করোনা ভাইরাস বর্তমান সময়ে এক আতংকের নাম।কারন এখন পর্যন্ত এই রগের কোন ঔষধ বা ভ্যাক্সিন বিজ্ঞানিরা তৈরি/আবিস্কার করতে পার নি।আর এই কারনেই করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।তবে বিজ্ঞানিরা বলছে যাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থা অনেক বেশী শক্তিশালী তাদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভবনা অনেক কম।আর একারনেই বিজ্ঞানিরা বার বার এমন খাবার খেতে বলছে যে খাবার গুলো আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।আজকে আমরা এই লেখায় এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানব যেসব খাবার আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহয়াতা করে।তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
এই পৃথিবীতে বিভিন্ন রকম খাবার রয়েছে,এসন একেক খাবারের রয়েছে একেক রকম গুন।তবে সব খাবার কিন্তু আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এমন নয়।কিছু কিছু খবার রয়েছে যে খাবার গুলো আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশী বৃদ্ধি করে।আমাদের এমন খাবার খেতে হবে যে খাবার গুলো আমাদের দেখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে।কারন করোনা ভাইরাস (COVID-19) থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে হলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশী থাকতে হবে,এমন টা ই বলছেন বিজ্ঞানিরা।
- ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমানে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।যা মানব দেহের ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।সুতরাং প্রতিদিনের খাবারে টমেটো, লেবু, নারকেল, পেয়ারা, কালোজামের মতো খাবার রাখুন।
- আমরা জানি গাজর এর মত মিষ্টি আলুতেও থাকে বিটা-ক্যারোটিন,যখন আমরা মিষ্টি আলু খাই তখন এই বিটা-ক্যারোটিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে হয়ে যায় ভিটামিন এ!বিটা-ক্যারোটিন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।এছারাও বিটা-ক্যারোটিন আমাদের বুড়ো হয়ে যাওয়া ঠেকাতেও কাজ করে।
- স্যুপ ত অনেক খেয়েছেন,এবার একটু চিকেন স্যুপ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন,কেননা চিকেন স্যুপ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি।চিকেন স্যুপে কারনোসিন নামের এক ধরনের রাসায়নিক উপদান থাকে।আর কারনোসিন নামের এই রাসায়নিক উপাদান মানুষের শরীরকে ভাইরাস জনিত জ্বর থেকে রক্ষা করে।
- রসুন আমাদের খুবই পরিচিত একটি জিনিস।আমাদের প্রতিদিনের তরকারিতে রসুন ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।রসুন আমাদের রান্না করা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুন।কাঁচা রসুন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকজনিত আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিশেষ করে, ত্বকের সংক্রমণ নিরাময়ে ভালো কাজ করে রসুন। শরীরের কোলেস্টরলের পরিমাণ কমাতেও কাজ করে এটি।
- আমাদের আরও একটি পরিচিত জিনিস হল আদা।এটি অনেক ঝাঁঝালো,খাবারের ঝাঁজ বাড়াতে আদার তুলনা নাই।আদাতে রয়েছে অনেক বেশী পরিমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে,আর ফল অথবা কোন খাবার থেকে পাওয়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুন।
- তরমুজ আমাদের অনেক পরিচিত এবং প্রিয় একটি ফল।তরমুজে গ্লুটাথায়োন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।আর তরমুজের এই উপাদান আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।আর এর ফলে আমাদের শরীরের বিভিম্ম রকমের জীবাণুর সংক্রামনের সাথে লড়াই করার সক্ষমতা বাড়ে।
- ওমেগা ৩ এবং ফ্যাটি এসিড জাতীয় খাবার,যেমনঃ মাছ আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে সাহায্য করে।সুতরাং সপ্তাহে অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন আপনার খাবার তালিকায় মাছ রাখুন।
- জিংক সমৃদ্ধ খাবার গুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।যেমনঃ দুধ এবং দই।আপনার যদি দুধ হজম করতে অসুবিধা হয় তাহলে সরাসরি সুধ না খেয়ে দুধ দিয়ে তৈরি এমন খাবার খান।দিনে অন্তত ১০০ গ্রাম দই অথবাআর ১ কাপ দুধ খাবার চেষ্টা করুন।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার খুব সাহায্য করে।গাজর, টোমাটো, কুমড়া এসব খাবারে প্রচুর পরিমানে ক্যারোটিন থাকে।আপনি যদি প্রতিদিন ১ কাপ করে গাজরের জুস খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন।গাজরের জুস দুধের থেকে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর।
- আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রচুর পরিমানে মধু ও দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস করেন।
- আমলকীর চাটনি শরীরের জন্য অনেক উপকারি একটি উপাদান।আমলকীতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি।আমলকীর সাথে অল্প আদা এবং খেজুর বেটে নিয়ে খেয়ে দেখুন কতটা উপকারি।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রচুর পরিমানে বিসুদ্ধ পানি (জল) পান করুন।এছারা হারবাল চা ও খেতে পারেন।কারন হারবার চা আমাদের শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।সফট ড্রিঙ্ক যতটা সম্ভব এরিয়ে চলুন কারন এতে কোন রকমের উপকার নাই।
- তুলসি এবং সবুজ চা খাওয়ার অভ্যাস করুন কারন এগুলো সম্পূর্ণ অর্গানিক।ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী, হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী, ক্যালোরি অনেক কম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। গ্রিন টি খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধীব্যবস্থা শক্তিশালী হয়।
- দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টক দই খাওয়ার অভ্যাস করুন কারন টক দই এ প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্টসহ অন্যান্য খনিজ।রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে টক দই অনেক ভালো কাজ করে।এছারা টক দইয়ে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যা আমাদের দেহের ক্ষতিকর জীবাণু নষ্ট করতে সাহায্য করে।
- কাঠ বাদামের নাম শুনেছেন এবং দেখেছেন নিশ্চয়?হয়তবা খেয়েছেনও,কিন্তু আপনি কি জানেন কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই, যা খুবই শক্তিশালী একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।কাঠ বাদাম ঠাণ্ডার সমস্যা এবং কাশি দূর করে।কাঠ বাদামের শক্তিশালী ফ্যাট আমাদের শরীরে শক্তি সরবারহ করে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বজায় রাখে।তথ্য সুত্রঃ ইন্টারনেট।
Leave a Reply