ভিওআইপি কল কিভাবে কাজ করে থাকে? মহা বিস্তারিত ব্যাখ্যা

বিদেশে অবস্থিত কারো সাথে সেলফোন এর মাধ্যমে কথা বলা অনেক ব্যয়বহুল হতে পারে। কেননা এতে আপনাকে অনেক ইন্টারন্যাশনাল চার্জ প্রদান করতে হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, মেসেঞ্জার, ইমু, গুগল ডু যদি উভয় ব্যক্তির মোবাইলে ইন্সটল করা থাকে। তাহলে সেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্রি তে কথা বলা যায়। কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিভাবে এক অপরের সাথে ফোন কলের মাধ্যমে কথা বলা যায়। বা ফ্রি ইন্টারনেট কল কিভাবে কাজ করে থাকে? সেই নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিত এই আর্টিকেলটি আপনাদের আমি জন্য লিপিবদ্ধ করেছি। আমার এই আর্টিকেলে থেকে আপনারা খুব সহজেই কিভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্রি ফোন কল করা যায় পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে। এটা নিয়ে বিস্তারিত একটা পরিষ্কার ধারণা পাবেন।

ইন্টারনেট এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে কোন ডাটাকে ডিজিটাল ডাটাতে রূপান্তর করা যেতে পারে। তারপরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও শেয়ারিং চ্যাট ম্যাসেজিং ফটো শেয়ারিং এর কাজ অনেক সহজেই সম্পন্ন করা যায়। তাহলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ভিডিও কল ও সহজ ভাবে সম্পন্ন করা যাবে। শুধু আপনার এনালগ ডাটা কে ডিজিটাল ডাটা তে রূপান্তর করতে হবে। তারপর ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি কথা বলতে পারবেন। কোনরকম চার্জ ছাড়াই। এটি সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হল ভিওআইপি কলের উপর। এটা কি আবার অনেকে ভআইপি কল ও বলে থাকে। যার সম্পূর্ণ অর্থ হচ্ছে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল। সেক্ষেত্রে আপনি যে ভিওআইপি অ্যাপ ব্যবহার করেন না কেন। কিন্তু সকলের কাজ করার পদ্ধতি কিন্তু একরকম।

আপনি যখন কথা বলেন তখন আপনার ভয়েস কে মাইক্রোফোনের মাধ্যমে এনালগ ডাটাকে আপনার মোবাইলের অ্যাপ্লিকেশন ডিজিটাল ডাটা তে পরিণত করে। তারপর ইন্টারনেটের মাধ্যমে আবার সে ডাটাগুলো অপর প্রান্তে দেওয়া হয়। তারপর আবার সেই মোবাইলের সফটওয়ারে সেটাকে আবার এনালগ ডাটা পরিণত করে। যাতে সেই কথাগুলোর অপর প্রান্ত থেকে শুনতে পায়। আর এই একই ভাবে সব সময় কাজ করতে থাকে। যে সফটওয়্যারটি আপনার ডিজিটাল ডাটায় রূপান্তর করে থাকে। সেই সফটওয়্যার টি কে কডেক্স বলা হয়। আর এই সফটওয়্যার টি শুধু এনালগ থেকে ডিজিটাল টাকায় পরিণত করার জন্য কাজে লাগেনা। বরং গান, মুভি , ভিডিও, ও ছবিকে ডিজিটাল ডাটা রূপান্তরিত করে। আপনার কথাগুলো একবার ডিজিটাল ডাটায় রূপান্তর হয়ে গেলে সেই ডাটাগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। আর এই টুকরো ডাটাগুলোকে ইন্টারনেট প্যাকেজ বলা হয়। প্রত্যেকটি ডাটা প্যাকের সাথে দুটি ভাগ থাকে। একটি হচ্ছে হেডার আরেকটি হচ্ছে পেলোড।

হেডারের প্যাকেটের সাথে মেটা ডাটা লেখা থাকে। বারেক কিভাবে প্যাকেটে ডাটাগুলো জুড়ে ফেরত আসবে। এবং এই প্যাকেট টি কোথা থেকে আসছে ইত্যাদি। আর পেলে থাকে মূল ডাটাটি ডিজিটালের একটি অংশ। মানে ভয়েজের একটি ডিজিটাল ফরমেট। আর এভাবে এই ডাটাগুলো প্যাকেটের অপর প্রান্তে গিয়ে পৌঁছায়। এবং মূল ডাটা গুলো ফেরত আসে। আর এভাবে সাধারণত ভিওআইপি কল কাজ করে থাকে। এবং ভিওআইপি কলের সময় অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন খুব ভালো হতে হবে। তা না হলে ভয়েস কোয়ালিটি একটু খারাপ হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *