স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট এবং ডিস বিস্তারিত পোস্টে

স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এবং ল্যান্ডলাইন ইন্টারনেটের মধ্যে খুব একটা বেশি পার্থক্য নেই। ল্যান্ডলাইন ইন্টারনেট এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আপনার ইন্টারনেট প্রোভাইডার এর কাছ থেকে সরাসরি আপনার রাউটারের এবং কম্পিউটারে সংযুক্ত হয়। আবার মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সিগনাল সেলফোন টাওয়ার এর মাধ্যমে আপনার ফোনে বা মডেমের কাছে পৌঁছানো হয়। এবং প্যাকেট সুইচিং এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করা হয়।কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট ব্যবহার করে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে রেডিও সিগনাল পাঠানো হয়। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ও ঠিক এভাবে কাজ করে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে কোন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। ইন্টারনেট ডিজিটাল সিগনাল রেডিও কে স্যাটেলাইট ডিস এন্টেনা আপনি থেকে স্যাটেলাইটের দিকে ছুড়ে মারে। সে সিগন্যালকে স্যাটেলাইট গ্রহণ করে। এবং স্যাটেলাইট এর ভিতরে থাকা রিসিভার এবং এমপ্লিফায়ার এবং ট্রান্সমিটার ব্যবহারকরে প্রসেসিং করে সিগন্যালকে আরো শক্তিশালী করে পৃথিবীর দিকে ছুড়ে মারা হয়।

এবার দ্বিতীয় ডিস এন্টেনা বা ডাউনলিনক সেই সিগন্যাল কে গ্রহণ করে। যার কারণে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এর ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার থাকা প্রয়োজনীয়। স্যাটেলাইট কিন্তু নিজের থেকে কোন ইন্টারনেট সিগনাল তৈরি করে না। যেটা স্যাটেলাইট মাথার উপরে থাকে তাই একসাথে পৃথিবীর অনেক এরিয়া কভার করতে সক্ষম হয়। আর এটাই স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের প্রথম সুবিধা। কেননা গভীর গ্রামগুলোতে ইন্টারনেটের তারের কেবল গুলো পৌঁছানো অনেক অসুবিধা হতে পারে। এখন আমি এক নজরে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের সুবিধা

১। এটি ডায়ালগ কানেকশন এর থেকে অনেক ফাস্ট যদিও এটা নির্ভর করে আপনি কোন প্যাকেজটি ব্যবহার করছেন। তারপরও এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনি অনেক বেশি গ্রহণ স্পিড বেশি পাবেন। তবে সেটি ডায়ালআপ কানেকশন এর তুলনায়।

২। এই ইন্টারনেট সার্ভিস এটি হাই ব্যান্ডউইথ হ্যান্ডেল করতে পারে। ফলের অনেক বেশি ব্যবহারকারী একসাথে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। তবে কোন ইন্টারনেট স্পিড নিয়ে সমস্যা হতে পারে না।

৩। ইন্টারনেট ব্যবহার করলে কোন তারের প্রয়োজন নেই। আপনি যেকোন স্থান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এলাম কোনো আসা যায় না আপনি ইন্টারনেটের কোন লোকেশন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতেছেন। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনি পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।

এবার আমি আলোচনা করব স্যাটেলাইটের অসুবিধা সম্পর্কে।

স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের অসুবিধা সমূহ

খারাপ আবহাওয়ার জন্য ইন্টারনেট কালেকশন অনেক খারাপ হয়ে যেতে পারে। সাথে সাথে আপনার ইন্টারনেট স্পিড কমে যেতে পারে। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এবং ল্যাটেন্সি অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই স্যাটেলাইট ইন্টার্নেট অনলাইন গেমিং এবং দ্রুত কোন কাজের জন্য আদর্শ নয়। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বা ডিসের কোন সামনে গাছপালা থাকলে স্যাটেলাইটের সিগন্যাল পদ্ধতি সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। তবে বাড়ির আশেপাশে যদি গাছপালা থাকে তাহলে সিগন্যাল খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া আপনার বাড়ির এনাকে দক্ষিণ দিকে সর্বদা রাখার জন্য প্রয়োজন পড়বে। স্যাটেলাইটের ইন্টারনেটের বিশেষ অসুবিধা হলে সার্ভিসগুলো নিতে আপনাকে অনেক ব্যয়বহুল করতে হবে। ২ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিড নেটওয়ার্ক নিতে চাইলে আপনার প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে যেতে পারে। এবং বেশি অতিমাত্রার চালালে আপনার ইন্টারনেট স্পিড কমে যেতে পারে। আর এই টাকার মধ্যে যদি আপনি ব্রডব্যান্ড কানেকশন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার এর চাইতে আরো ৩০ গুণ সুবিধা বেশি পাবেন।
তো এতে ছিল স্যাটেলাইটের অসুবিধা সমূহ।

গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করলে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কালেকশন আপনার অনেক ভালো ভাবে পেতে পারেন। এর সুবিধার মধ্যে অসুবিধা গুলি বেশি। কেননা এর মূল্য হচ্ছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান।ইন্টারনেট গুলি তখনই আপনার ব্যবহার প্রয়োজন পড়বে যখন আপনার কোন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করার কোনো পথ থাকবে না।তো এটা ছিল আজকে এই স্যাটেলাইট নিয়ে তো আশা করি প্রতিনিয়ত আমাদের এরকম আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথে থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *