আপনি যদি উইন্ডোজ ব্যবহারকারী হন, তবে আপনি খেয়াল করেছেন যে পিসি পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করে উইন্ডোজ এর অপারেটিং সিস্টেম এর কার্যকারিতার উপর লক্ষ্য করে। তবে, আপনি যদি উইন্ডোজ টেন ব্যবহার করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে আপনার হার্ডড্রাইভ যদি অনেক ধীর গতির মানের হয়ে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই অনেকগুলো প্রবলেমের মধ্যে পড়তে পারেন। আজকের এই বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করতে চলেছি তো কথা না বাড়িয়ে আর্টিকেলে বিস্তারিত শুনতে থাকো।
তাছাড়া উইন্ডোজ টেন এর কিছু কার্যকারিতার কারণে আপনার হার্ড ড্রাইভ ধীরগতি হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি যদি কিছু রুলস ইউজ করেন। সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার হার্ড ড্রাইভ সহ পুরো কম্পিউটারকে আপনি ফাস্ট করতে পারবেন।
উইন্ডোজ ডিভাইস ম্যানেজার
এখন, আপনি যদি আপনার উইন্ডোজ পিসি ব্যবহার করে থাকেন। তবে ডিভাইস ম্যানেজার নামটি আপনার কাছে অদ্ভুত হওয়া উচিত নয়। এটা কি আপনি খুব ভালোভাবে চিনতে পারেন। ডিভাইস ম্যানেজারটি ড্রাইভের পড়ার ও লেখার গতি বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। ডিভাইস ম্যানেজারে লিখিত ক্যাচিং সক্ষম করা আপনার কম্পিউটারকে আপনার হার্ড ড্রাইভে স্থানান্তর করার আগে ক্যাশে ডেটা সংরক্ষণ করার অনুমতি দিয়ে থাকে। হার্ড ড্রাইভে সংরক্ষণের চেয়ে ক্যাপিতে ডেটা সংরক্ষণ আপনার সিপিইউর পক্ষে অনেক দ্রুত এর হতে পারে। যা আপনার কম্পিউটার জন্য অনেকটা ভালো দিক। ফলস্বরূপ, আপনার হার্ড ড্রাইভের পারফরম্যান্সও উন্নত হয়ে যাবে। আশা করি এ সিস্টেম কি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
১।একটি দ্রুত মেনু খুলতে শর্টকাট Win + X ব্যবহার করুন।
২। তারপর আপনি ডিভাইস ম্যানেজারে নির্বাচন করুন।
৩। ডিস্ক ড্রাইভ সার্চ করুন এবং সেই বোতামে ক্লিক করুন।
৪। আপনি যে ড্রাইভটি পরিবর্তন করতে চান তা সিলেক্ট করুন এবং আপনি ডান বোতামে ক্লিক করুন।
৫। তারপর আপনি পপ-আপ মেনু থেকে প্রপাট্রিকস ক্লিক করুন।
এবং এর বিশেষ কিছু নীতিমালা রয়েছে এগুলো পড়ে ভালোভাবে কাজ কমপ্লিট করে ফেলুন।
এবং শেষ কথা আমি কিছু কথা বলতে চাই যে। এ কাজ করার আগে আপনার সম্পূর্ণ ক্যাটাগরি ব্যাকআপ করে রাখা উচিত। কেননা আপনার এই ডাটা গলি কম্পিউটার খোলার পরে যেকোনো সময় মুছে যেতে পারে। তাই এটি করার আগে আপনার সমস্ত টাকাগুলো ব্রেকআপ নিয়ে একটি হস্তান্তর করে কাজ সেরে ফেলুন।
উইন্ডোজ ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট
উইন্ডোজ ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট হল হার্ড-ড্রাইভের পারফরম্যান্স বৃদ্ধিতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি এটি একটি বিল্ট-ইন উইন্ডোজ ১০ টুলস। ডিভাইস ম্যানেজারের মতো আপনার ডেটা ক্যাশে করার পরিবর্তে ডিস্ক পরিচালনা আপনাকে আপনার ড্রাইভটি পুনরায় আনতে সহায়তা করে। আপনার হার্ড ড্রাইভকে বিভক্ত করার ফলে উইন্ডোজ ১০ এর জন্য নির্দিষ্ট ডেটা সনাক্ত করা সহজ হয়, যার ফলে আপনার ড্রাইভে লোডের সময় কমে যায়। এবং আপনার কমপিউটারের পারফরমেন্স অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।
এবং এই কাজটা আপনারা সবাই নাও পারতে পারেন। তাই আমি এই সিস্টেম কি বা এটি কীভাবে ব্যবহার করবেন তা এখানে বিস্তারিত আলোচনা করে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
১। একটি দ্রুত মেনু খুলতে শর্টকাট Win + X ব্যবহার করুন।
২। ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিলেক্ট করুন।
৩। ডিস্ক ড্রাইভ সার্চ করুন।
৪। আপনি যে ড্রাইভটি পরিবর্তন করতে চান তা নির্বাচন করুন এবং এটিতে ডান ক্লিক করুন।
৫। তারপর আপনি পপ-আপ মেনু থেকে “সঙ্কুচিত ভলিউম” সিলেক্ট করুন।
তারপর আপনি দা ফ্রি স্পেসে আবার ডান ক্লিক করুন এবং “নিউ জেনারেল ভলিউম” নির্বাচন করুন।
৭। নতুন ভলিউমের জন্য আকার নির্বাচন করুন।
৮। আপনার নতুন ভলিউমের জন্য ফাইল সিস্টেমটি সিলেক্ট করুন এবং উইন্ডোটি বন্ধ করুন।
৯। “ফাইল এক্সপ্লোরার” এ যান এবং “দিস পিসি” বা আপনার পিসি নামটি আপনার ডেস্কটপে যেমন সংরক্ষণ করা হয়েছে তা পরীক্ষা করুন। তারপর আপনি নতুন ভলিউম দেখতে পাবেন।
উইন্ডোজ অপটিমাইজ ড্রাইভ
উইন্ডোজ অপ্টিমাইজ ড্রাইভ হয়তো আপনারা সবাই শুনেছেন যারা উইন্ডোজ টেন ব্যবহার করতেছেন। আপনার হার্ডড্রাইভের পারফর্মেন্স বৃদ্ধি করার জন্য এই টুলসটি অনেক কাজে দিতে পারে। এই টুলসটি আপনারা ফাইল এর মধ্যে স্লো হওয়ার সিস্টেম থেকে আপনার কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ কে অনেক ভাবে রক্ষা করে। ভাই আপনার হার্ডড্রাইভ ছিল হওয়া থেকে এই টুলসটি আপনি যে চোখ বুজে ব্যবহার করতে পারেন। এটুলস প্রায় সবাই ব্যবহার করে থাকে। এবং এই টুলসটি হল উইন্ডোজ টেন এর বিল্ড ভাবে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রায় শই না হওয়ার পরে, টুলস টি আপনার পিসিতে সাধারণ ভাবে চলতে থাকে। আপনি যদি উইন্ডোজ সেটিংয়ের সাথে টেম্পার করেন তবে একমাত্র পরিস্থিতি এটির কাজ করবে না। তবে আপনি এখানে যাচাই করতে পারেন:
১। প্রথমে আপনার উইন্ডোস সার্চ অপশনে চলে যান।
২। তারপর আপনি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ টুলস টি সার্চ করুন।
৩। ড্রাইভটি প্রতিদিন, সাপ্তাহিক না কখনই অনুকূলিত হয় কিনা তা যাচাই করতে উইন্ডোর নীচের অংশটি যাচাই করুন।
তারপর আপনার ড্রাইভটি অনুকূলকরণের সময়সূচী সামঞ্জস্য করতে চেঞ্জ সেটিংস এ চলে যান।
ব্লিচবিট
তৃতীয় পক্ষের একটি সরঞ্জাম যা আপনি আপনার পিসির হার্ড ড্রাইভের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন তা হ’ল ব্লিচবিট । সরঞ্জামটি ডিস্কের স্থান খালি করতে এবং ক্যাশে এবং কুকিজ সহ জাঙ্কটি অপসারণ করতে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলি মুছে দেয়। এটি কমবেশি ড্রাইভ ক্লিনার হিসাবে কাজ করে।
আপনি যদি ভাবছেন যে এই এবং উইন্ডোজ ডিভাইস ম্যানেজারের মধ্যে পার্থক্য কী, তবে আমাদের সেগুলি নীচে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে:
সফ্টওয়্যারটি নির্দিষ্ট অ্যাপ ক্লিনআপের পাশাপাশি সাধারণ ক্লিনআপগুলিও সরবরাহ করে
জাঙ্ক ফাইলগুলি সনাক্ত করার জন্য গভীর স্ক্যান
ফাইলগুলি পরিষ্কার বা মুছে ফেলার জন্য পপ-আপ বিজ্ঞপ্তি এবং এর ফলশ্রুতি করতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
ডিস্ক স্পিডআপ
উইন্ডোজ ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট আপনাকে আপনার হার্ড ড্রাইভকে ডিফল্ট করার জন্য একটি সুযোগের প্রস্তাব দিতে পারে, তবে ডিস্ক স্পিডআপ এই ক্রিয়ায় বোনাস বৈশিষ্ট্য যুক্ত করে। এটি বিশ্লেষণ করে, অনুকূল করে এবং আপনার ড্রাইভকে ডিফল্ট করে দেয়।
হাতিয়ারটি স্বজ্ঞাত, কারণ এটি ডিফ্র্যাগমেন্টেশন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে অটোমেটিক ভাবে পিসি বন্ধ করে দেয়। আপনার পিসির হার্ড ড্রাইভের পারফরম্যান্সের উপর ডেটা প্রদর্শনকারী গ্রাফগুলিও পাবেন। তাছাড়া এই উইন্ডোজ ১০ এর হার্ডড্রাইভের আমার হাত থেকে বাঁচাতে এই টুলটি আপনাকে অনেক ভাবে সহযোগিতা করে থাকবে। তাই আপনার হার্ড ড্রাইভে জিতেছিল হয়ে থাকে তাহলে আপনি একটু টুলসগুলি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
উপসংহার
আশা করি আমার আর্টিকেলটি পরে বিস্তারিত এ বিষয়ে অনেকটা জানতে পেরেছেন। আগে যদি আপনারা এই সমস্যায় পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি পড়েন। এবং ঠিকভাবে কাজ করলেই আপনি আপনার সমাধান গুলো খুঁজে পাবেন। এবং আপনি এটা ব্যবহার করার পর পরে কেমন বোধ করছেন। বা আপনি কি কোন সময় এরকম সমস্যায় সম্মুখীন হয়েছিলেন তা কিভাবে সমাধান করেছিলেন? আপনার নিজের এক্সপেরিয়েন্স আমাদের জানাতে ভুলবেন না।
Leave a Reply