মিম নামের একটি কিশোরি মেয়েকে কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারের পিছনে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে,মেয়েটি গরিব বলে তার পাশে কেউ নেই, পুলিশ প্রশাসন কাজ করছেনা এমন মন্তব্য বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করা হচ্ছে।সকলের জ্ঞ্যাতার্থে জানাচ্ছি যে, ৩১.০১.২০২১ রাত আনুমানিক ২.০০- ৩.০০ ঘটিকার মধ্যে মিম নামের একটি মেয়েকে (১৮ বছর বয়স আনুমানিক),ভাসমান বলে অনুমেয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারের পেছনের অন্ধকারে আবুল খায়ের (২৫-২৭ বছর বয়স) নামের একটি ছেলে ধর্ষন করে খুন করে গলায় ওড়না পেচিয়ে। ভোর হওয়ার আগেই আসামি খায়েরকে শাহবাগ থানার ওসি ও ইন্সপেক্টর অপারেশন সহ সংগিয় ফোর্স নিয়ে আমরা গ্রেফতার করি।
খায়েরের সাথে মেয়েটির(মিম) যৌন সম্পর্কের কন্টাক্ট হয় ১০০ টাকার বিনিময়ে কিন্তু খায়েরের কাছে ছিলো মাত্র ২০ টাকা।খায়ের বলে যে তার কাছে আর কোন টাকা নেই,মিম তখন নিমরাজি থাকলে ও খায়েরের সাথে শহিদ মিনারের পেছনের অন্ধকারে যান।খায়ের যখন তার কার্য সিদ্ধির চেস্টা করেন তখন মিম বাধা দেয় যে পুরা টাকাই লাগবে(অর্থাৎ আরো ৮০ টাকা),খায়ের তখন উত্তেজিত হয়ে যায়,জোরাজুরি করে কার্য সিদ্ধির জন্য কিন্তু মিম বেকে বসেন,তখনি খায়ের মারমুখি হয়ে জোর করে মিমকে বিবস্ত্র করার চেস্টা করেন এবং ধর্ষন করার চেস্টা করে বলে ধারনা করা হয়।
মিম তখন চিৎকার করা শুরু করেন,মিমের চিৎকার কোনমতেই বন্ধ হচ্ছিলোনা তখন খায়ের কোন দিক না পেয়ে মিমের চিৎকার বন্ধ করার জন্য ও তার হীন কাজ চরিতার্থ করার জন্য মিমের গায়ে থাকা কালো রঙ এর ওড়না দিয়ে গলায় পেচিয়ে ধরেন,মিম যখন নিস্তেজ হয়ে যায় তখন ছেড়ে দেন বলে ধারনা করা হয়।
খবর পাওয়ার সাথে সাথে মিমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠাই আমরা ,কর্তব্যরত ডাক্তার মিমকে মৃত ঘোষণা করেন।মিম ধনি না গরিব,অসহায় না সহায় এটা আমাদের কাছে বড়ো কোন বিষয় নয়,মিম ও আমরা সকলেই মানুষ এটাই আসল পরিচয়।আলহামদুলিল্লাহ যে আমরা আসামিকে ধরতে পেরেছি এবং আইনের আওতায় আনতে পেরেছি,আসামির নামে মামলা রুজু হয়েছে এবং কোর্ট থেকে রিমান্ডে ও আনা হয়েছে।আমরা সজাগ আছি এবং কাজ করছি।কোন প্রকার গুজবে কান না দিয়ে,আমাদের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন।সকলের সচেতনতা কামনা করছি।
এস,এম,শামীম (Sheikh Muhammad Shamim)
সহকারী পুলিশ কমিশনার,
রমনা জোন,ডিএমপি।