করোনা ভাইরাসের ইতিহাস,করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সকল তথ্য জেনে নিন

করোনা ভাইরাস হল (চিনা (চায়না) 冠状病毒 এবং ইংরেজি Coronavirus) এই দুইটি একই শ্রেণীভুক্ত ভাইরাস যা সুধুমাত্র স্তন্যপায়ী এবং পাখিদের আক্রান্ত করে।আমরা জানি আমারা মানুষেরা স্তন্যপায়ী প্রানি।সুতরাং করোনা ভাইরাস দ্বারা আমাদের আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়,তবে বিপদজনক।করোনা ভাইরাস মানুষের শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়।এই ভাইরাসের লক্ষন খুব সীমিত হতে পারে,যেমনঃ হালকা জ্বর যা অনেক সময় সাধারণ জ্বরের মতই মনে হতে পারে।এছারা করোনা ভাইরাসেরই অন্য প্রজাতি রাইনোভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হলে,অথবা অন্যান্য মারাত্মক ভাইরস যেমনঃ সার্স, মার্স এবং কোভিড-১৯।মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হলে আক্রান্ত হবার লক্ষনের ভেতর অনেক তারতম্য দেখা যায়,যেমনঃ কোন মুরগি যদি করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে সেই মুরগি ঊর্ধ্ব শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায় আবার যদি কোন গরু অথবা শুকুর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে গরু অথবা শুকুরের ডায়রিয়া শুরু হয়।মানব দেহে যেই প্রজাতির করোনা ভাইরস সংক্রামন ঘটায় এর কোন ঔষধ বা ভাক্সসিন এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানিরা আবিস্কার করতে পারে নি।

করোনাভাইরাস রাইবোভিরিয়া  পর্বের নিদুভাইরাস  বর্গের করোনাভিরিডি গোত্রের অর্থোকরোনাভিরিন্যা  উপ-গোত্রের সদস্য।তারা পজিটিভ সেন্স একক সূত্রবিশিষ্ট আবরণীবদ্ধ বা এনভেলপড ভাইরাস। তাদের নিউক্লিওক্যাপসিড সর্পিলাকৃতির। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৭ থেকে ৩৪ কিলো বেস-পেয়ার (kilo base-pair) এর মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ।করোনাভাইরাস  শব্দটি ল্যাটিন করোনা  থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট। কারণ দ্বিমাত্রিক সঞ্চালন ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটির ক্লাব-আকৃতির প্রোটিন স্পাইকের কারণে একে দেখতে অনেকটা মুকুট বা সৌর করোনার মত। ভাইরাসের উপরিভাগ প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রমিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে। ভাইরাসটি ডাইমরফিজম রুপ প্রকাশ করে। ধারনা করা হয়, প্রাণীর দেহ থেকে এই ভাইরাস প্রথম মানবদেহে প্রবেশ করে। তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

করোনা ভাইরাসের ইতিহাসঃ

করোনাভাইরাস ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। পরে সাধারণ সর্দি-হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এরকম দুই ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাস দুটি ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ২২৯ই’ এবং ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ওসি৪৩’ নামে নামকরণ করা হয়।এরপর থেকে বিভিন্ন সময় ভাইরাসটির আরো বেশ কিছু প্রজাতি পাওয়া যায় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩ সালে। ‘এসএআরএস-সিওভি’, ২০০৪ সালে ‘এইচসিওভি এনএল৬৩’, ২০০৫ সালে ‘এইচকেইউ১’, ২০১২ সালে ‘এমইআরএস-সিওভি’ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সাল চীনে ‘নোভেল করোনাভাইরাস’। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টের গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয়। তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

কোন ব্যাক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেই ব্যাক্তির নিম্নোক্ত লক্ষন সমূহ দেখা দেয়ঃ

  • হালকা জ্বর হতে পারে যা অনেক টা প্রচলিত সর্দি জ্বরের মতই।
  • অবসাদ চলে আসতে পারে,যেমন কোন কিছু ভালো না লাগা।
  • শুষ্ক কাশি থাকতে পারে,আক্রান্ত ব্যাক্তির কাছে এটা স্বাভাবিক কাশি মনে হতে পারে।
  • করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে,আক্রান্ত ব্যাক্তির বমি হতে পারে।
  • কেউ করোনা ভাইরাসের আক্রমনের শিকার হলে তার শ্বাসকষ্ট হতে পারে।তবে এই শ্বাসকষ্ট প্রথমে কম থাকলেও ক্রমানয়ে তা বাড়তে থাকে।
  • করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত ব্যাক্তির গলা ব্যাথা অনুভিতি হতে পারে।
  • এমন কি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অঙ্গ বিকলও হতে পারে।
  • কোন ব্যাক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা হতে পারে।
  • করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বিভিন্ন রকম পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অনেক সময় কোন কোন আক্রান্ত ব্যাক্তির উপরোক্ত সব উপসর্গ দেখা দিলেও জ্বর থাকে না।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয় যেভাবেঃ (২০১৯-২০২০)

