লোকাল এসইও কীভাবে কাজ করে?লোকাল এসইও সম্পর্কিত সকল তথ্য

লোকাল এসইও  সম্পর্কে বিসাত্রিত জানার আগে লোকাল এসইও এর গুরুত্ত সম্পর্কে জানতে হবে।একটি তথ্য জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন যে,বর্তমানে ১০ জন সার্চকারীর(ক্রেতা) ৮ জন ই লোকাল সার্ভিস প্রভাইডার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে।সুতরাং আমাদের অনলাইন ভিত্তিক বিজনেস লোকাল এসইও দ্বারা অবশ্যই অপটিমাইজ হতে হবে।তাছারা আমরা আমাদের সম্ভব্য ক্রেতা হারাবো।

তবে চিন্তার কোন কারন নাই আমরা আজকের আর্টিকেলে এমন কিছু লোকাল এসইও টিপস শেয়ার করব যার দ্বারা আপনি আপনার লোকাল কম্পেটিটরদের থেকে অনেক বেশী এগিয়ে থাকবেন লোকাল সার্চ এর ক্ষেত্রে।আর সার্চে এগিয়ে থাকলে আমাদের সেল এর পরিমানও অনেক বাড়বে।আপনি যদি একজন ছোট বেবসায়ি হয়ে থাকেন এবং আপনার টার্গেট ক্রেতা যদি কোন নির্দিষ্ট শহর অথবা কোন স্পেসেফিক দেশ নির্ভর হয় তবে আপনার জন্য লোকাল এসইও এর বিকল্প কোন কিছু নাই।

লোকাল এসইও কেন করব?অথবা,লোকাল এসইও এর উদ্দেশ্য কি?

১। কোন একটি লোকাল বিজনেস এর লোকাল ভিজিবিলিটি বাড়ানো

২। লোকাল সার্চে এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট কে সার্চ রাঙ্কে উপরে নিয়ে আসা

৩। সার্চ ইঞ্জিন এর ওয়েবসাইট এর এলিমেনট দেখে যেন ক্রেতা বা সার্চ কারী যেন সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে আসে সেই ভাবে উক্ত ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ করা

৪। অনলাইনে গ্রাহক এর বিশ্বাস অর্জন করা এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান কে ব্র্যান্ড হিসাবে গড়ে তোলা।

লোকাল বিজনেস এর ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে যে কাজ করতে হবে তা হল,গুগল মাই বিজনেসে নিজের কোম্পানির নামে প্রোফাইল তৈরি করা এবং সম্পূর্ণ প্রোফাইল কমপ্লিট করা।গুগল মাই বিজনেস গুগল এর এমন একটি সার্ভিস যার দ্বারা আপনি খুব সহজেই আপনার কোম্পানির পরিচিতি অনলাইনে তুলে ধরতে পারবেন।

এরপর আপনার ওয়েবসাইটকে লোকাল লিস্টিং এ লিস্ট করতে হবে।কারন আপনি যখন এসব ওয়েবসাইট এ আপনার ওয়েবসাইট কে লিস্টিং করবেন তখন গুগল রাঙ্কিং করার সময় এসব সাইট হতে সিগন্যাল গ্রহন করবে এবং গুগল বুঝে নিবে যে আপনার ওয়েবসাইটটি একটি রেপুটেটেড ওয়েবসাইট এবং গুগল সব সময় এই এওকম ওয়েবসাইটকে উপরের দিকে রাঙ্ক দিবে।লোকাল লিস্টিং এর জন্য আপনি YelpCitysearchMantaYellowPages এই ওয়েবসাইট গুলো ব্যাবহার করতে পারেন।

নাম ঠিকানা ব্যাবহারে সতর্ক থাকা।আপনি যখন গুগল মাই বিজনেসে এবং লোকাল লিস্টিং ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইট তথা আপনার বিজনেসকে অ্যাড করবেন তখন সব জায়গায় একই এড্রেস ব্যাবহার করবেন।কোনভাবেই যেন এলোমেলো না হয়।মনে রাখবেন গুগল একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স,সুতরাং এক জায়গার ইনফোরমেসন এর সাথে অন্য জায়গার ইনফোরমেসন ১০০% মিলতে হবে।আর মিল না থাকলে এই ব্যাপারটা আপনার ওয়েবসাইট এর রাঙ্ক কে অনেক দূরে নিয়ে যাবে।যা লোকাল এসইওতে খারাপ প্রভাব ফেলবে।

আপনাকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে ভালো সার্ভিস দেওয়ার জন্য কারন কাস্টমার রিভিউ রাঙ্কিং এ অনেক প্রভাব ফেলে।অনলাইনে কিছু কেনা কাটা করার ক্ষেত্রে ৮৮% ক্রেতা অন্য ক্রেতার কাস্টমার রিভিউ দেখে সিদ্ধান্ত নেয় কোন কিছু কেনার।সুতরাং এই বিষয়ে আমাদের খুবই সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

এখন আমাদের নজর দিতে হবে আমাদের ওয়েবসাইট এর স্পিড এর উপর।আমাদের ওয়েবসাইট অবশ্যই খুব দ্রুত লোড হতে হবে।কারন আমাদের ওয়েবসাইট যদি লোড নিতে অনেক বেশী সময় নেই তাহলে আমরা সার্চ রাঙ্ক এবং ক্রেতা দুই’ই হারাবো।কারন ওয়েবসাইট এর স্পিড বেশী হলে গুগল সেই সব ওয়েবসাইট কে রাঙ্কিং এ উপরের দিকে জায়গা দিবে আবার স্পিড কম হলে নিচের দিকে দিবে।অন্যদিকে লোড টাইম বেশী হলে কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইট ভিসিট করতে আগ্রহ দেখায় না।সুতরাং আমাদের ওয়েবসাইট এর স্পিড একটা সন্তোষজনক লেভেলে রাখা উচিত।স্পিড বাড়ানোর জন্য আপনার উচিত ভালো মানের ওয়েব সার্ভার ব্যাবহার করা,এবং ওয়েবসাইট যত সম্ভব কম পরিমানে জাভা স্ক্রিপ্ট ব্যাবহার করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *