নিউজ ডেস্কঃ হেফাজতের ডাকা হরতালের সমর্থকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভূমি অফিস, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ও সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে অগ্নি সংযোগ করেছে।আজকে রবিবার হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালীন দুপুর ১২ টা সময় এই ঘটনা ঘটে।
আজকে সকালে হরতাল শুরু হলে হেফাজতের নেতা কর্মীদের সাথে বিএনপি এবং জামায়তের অনেক নেতা কর্মীদের এবং অনেক বহিরাগতদের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে।হরতালের সমর্থনে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছে।
হেফাজতের ডাকা এই হরতালকে ঘিরে বন্ধ আছে সকল প্রকার দোকান এবং ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান,এছারাও সকল প্রকার যাণ চলাচল বন্ধ রয়েছে।এবং আজকে সকাল ৯ টা ২০ মিনিট থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা ও ঢাকা-সিলেট রেলপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সকাল ১১ টা সময় হেফাজতের নেতা কর্মীরা জেলার ছাত্রলীগ নেতা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।এরপরে হেফাজতের নেতারা প্রায় বেলা ১২ টা নাগাদ শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্বরে জেলাপ্রশাসন আয়োজিত উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।এবং একই সময়ে তারা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের কার্যালয়েও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
এসময় হেফাজতের নেতা কর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুরসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে অগ্নি সংযোগ করে।এবং এই একই সময়ে তারা জেলার ভূমি অফিসেও আগুন ধরিয়ে দেয়।এরপরে হেফাজতের হরতাল সমর্থকেরা কুমারশীল মোড় এলাকায় জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার গুলোতেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসময় হেফাজতের কর্মীরা জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।এই সময় হরতালের সমর্থকরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বাসায় আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এছারাও হেফাজতের নেতা কর্মীরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ব্যাংক এশিয়ার কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।এবং ের পাশেই অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আয়কর উপদেষ্ট জহিরুল ইসলাম ভূইয়ার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায় হেফাজতের এসব নেতা কর্মীরা।এছারাও তারা হালদার পাড়ার কালিমন্দিরেও হামলা চালিয়েছে বলে জানান সেখানকার প্রত্যক্ষদর্শীরা।
হেফাজতের ডাকা এই হরতালের সমর্থকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে,এই হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ উদ্দিন জামি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।এছারাও হরতালের সমর্থকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি, কাঠের গুড়ি ও ইট ফেলে সড়কে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে।
এদিকে এসব কার্যক্রম সামলানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিসহ অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে।তবে হরতালের সমর্থকদের এসব কার্যক্রম চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কারও দেখা পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply