তার আগে বলি রিচ কমে যাওয়ার একটা বড় কারণ হচ্ছে ফেসবুক এর পক্ষ থেকে আপনার পেইজ বা পোস্টগুলো কে রেস্ট্রিকটেড করে দেওয়া।কেন রেস্ট্রিকটেড করে দেয়??
১)ওভার প্রমোশনঃ আপনার ফেসবুক পেইজে আপনি খুব বেশি পরিমাণে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন,বেশি বাণিজ্যিক মনোভাব প্রকাশ করছেন।যেমন আপনি প্রতিদিন ১০ টা ১৫ টা শুধু মাত্র আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে পোস্ট শেয়ার করছেন,ঘন্টার পর ঘন্টা লাইভ করে যাচ্ছেন।তাহলে ফেসবুকের পক্ষ থেকে আপনার পেইজ বা পোস্ট গুলো রেস্ট্রিকটেড করে দিবে। একদিনে সর্বোচ্চ ৫-৬ টি পোস্ট করতে পারেনফেসবুক অথরিটি কখনোই চাইবে না,তাদের প্লাটফর্মে ননসেন্স বা কোন বোরিং পোস্ট দিয়ে ভরে যাক,এতে করে তাদের অডিয়েন্স বিরক্ত বোধ করতে পারে,তাই একই প্রোডাক্টসের পোস্ট বার বার দিলে অডিয়েন্স বিরক্ত হতেই পারে,আর সেই কারণে আপনার পেইজ রেস্ট্রিকটেড করে দেওয়া হতে পারে।আমরা যখন আমাদের পেইজে প্রোডাক্ট নিয়ে কোন পোস্ট দেই বা কোন কন্টেন্ট লিখি সেটা আমাদের কাছে মানে ওউনার দের কাছে অনেক দামী।কিন্তু ফেসবুকে আপনার যারা ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি আছে তারা এতে একঘেয়েমি বোধ করতে পারে,তারা একটু বিনোদন চাইতেই পারে।
২) আপনি যদি আপনার পেইজে ঘন ঘন এডমিন বা মডারেটর চেঞ্জ করেন তাহলেও ফেসবুক অথরিটি আপনার পেইজ রেস্ট্রিকটেড করে দিতে পারে। মিনিমাম ১-২ মাস পর এডমিন বা মডারেটর চেঞ্জ করবেন।
৩)মিসলিডিং বা স্প্যামঃ যদি আপনার পেইজের ডেসক্রিপশন বক্সে এমন কোন কথা লিখা থাকে যা ফেসবুক অথরিটি কখনোই সমর্থন করে না,তাহলেও পেইজ রেস্ট্রিকটেড হতে পারে।যেমন ধরুন,লাইসেন্স ছাড়া কোন ড্রাগ বা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন পোস্ট এমনি এমনি ই শেয়ার করে দিলেন। অথবা এমন কিছু লিখলেন যা বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর বা এডাল্ট দের জন্যও সমীচীন নয় তাহলে আপনার পেইজ মিসলিডিং বা স্প্যামের ক্যাটাগরিতে চলে যাবে। মানে পেইজ রেস্ট্রিকটেড করে দেওয়া হবে।আবার সেক্সুয়াল বা ন্যুড জাতীয় কোন কন্টেন্ট শেয়ার বা পোস্ট করলেও নির্দ্বিধায় রেস্ট্রিকটেড হয়ে যেতে পারেন।
৪) এডমিন প্রোফাইল থেকে আপনার পেইজের পোস্ট বা কন্টেন্ট ঘন ঘন কোন গ্রুপে শেয়ার করলে বা আপনার আত্মীয়স্বজন এর দ্বারা যদি বার বার কোথাও শেয়ার করাতে থাকেন,তাহলেও পোস্ট রিচ হবে না,বা রেস্ট্রিকটেড হয়ে যেতে পারেন। এই ভুল কখনোই করবেন না।
আপনার কন্টেন্ট যদি ভ্যালুয়েবল হয়ে থাকে,তাহলে তো সেটা কোথাও শেয়ার করার কোনই প্রয়োজন নেই,সেটা এমনি ই রিচ হবে।
৫) হুবহু কোন ব্রান্ডের নাম বা লোগো কপি করে নিজের পেইজ খুলবেন না ভুলেও। পেইজ রেস্ট্রিকটেড হওয়া থেকে আর কেউ ঠেকাতে পারবে না তখন,পেইজ রেস্ট্রিকটেড হয়ে যেতে বাধ্য!!!
৬)অনেকেই আছেন একটা আগে থেকেই গ্রো করা বা তৈরি হওয়া পেইজ কিনে ফেলেন। তখন যার কাছ থেকে কিনবেন,সে যখন আপনাকে এডমিন বানাবে তখন পেইজ রেস্ট্রিকটেড হয়ে যেতেও পারে!!চেষ্টা করবেন,নতুন একটা পেইজ খুলে মেহনত করে, নিজের মনমতো সাজিয়ে একটা পেইজ নিজে থেকেই গ্রো করে নিতে।
এবার একটা রেস্ট্রিক্ট থেকে বাঁচতে ছোট আইডিয়া দেই
ফেসবুক অথরিটি কখনোই চায় না,যে আপনি তাদের প্লাটফর্মে ঘন ঘন এডভার্টাইজ করেন,প্রোমোট করেন বিনা টাকায়। এজন্যই কিন্তু তারা বুস্ট অপশন খুলেছে। যেখানে আপনি বুস্ট করলে তারা টাকা পাবে এবং বিনিময়ে আপনার কোন পোস্ট তারা অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে দিবে।তাই ছয় মাসে একবার বা বছরে দুবার বুস্টিং করুন,ফেসবুক কে খুশি রাখুন এবং এতে করে অবশ্যই পেইজ রেস্ট্রিকটেড হওয়ার হাত থেকেও বেঁচে যাবেন।
সবশেষে একটা ছোট্ট টিপস দেইঃ যদি আপনি প্রতিদিন ৬ টি পোস্ট করেন তাহলে তার মধ্যে অবশ্যই ৩ টি পোস্ট বিনোদনমূলক বা সমসাময়িক কোন ঘটনা নিয়েও কোন কন্টেন্ট লিখে পোস্ট করবেন।কোন কিছু নিজের পেইজে শেয়ার করবেন না ভুলেও!যে কোন ভিডিও বা ছবি বা পোস্ট নিজ থেকে আপ্লোড দিবেন,শেয়ার নয়।মাঝে মাঝে সুন্দর কোন একটা ছবির সাথে ছোট কোন কন্টেন্ট লিখতে পারেন,অডিয়েন্স খুশি হবে।মোট কথা সবসময় বাণিজ্যিক এই চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে এসে একটু বিনোদনমূলক পোস্ট ও করতে হবে,এতে করে আপনার পেইজের প্রতি অডিয়েন্স মোটেও আগ্রহ হারাবে না। আর আপনার পেইজ ও ধীরে ধীরে রিচ হতে থাকবে।আর্টিকেলের মূল লেখকঃ MD Mustafizur Rahman Khan
Leave a Reply