লাইফ ইন্সুরেন্স একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা হল জীবন বীমা।আর এই লাইফ ইন্সুরেন্স বা জীবন বীমা শব্দের সাথে আমরা সকলেই কম বেশী পরিচিত।লাইফ ইন্সুরেন্স এর কথা শুনেন নি এমন লোক কমই আছে।তবে অনেকে হয়ত লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন আবার অনেকেই আছে লাইফ ইন্সুরেন্স এর কথা শুনেছে কিন্তু এর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানেন না।লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে আমাদের জানতে হবে লাইফ ইন্সুরেন্স কত প্রকার ও কি কি?আর আমাদের আজকের আর্টিকেল এর আলোচ্য বিষয় হলঃ লাইফ ইন্সুরেন্স কত প্রকার ও কি কি?শর্ত এবং মেয়াদ এর উপর নির্ভর করে বিভিন্ন প্রকার লাইফ ইন্সুরেন্স হয়ে থাকে।লাইফ ইন্সুরেন্স মূলত দশ প্রকার।নিচে এই দশ প্রকারের লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো আমরা।
স্থায়ী লাইফ ইন্সুরেন্সঃ
স্থায়ী লাইফ ইন্সুরেন্স কে আমরা একটি ছাতার সাথে তুলনা করতে পারি।একটি ছাতার যেমন অনেক গুলো শিক থাকে তেমনি স্থায়ী লাইফ ইন্সুরেন্স এর ও বিভিন্ন শাখা থাকে।স্থায়ী লাইফ ইন্সুরেন্স অনেক গুলো বিষয়কে একসাথে কাভার করে থাকে।স্থায়ী লাইফ ইন্সুরেন্স এর একজন গ্রাহক যত দিন ইচ্ছা এই লাইফ ইন্সুরেন্স এর জন্য প্রিমিয়াম ফি প্রদান করতে পারে এবং যখন প্রিমিয়াম ফি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে,তখন ই সেই গ্রাহক স্থায়ী লাইফ ইন্সুরেন্স লাভ সহ মূলধন তুলে নিতে পারে।
মেয়াদী লাইফ ইন্সুরেন্সঃ
মেয়াদী লাইফ ইন্সুরেন্স সবাই খুব বেশী পছন্দ করে।এই বীমার প্রিমিয়াম ফি মাসিক অথবা প্রতি বছরে একবার দিতে হয়।মেয়াদী লাইফ ইন্সুরেন্স পছন্দ করার মূল কারন হল এই বীমার একজন গ্রাহক যত দিন জীবিত থাকে(বীমার মেয়াদ থাকাকালিন) তত দিন এই বীমার প্রিমিয়াম ফি দিতে হয়।মেয়াদী বীমার মেয়াদ থাকাকালীন যদি কোন গ্রাহক মারা যান,তাহলে তার পরিবারের কাউকে আর এই বীমার কোন প্রিমিয়াম ফি দিতে হয় না।উপরন্তু বীমা কোম্পানি সেই গ্রাহক এর নমিনি অথবা পরিবার কে সম্পূর্ণ বীমার টাকা লাভ সহ প্রদান করে।
সার্বজনীন লাইফ ইন্সুরেন্সঃ
সার্বজনীন লাইফ ইন্সুরেন্স এর ক্যাশ ভালু রয়েছে।এই রকম বীমার লাভ এবং মূলধন মৃত্যুর আগেও উত্তোলন করা যায় আবার চাইলে মৃত্যুর পরেও উত্তোলন করা যায় এবং একজন বীমা গ্রাহক নতুন কোন বীমা চালু না করেও এই ধরনের লাইফ ইন্সুরেন্স কে অন্য যেকোনো ধরনের লাইফ ইন্সুরেন্সে পরিবর্তন করতে পারে।
পরিবর্তণশীল লাইফ ইন্সুরেন্সঃ
পরিবর্তণশীল লাইফ ইন্সুরেন্স মূলত নগদ অর্থের মত কাজ করে।এই বীমা মূলত অনেক টা মিউচুয়াল ফান্ডের মত কাজ করে।
পরিবর্তনশীল সার্বজনীন লাইফ ইন্সুরেন্সঃ
সার্বজনীন লাইফ ইন্সুরেন্স এবং পরিবর্তণশীল লাইফ ইন্সুরেন্স মূলত একই রকমের জীবন বীমা।এই দুইটি জীবন বীমার সকল শর্ত এবং কার্যক্রম একই।
সিম্পিফাইড ইস্যু লাইফ ইন্সুরেন্সঃ
আপনি যখন জীবন বীমার জন্য আবেদন করেন তখন আপনাকে অনেক গুলো মেডিকেল টেস্ট এ উত্তীর্ণ হতে হবে।মেডিক্যাল টেস্ট করার কারন হল,বীমা ইস্যু কারী কোম্পানি নিশ্চিত হতে চায় আপনি জীবন বীমার জন্য উপযুক্ত কিনা।যদিও আপনি এই ধরনের বীমা চালু করার সময় চাইলে মেডিক্যাল টেস্ট ছারায় বীমা চালু করতে পারবেন।তবুও এই ধরনের বীমা মেডিক্যাল টেস্ট ছাড়া চালু করলে কখনও পরিপূর্ণতা পায় না।সুতরাং এই ধরনের বীমা চালু করার আগে অবশ্যই মেডিক্যাল চেকআপ করে নিতে হবে।
গ্যারিন্টি যুক্ত লাইফ ইন্সুরেন্সঃ
এই ধরনের জীবন বীমা চালু করার জন্য আপনার কোন রকমের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় না।গ্যারিন্টি যুক্ত লাইফ ইন্সুরেন্স এর শর্ত হল,আপনি যতদিন বীমা কোম্পানি কে প্রিমিয়াম পরিশোধ করবেন ততদিন বীমা কোম্পানি আপনাকে বীমার কভার দিতে থাকবে।
চুড়ান্ত ব্যয় লাইফ ইন্সুরেন্সঃ
আপনার মৃত্যুর পর চূড়ান্ত খরচ বহন করার সুবিধা এবং নিশ্চয়াতা প্রদান করবে চুড়ান্ত ব্যয় লাইফ ইন্সুরেন্স।এই জীবন বীমা একটি সম্পূর্ণ নতুন ধরনের জীবন বীমা।যা আপনার মৃত্যুর সাথে জরিত সকল প্রকার খরচের ব্যয়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
আমরা খুবই সংক্ষিপ্ত ভাবে জানলাম জীবন বীমা বা,লাইফ ইন্সুরেন্স কত প্রকার ও কি কি।হয়ত আপনি জীবন বীমা চালু করতে চান।তাহলে এত খন বুঝে গেছেন কোন জীবন বীমা বা লাইফ ইন্সুরেন্স আপনার জন্য উপযুক্ত।
Leave a Reply