে ধীর গতি সম্পন্ন করে তুলে।সুতরাং একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর আমাদের এসব ক্যাশ কুকি ডিলিট করা উচিত।
আমারা এই লেখার মাধ্যমে জানলাম কীভাবে আমাদের কম্পিউটার কে দ্রুত গতি সম্পন্ন করতে হয়।তবে আমাদের সকলের উচিত কম্পিউটার কেনার সময় এর কনফিগারেশন সম্পর্কে সচেতন থাকা তাহলে এই ধীর গতির সমস্যা হতে অনেকটা নিস্তার পাওয়া যাবে।কিন্তু আমরা অনেকেই না বুঝে অনেক সময় কনফিগারেশন সম্পর্কে না জেনে কম্পিউটার কিনে বিভন্ন সমস্যার সম্মুখীন হই।যার মধ্যে কম্পিউটার ধীর গতিতে কাজ করা অন্যতম।আর আপনি যদি এই ভুল করেই থাকেন তাহলে উপরক্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
Leave a Reply