নিউজ ডেস্কঃ সোনার খনি নয়,মিলল আস্ত এক সোনার পাহাড়!সাম্প্রতিক এমনই এক পাহাড়ের সন্ধান মিলেছে কঙ্গোয়।কঙ্গোর এই পাহাড়ের মাটিতেই নাকি রয়েছে সোনার উপাদান।আর এই খবরে পাহাড়ের মাটি খুঁড়ে সোনা সংগ্রহে উঠে পরে লেগেছে সেদেশের জোয়ান-বুড়ো সবাই।
কিন্তু কথা হল সেই পাহারে কি সত্য সত্যি সোনা রয়েছে?আসলে সেই পাহাড়ের মাটিতে নাকি ৬০-৯০% পুরোটাই নাকি আকরিক সোনা দিয়ে ভর্তি।অনেকেই এমন ই দাবি করছে সেই দেশের সেই পাহাড় জুরে।সূত্র মতে জানা যায়, মধ্য আফ্রিকার কঙ্গোর কিভু নামক প্রদেশে রয়েছে এই পাহাড়।গত ফেরুয়ারির শেষের দিকে এই পাহাড়ের কথা চারদিকে ছড়িয়ে পরে।লুহিহি এলাকার এই পাহাড়ের কথা জানাজানি হবার পরে সবাই সেই পাহাড় খুঁড়ে সোনা সংগ্রহ করার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পরে।
আহমেদ আলগোবারি এক সাংবাদিক সোনা সংগ্রহ করার ভিডিও ইন্টারনেটে শেয়ার করেন।ঠিক এর পরেই সবাই সোনা সংগ্রহ করার জন্য লুহিহি এলাকার সেই পাহাড়ের দিকে ছুটছে।গত ২রা মার্চ সাংবাদিক আহমেদ আলগোবারির আপলোড করা সেই ভিডিও নেট দুনিয়াতে ভাইরাল হয়ে পরে এবং এই পর্যন্ত সেই ভিডিও এখন পর্যন্ত ২৭ হাজারেরও বেশী বার দেখা হয়েছে।
সাংবাদিক আহমেদ আলগোবারির ভিডিওতে দেখা যায় সেই পাহারে সবাই শাবল-খুন্তি নিয়ে সোনা সংগ্রহ করার জন্য মাটি খুরছে এবং পাহাড় জুরে মানুষের ভীর।আবার অনেকেই শুধু খালি হাতেই সেই পাহাড়ের মাটি সংগ্রহ করছেন।এরপর সেই মাটি পানিতে ভিজিয়ে ধুয়ে সোনা সংগ্রহ করছেন।ভিডিওতে এক ব্যাক্তিকে দেখা যায় তাঁর গায়ের টি-শার্ট উল্টে তাতে করে সেই পাহাড়ের মাটি ভোরে নিয়ে যাচ্ছে।
সোনা সংগ্রহ করার জন্য যে যেভাবে পারছে সেই পাহাড় থেকে মাটি তুলে নিয়ে যাচ্ছে,মাটি তুলে নিয়ে যাওয়ার ফলে পাহাড়ের মাথায় আস্ত একটি খাদ তৈরি হয়ে গেছে।
সাংবাদিক আহমেদ আলগোবারি জানায়,মাটি তুলে গ্রামবাসী সেই মাটি পানিতে ধুয়ে সোনার উপাদান সংগ্রহ করছে।আর এভাবেই শোবার হাতে উঠে আসছে মুঠো মুঠো সোনা।
সোনা পাওয়ার খবরে অবস্থা এমন যে, লোকজনের ভিরে কঙ্গোর লুহিহির ঐ গ্রামে পা রাখাই কঠিন হয়ে যাচ্ছিল।লোকজনের ভীরে ঐ এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হওয়ার ফলে সেই এলাকায় যেকোনো ধরনের খননকাজ নিষিদ্ধ করেছে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন।
কঙ্গোর কিভু প্রদেশের খনিমন্ত্রী বেনান্ত বুরুমে মুহিগিরওয়া জানিয়েছেন, কিভু প্রদেশের রাজধানী শহর বুকাবুতে থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঐ পাহারে লোকজনের ভীরে তিল ধারনের জায়গা নাই।তাই ঐ এলাকার বিশৃঙ্খলা সামাল দেওয়ার জন্য আগামী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ঐ এলাকায় যে খননকাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা বহাল থাকবে।
তথ্য সূত্রঃ আনন্দবাজার
Leave a Reply