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রামণ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘২০১৯-এনসিওভি’ নামকরণ করে। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ পর্যন্ত চীনের সাথে সাথে ১২১টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় যাতে ৮,৯৬০ জনের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। নিশ্চিতভাবে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে আরো ২,১৯,৩৮৪ জন রোগী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৮৫,৭৪৯ জনের বেশি লোক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।উহানে দেখা দেওয়া ভাইরাস প্রজাতিটি ‘এসএআরএস-সিওভি’ প্রজাতির সাথে ~৭০% জিনগত মিল পাওয়া যায়।অনেকেই অনুমান করছেন নতুন এ প্রজাতিটি সাপ থেকে এসেছে যদিও অনেক গবেষক এ মতের বিরোধীতা করেন। তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

করোনা ভাইরাসের শাব্দিক অর্থ কি?

করোনা ভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন শব্দ করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে,যার বাংলা অর্থ মুকুট বা হাড়।করোনা শব্দটি নিজে গ্রিক κορώνη korṓnē থেকে এসেছে যার অর্থ “মালা” বা “হার”। নামটি ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে ভিরিয়নের (ভাইরাসের সংক্রামক আকার) বৈশিষ্ট্যমূলক উপস্থিতিকে নির্দেশ করে। ভিরিয়নের বিশাল কন্দাকৃতি পৃষ্ঠ অভিক্ষেপযুক্ত প্রান্ত রয়েছে যা মুকুটের স্মৃতি তৈরি করে। এর অঙ্গসংস্থান ভাইরাল স্পাইক পেপলোমিয়ার দ্বারা তৈরি হয়েছে যেগুলো মূলত ভাইরাসের পৃষ্ঠে অবস্থিত প্রোটিন।তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

করোনা ভাইরাস দেখতে কেমন?

করোনাভাইরাস বাল্বাস পৃষ্ঠের সাথে প্লিওমরফিক গোলাকার কণাসদৃশ। ভাইরাস কণার ব্যাস প্রায় ১২০ ন্যানোমিটার।ইলেক্ট্রন মাইক্রোগ্রাফগুলিতে ভাইরাসের আচ্ছাদনটি ইলেক্ট্রন গাঢ় শাঁসগুলির একটি পৃথক জোড়া হিসাবে উপস্থিত হয়।সকল প্রজাতির করোনাভাইরাসে সাধারণত স্পাইক (এস), এনভেলপ (ই), মেমব্রেন (এম) এবং নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) নামক চার ধরনের প্রোটিন দেখা যায়। ভাইরাল আচ্ছাদনে একটি লিপিড বাইলেয়ার থাকে যেখানে মেমব্রেন (এম), এনভেলপ (ই) এবং স্পাইক (এস) কাঠামোগত অ্যাংকর প্রোটিন থাকে। করোনাভাইরাসগুলির একটি উপসেট (বিশেষত বিটাকরোনাভাইরাস “সাবগ্রুপ এ”-এর ​​সদস্যদের) হিমাগ্লুটিনিন অ্যাস্টেরেস নামে একটি সংক্ষিপ্ত স্পাইক-জাতীয় পৃষ্ঠ-প্রোটিন রয়েছে। তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

                                                                                              Image Source: Wikipedia.org

করোনা ভাইরাসের অঙ্গসংস্থানঃ

করোনাভাইরাস বাল্বাস পৃষ্ঠের সাথে প্লিওমরফিক গোলাকার কণাসদৃশ। ভাইরাস কণার ব্যাস প্রায় ১২০ ন্যানোমিটার। ইলেক্ট্রন মাইক্রোগ্রাফগুলিতে ভাইরাসের আচ্ছাদনটি ইলেক্ট্রন গাঢ় শাঁসগুলির একটি পৃথক জোড়া হিসাবে উপস্থিত হয়।সকল প্রজাতির করোনাভাইরাসে সাধারণত স্পাইক (এস), এনভেলপ (ই), মেমব্রেন (এম) এবং নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) নামক চার ধরনের প্রোটিন দেখা যায়। ভাইরাল আচ্ছাদনে একটি লিপিড বাইলেয়ার থাকে যেখানে মেমব্রেন (এম), এনভেলপ (ই) এবং স্পাইক (এস) কাঠামোগত অ্যাংকর প্রোটিন থাকে। করোনাভাইরাসগুলির একটি উপসেট (বিশেষত বিটাকরোনাভাইরাস “সাবগ্রুপ এ”-এর ​​সদস্যদের) হিমাগ্লুটিনিন অ্যাস্টেরেস নামে একটি সংক্ষিপ্ত স্পাইক-জাতীয় পৃষ্ঠ-প্রোটিন রয়েছে।তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

করোনা ভাইরাসের রেপ্লিকেশনঃ

ভাইরাস যখন এর আশ্রয়দাতা অঙ্গে প্রবেশ করে এবং সেই অঙ্গের আশ্রয়দাতা কোষের রিসিপ্টরে এর স্পাইক প্রোটিন সংযুক্ত করে তখনই সংক্রমণ শুরু হয়। সংযুক্তির পরে আশ্রয়দাতা কোষ থেকে নিঃসৃত প্রোটিয়েজ রিসেপ্টরের সাথে যুক্ত স্পাইক, প্রোটিনকে বিচ্ছিন্ন ও সক্রিয় করে। আশ্রয়দাতা কোষে প্রোটিয়েজ প্রাপ্তিসাপেক্ষে, বিচ্ছিন্নকরণ ও সক্রিয়করণের দ্বারা নির্ধারিত হয় ভাইরাসটি এন্ডোসাইটোসিসের মাধ্যমে নাকি আশ্রয়দাতা কোষঝিল্লির সাথে ভাইরাল এনভেলপের সরাসরি একীভূত হওয়ার হওয়ার মাধ্যমে কোষে প্রবেশ করবে।আশ্রয়দাতা কোষে প্রবেশের সময় ভাইরাস কণাটি অনাবৃত অবস্থায় থাকে এবং এর জিনোম কোষের সাইটোপ্লাজমে প্রবেশ করে।করোনাভাইরাস আরএনএ জিনোমের একটি ৫’ মিথাইল ক্যাপ এবং একটি ৩’ পলিঅ্যাডেনিলেটেড লেজ রয়েছে যা আরএনএ কে রূপান্তরের জন্য আশ্রয়দাতা কোষের রাইবোজোমের সাথে যুক্ত রাখে।তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

করোনা ভাইরাসের জিনোমঃ

করোনাভাইরাসে একটি পজিটিভ সেন্স, এক-সূত্রক আরএনএ জিনোম থাকে। করোনাভাইরাসগুলির জিনোমের আকার প্রায় ২৭ থেকে ৩৪ কিলোবেইজের মধ্যে থাকে।আরএনএ ভাইরাসগুলির মধ্যে এটির জিনোমের আকার একটি বৃহত্তম। জিনোমে একটি  এবং 3′ পলি অ্যাডেনিলেটেড লেজ থাকে।একটি করোনাভাইরাসের জন্য জিনোম অর্গানাইজেশন হলো 5′-লিডার-UTR (Untranslated Region) -রেপ্লিকেজ/ ট্রান্সক্রিপটেজ-স্পাইক (S) – এনভেলপ (E) – মেমব্রেন (M) – নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) – 3’UTR – পলি (A) লেজ। মুক্ত রিডিং ফ্রেম 1a এবং 1b জিনোমের প্রথম দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে এবং রেপ্লিকেজ/ট্রান্সক্রিপটেজ পলিপ্রোটিন এনকোড করে। রেপ্লিকেজ/ট্রান্সক্রিপটেজ পলিপ্রোটিন নিজে থেকেই ভেঙে গিয়ে অ-গাঠনিক প্রোটিন (Nonstructural Proteins, nsps) গঠন করে।পরবর্তী রিডিং ফ্রেমগুলি চারটি প্রধান গাঠনিক প্রোটিন: স্পাইক, এনভেলপ, মেমব্রেন এবং নিউক্লিওক্যাপসিডকে এনকোড করে। এই রিডিং ফ্রেমগুলোর মধ্যে বিক্ষিপ্ত ফ্রেমগুলো হল আনুষঙ্গিক প্রোটিনগুলির জন্য রিডিং ফ্রেম। নির্দিষ্ট করোনভাইরাসের জন্য তার আনুষঙ্গিক প্রোটিনগুলির সংখ্যা এবং কার্যাবলী নির্দিষ্ট।তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণঃ

হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে সৃষ্ট পানিকণার ফলে আক্রান্তর সংস্পর্শে অপর ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে। করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সাথে আক্রমণের শিকার হতে যাওয়ার কোষের হোস্ট কোষের গ্রাহকপ্রান্তের মিথস্ক্রিয়াই টিস্যু ট্রপিজম, সংক্রাম্যতা এবং প্রজাতির ব্যাপ্তি ইত্যাদির ব্যাপারে তথ্য দেয়।উদাহরণস্বরূপ, সার্স করোনাভাইরাস অ্যাঞ্জিওটেনসিন-রূপান্তরিত এনজাইম ২ (এসিই ২) মানবকোষে সংযুক্তির মাধ্যমে সংক্রামণ ঘটায়।তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

