এসইও এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস!যা কেউ আপনাকে এতদিন বলেনি

আজকের দিনে যারা ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকেন তাদের ওয়েবসাইট/ব্লোগ নেই এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। দিন যাবে এ সংখ্যা আরও কমে যাবে।শুধু ওয়েবসাইট/ব্লোগ থাকলেই হয় না সেখানে ভিজিটর থাকতে হয়।আর ভিজিটর নিজে থেকে আপনার ওয়েবসাইটে আসবে না।তাকে নিয়ে আসতে হবে।বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে ভিজিটরকে নিজের ওয়েবসাইটে নিয়ে আসাকেই এস ই ও বা সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন বলা হয়ে থাকে।তো আজকে আমি আপনাদের সেরকমই কিছু টিপস দিব সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে।

ফ্লাশ বা ইমেজের ব্যবহার কমান:

অনেকেই সাইটে অতিরিক্ত ইমেজ/ফ্লাশ ব্যবহার করে থাকেন।খুব বেশি ইমেজ/ফ্লাশ এস ই ও এর জন্য ক্ষতিকর।ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং হতে বেশী সময় নেয়।এতে ভিজিটরের মনে সাইট সম্পর্কে খারাপ ধারনা জন্মায়।ভিজিটর কমে যায়।সার্চ ইন্জিনে আপনার সাইট নিচের দিকে নেমে আসে।তাই খুব কম ইমেজ/ফ্লাশ ব্যবহারের চেষ্টা করুন।

যুক্তিসঙ্গত পোস্ট এবং টাইটেল:

অনেকেই ভিজিটরকে আকর্ষন করতে কোন পোস্ট লিখে তার টাইটেল দেয় অন্যরকম।অর্থাৎ তার পোস্ট এবং টাইটেল এর কোন মিল থাকে না।এরকম করা যাবে না।এর কিছু কুফল আছে।যদি আপনি ভিজিটর আকর্ষন করতে পোস্ট টাইটেল চমকপ্রদ দেন কিন্তু ভিজিটর পোস্ট পড়ে তেমন উপকারপ্রাপ্ত হয় না।তখন আপনার সাইট সম্পর্কে তার মনে একটা খারাপ মনোভাব জন্মাবে।এরপরে ভাল এবং প্রয়োজনীয় পোস্টকেও এড়িয়ে যেতে পারে।এতে আপনার সাইটের বাউন্স রেট বেড়ে যাবে।সার্চ রেজাল্টে পিছনে নেমে যাবেন।যা আপনি কখনই চান না।

সাইটম্যাপ এবং ব্যাকলিঙ্ক:

ব্যাকলিঙ্ক একটি ওয়েবসাইটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন।ব্যাকলিঙ্ক এর কারনে সরাসরি কিছু ভিজিটর পাওয়া যায়।আবার ব্যাকলিঙ্ক থেকেই সার্চ ইন্জিন আপনার সাইটকে ভালভাবে চিনতে পারে,যদি সেই ব্যাকলিঙ্কটা হয় ভাল পেজরেঙ্ক বিশিষ্ট সাইট থেকে পাওয়া।
সাইটম্যাপ তেমনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ন জিনিস এতে ভিজিটর আপনার সাইট থেকে খুব সহজেই তথ্য খুজে পেতে পারে এবং সার্চ ইন্জিন খুব সহজেই আপনার সাইট থেকে তথ্য খুজে বের করতে পারে।এস ই ও এর এটি একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়।

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নিজের সাইটকে আপডেট রাখা:

ফেসবুক,টুইটার এর মত ভালমানের যেসব সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট রয়েছে সেসব সাইটে আপনার সাইটকে নিয়মিত আপডেট রাখুন,ওয়েবসাইটের পোস্ট সেখানে শেয়ার করুন।তাহলে সরাসরি ভিজিটর পাবেন,সাইট পরিচিতি লাভ করবে, সার্চ রেজাল্টে ভাল অবস্থানে আসতে পারবেন।

পোস্টে বানান ঠিক রাখুন:

কেউই ভুলের উর্দ্ধে নই।ভুল কমবেশী হবেই,এটাই স্বাভাবিক।তবু যথাসম্ভব চেষ্টা করুন,বানান ভুল হলে আপনি ভিজিটরের কাছে আপনার বক্তব্য তুলে ধরতে ব্যর্থ হতে পারেন।এতে আপনার সব চেষ্টাই বিফলে যেতে পারে।এছাড়াও ভিজিটর আপনার সম্পর্কে খারাপ ধারনা পেতে পারে।

সাইটকে সার্চ ইন্জিনে সাবমিট করুন:

গুগল,ইয়াহু,বিং এর মত সার্চ ইন্জিনগুলোতে আপনার সাইটকে সাবমিট করুন।এতে সার্চ ইন্জিন আপনার সাইটকে ভালভাবে খুজে পাবে।সার্চ রেজাল্টে ভাল স্থান পাবেন।

ফেসবুক ফ্যানপেজ,আর এস এস এর ব্যবস্থা রাখুন:

আপনার সাইটকে সবসময় ভিজিটরের নাগালে রাখতে চাইলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে আর এস এস ফিড ব্যবহার করতে পারেন,তাহলে ভিজিটর আপনার সাইটকে ভুলে যেতে পারবে না।বর্তমানে ফেসবুক এর ব্যবহারকারী ১০০ কোটি পেরিয়ে গেছে,তাই সম্ভাবনা সেখানে প্রচুর।আপনিও পারেন এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে।আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লোগের জন্য ফেসবুক পেজ তৈরি করতে পারেন,যারা আপনার ব্লোগ/ওয়েবসাইটের ভিজিটর তারা আপনার সাইটের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আপডেট থাকতে পারবে।এতেও ভিজিটর আপনার চোখে চোখে থাকল।

এছাড়াও যে জিনিসগুলো মনে রাখবেন তা হল-কখোনো ব্লাক এস ই ও করবেন না।আপনার সাইটের ফেসবুক পেজে নিয়মিত ওয়েবসাইটকে আপডেট রাখার চেষ্টা করুন।ফেসবুক ফ্যানদেরকে মাঝেমধ্যে ভাল কিছু উপহার দিন।যেমন জোকস,গল্প ইত্যাদি।ইয়াহু অ্যানসার সাইটে অংশগহনের মাধ্যমে আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়াতে পারেন।
ধন্যবাদ সময় দিয়ে পড়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *