আপনি কি জানেন জিপ ফাইল কিভাবে কাজ করে?জিপ ফাইলের বিস্তারিত

কম্পিউটার বলেন আর ল্যাপটপ বলে জিপ ফাইলে দেখে চিন্তা করেন নি এমন মানুষ পাওয়া অনেকটা দুষ্কর।আমি যখন প্রথম বার জিপ ফাইল দেখি তখন ভেবেছিলাম এটা হয়ত কোন ভাইরাস ফাইল।আমি ভয়ে ডিলিট করে দিয়েছিলাম।পরে এক পরিচিত ভাই এই জিপ ফাইল সম্পর্কে বলার পর আমি এই সম্পর্কে ধারনা পাই।আপনার অবস্থাও যদি আমার মত হয়ে থাকে তাহলে এও লেখাটি শুধুই আপনার জন্য।

জিপ মূলত একটি সর্ট ওয়ার্ড এর পূর্ণ অর্থ হল জোন ইমপ্রুভমেনট প্লান বা সংক্ষেপে জিপ।এটি মূলত ইউএসএ এর পোস্টাল সার্ভিস এর একটি প্লান ছিল।এর সাহায্যে আমারিকার পোস্টাল সার্ভিস এর প্লান দক্ষতা উন্নত করা হয়েছিল।ফিল কাটয নামক একজন ইউএস কম্পিউটার বিজ্ঞানি এই ফাইল আবিস্কার করেন এবং সেই বছরেই এটি বাজারাজাত করেন।কেন এই ফাইল এর নাম জিপ রাখা হল তা এই আর্টিকেল এর বিশেষ অংশে বলা হবে।জিপ ফাইলে মূলত অনেক তথ্য একজায়গায় রাখা হয়।এবং এই জিপ ফাইল এর সাহায্যে ফাইল এর আকার কিছুটা কমিয়ে আনা হয়।

আমরা ডাটা বা তথ্য সংরক্ষন করার জন্য ফোল্ডার তৈরি করি এবং সেই ফোল্ডারে অনেক রকম তথ্য বা ফাইল সংরক্ষন করি।আপনি যদি কখনও একটি ফোল্ডার কাউকে সেন্ট করতে চান তাহলে আপনি তা কখনই পারবেন না,আপনি শুধু ফোল্ডারে রাখা ফাইল গুলো এক এক করে সেন্ট করতে পারবেন।কারন ফোল্ডার কখনও সেন্ট করা যায়না,আপলোড করা যায় না আবার ডাউনলোড ও করা যায় না।কারন তথ্য কে ট্রান্সফার করা সম্ভব কিন্তু তথ্য রাখার স্থানকে ট্রান্সফার করা সম্ভব না।

আমরা যখন কোন ফোল্ডার কে জিপ ফাইলে পরিবর্তন করব তখ সে তার আচারন পরিবর্তন করে ফোল্ডার এর ন্যায় আচারন না করে ফাইল এর মত আচারন শুরু করবে তখন আমরা সম্পূর্ণ ফোল্ডার এর তথ্য বা ফাইল গুলো একসাথে ট্রান্সফার করতে পারব।একে আমরা চাইলেই মেইল করতে পারব,আপলোড করতে পারব এবং ডাউনলোড ও করতে পারব।

নানাবিধ সুবিধার কারনে আমরা জিপ ফাইলে ব্যাবহার করে থাকি।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারন হল আমাদের তথ্যকে ভাইরাস এর আক্রমন হতে রক্ষা করা।কারন কোন ভাইরাস কখনও জিপ ফাইলকে আক্রমন করতে পারে না।এছারা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কে সুরক্ষিত রাখা এবং ব্যাকআপ রাখার জন্যও জিপ ফাইল করে রাখা হয়।যেকোনো ফাইল বা ফোল্ডারকে জিপ ফাইলে রুপান্তরিত করা হলে এদের সাইজ কিছুটা কমে আসে।আর এই কারনেই জিপ ফাইল কে জোন ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান বলা হয়।জিপ ফাইলে খুব অল্প পরিমান জায়গায় অনেক বেশী তথ্য রাখা যায়।এটি কম্পিউটার এর বাইনারি কোডের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।

আমাদের যেকোনো স্পর্শকাতর ফাইল কেউ যেন আমাদের অগোচরে খুলতে না পারে এই কারনেও অনেক সময় ফিয়াল গুলোকে জিপ কর রাখা হয়।আমরা যখন কোন ফাইল কে অথবা ফোল্ডারকে জিপ ফাইলে রুপান্তর করি তখন তা সাংকেতিক ভাষায় রুপান্তর হয়ে যায়,আর তখন এই সাংকেতিক ভাষা অন্য কেউ বুঝতে পারেনা।এখন কেউ যদি এই ফাইল গুলোকে আগের রুপে দেখতে চায়,তাহলে তাঁকে এই ফাইল গুলোকে ডিক্রিপ্ট করতে হবে।এবং ডিক্রিপ্ট করার পরই কেবল জিপ ফাইল এর তথ্য দেখা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *