ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলায় চোর সন্দেহর বশে এক শিশুকে নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে।আজকে সোমবার উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কোন্দারদিয়া গ্রামের মাজেদ মাস্টারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে বলা জানা গেছে।পরে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুটির নাম সাব্বির মোল্লা (১২) তাঁর বাবার নাম রাজা মোল্লা এবং তাঁর বাবা পেশায় একজন কৃষক।সাব্বির মোল্লা পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।
সাব্বিরের পরিবার এবং স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আজকে সকালে সাব্বির মোল্লা তাঁর বাড়ির পাশের মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে জাচ্ছিলেন।এসময় সাব্বির মাজেদ মাস্টারের উঠানের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় মাজেদ মাস্টারের বাড়ির লোক সাব্বিরকে ডেকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যায় এবং চোর সন্দেহে সাব্বিরের হাত পা বেঁধে লাঠি দিয়ে বেদম পিটুনি দিতে থাকে এবং একই সময় প্ল্যাস দিয়ে তাঁর হাতের নখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হলে সাব্বির অচেতন হয়ে পরে এ সময় সাব্বির মোল্লার মা খবর পেয়ে স্থানীয় জনতার সাহায্য নিয়ে সাব্বির কে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি।সাব্বির মোল্লার মা পানোয়ারা বেগম বলেন,আমরা গরিব মানুষ আমাদের উপর এমন নির্যাতন কেন করা হবে?তাঁর ছেলের উপর যারা নির্যাতন করেছেন তিনি তাদের বিচার দাবি করেন।
এদিকে সাব্বিরের বাবা রাজা মোল্লা জানিয়েছেন,তাঁর স্ত্রী গত ছয় বছর ধরে মাজেদ মাস্টারের বাড়িতে কাজ করে আসছিলেন।কিন্তু অসুস্থতার কারনের কিছুদিন আগে সেই কাজ সে বাদ দিয়েছে আর এই কারনেই মাজেদ মাস্টার এবং তার বাড়ির লোকজন তাঁর ছেলের উপর এইরকম অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে।নির্যাতনের কারনে তাঁর ছেলের নখ ভেঙ্গে গেছে যার কারনে সে দাঁড়াতেও পারছে না আর কানেও শুনতে পারছে না।খুবই খারাপ অবস্থায় আমি আমার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে,বলেন সাব্বিরের বাবা।
এই বিষয়ে মাজেদ মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি!এরপর মাজেদ মাস্টারের ছেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই ব্যাপারে সামনাসামনি কথা হবে এবং ব্যাস্ত আছি বলে ফোনের লাইন কেটে দেন তিনি।
Leave a Reply