নিউজ ডেস্কঃ মিথ্যা এবং সম্পূর্ণ বানোয়াট একটি ইমেইলের উপর ভিত্তি করে গবেষণা চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ আনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে।এলেক্স মার্টিন নামের এক বিদেশি নাগরিক এই মেইলটি করেন।আর এবার এই এলেক্স মার্টিনের বিরুদ্ধেই মামলা করলেন সামিয়া রহমান।
আজকে বুধবার ৩১ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে এই মামলা দায়ের করেন সামিয়া রহমান।বিচারক বাদির জবানবন্দী নিয়ে পরে আদেশ দিবেন বলে জানিয়েছেন।ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামিম আল মামুন এই মামলার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন।
চলতি বছরের গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগে সামিয়া রহমানকে পদাবনতি করে সহকারী অধ্যাপক করা হয়।
সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিগত ২০১৬ সালের ২ ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের “A new dimension of Colonialism and Pop Culture : A Case Study of the Cultural Imperialism” নামের একটি গবেষণা প্রবন্ধ সোশ্যাল সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়,যা মিশেল ফুকোর ‘Subject and Power‘ নামের একটি প্রবন্ধর ৫ টি পৃষ্ঠার সাথে হুবুহু মিল পাওয়া যায়।এবং মিশেল ফুকোর ‘Subject and Power’ এই প্রবন্ধটি ১৯৮২ সালে শিকাগো জার্নালে প্রকাশ করা হয়।
গত ২০১৭ সালেই এই গবেষণা চুরির ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।এই অভিযোগের পর অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই সামিয়া রহমান দাবি করে এসেছে যে একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করছে এবং তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
Leave a Reply