করোনা ভাইরাসের শ্রেণিবিন্যাসঃ

করোনাভাইরাসের বৈজ্ঞানিক নাম Orthocoronavirinae (অর্থোকরোনাভিরিনি) বা Coronavirinae (করোনাভিরিন্যা) করোনাভাইরাস করোনাভিরিডি পরিবারের সদস্য।

  • গণ: Alphacoronavirus (আলফাকরোনাভাইরাস)
  • প্রজাতি: Human coronavirus 229E (হিউম্যান করোনাভাইরাস ২২৯ই), Human coronavirus NL63 (হিউম্যান করোনাভাইরাস এনএল৬৩), Miniopterus bat coronavirus 1, Miniopterus bat coronavirus HKU8, Porcine epidemic diarrhea virus, Rhinolophus bat coronavirus HKU2, Scotophilus bat coronavirus 512
  • গণ Betacoronavirus (বেটাকরোনাভাইরাস); প্রজাতির ধরন: Murine coronavirus
  • প্রজাতি: Betacoronavirus 1, Human coronavirus HKU1, Murine coronavirus, Pipistrellus bat coronavirus HKU5, Rousettus bat coronavirus HKU9, Severe acute respiratory syndrome-related coronavirus, Severe acute respiratory syndrome coronavirus 2, Tylonycteris bat coronavirus HKU4, Middle East respiratory syndrome-related coronavirus, Human coronavirus OC43, Hedgehog coronavirus 1 (EriCoV)
  • গণ Gammacoronavirus (গামাকরোনাভাইরাস); প্রজাতির ধরন: Infectious bronchitis virus
  • প্রজাতি: Beluga whale coronavirus SW1, Infectious bronchitis virus
  • গণ Deltacoronavirus (ডেল্টাকরোনাভাইরাস); প্রজাতির ধরন: Bulbul coronavirus HKU11
  • প্রজাতি: Bulbul coronavirus HKU11, Porcine coronavirus HKU15

তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

করোনা ভাইরাসের বিবর্তনঃ

সকল প্রকার করোনাভাইরাসের সর্বশেষ সাধারণ পূর্বপুরুষ (মোস্ট রিসেন্ট কমন অ্যানসেস্টর বা এমআরসিএ) এর উৎপত্তি ঘটে আনুমানিক ৮০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।আলফাকরোনাভাইরাসের এমআরসিএ ধারা ২৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, বেটাকরোনাভাইরাসের ধারা ৩৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, গামাকরোনাভাইরাসের ধারা ২৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এবং ডেল্টাকরোনাভাইরাসের ধারা ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি হয়েছে। বাদুর এবং পাখির মত উড়ন্ত উষ্ণরক্তধারী মেরুদণ্ডী প্রাণীরাই করোনাভাইরাস জিন-উৎসের বিবর্তন এবং ছড়িয়ে দেওয়ার আদর্শ বাহক (বাদুড়ের জন্য আলফা ও বেটা করোনাভাইরাস, পাখির জন্য গামা এবং ডেল্টাকরোনাভাইরাস)।বোভাইন করোনাভাইরাস এবং ক্যানাইন শ্বসনযন্ত্রের করোনাভাইরাসের শেষ পূর্বপুরুষ এসেছে (~ ১৯৫০) এর দিকে। বোভাইন এবং মানব করোনাভাইরাস ওসি৪৩ ১৮৯০-এর দিকে ছড়ায়। বোভাইন করোনাভাইরাস ছড়ায় ইকুয়াইন করোনাভাইরাস প্রজাতি থেকে, ১৮ শতকের শেষদিকে।মানব করোনাভাইরাস ওসি৪৩-এর এমআরসিএ ১৯৫০-এর দিকে উৎপত্তি লাভ করে।

মার্স-কোভি কিছু বাদুড়ের করোনাভাইরাস প্রজাতির সাথে সম্পর্কযুক্ত হলেও ধারণা করা হয় বেশকিছু শতাব্দী আগে এর উৎপত্তি ঘটে।মানব করোনাভাইরাস এনএল৬৩ এবং একটি বাদুড়ের করোনাভাইরাসের এমআরসিএ ৫৬৩-৮২২ বছর আগে উৎপত্তি লাভ করে।১৯৮৬ সালে বাদুড় করোনাভাইরাস এবং সার্স-কোভির সাথে সম্পর্কযুক্ত ভাইরাস উৎপত্তি লাভ করে।বাদুড়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত সার্স ভাইরাসের বিবর্তনের একটু যাত্রাপথ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গবেষকেরা মনে করেন, করোনাভাইরাস দীর্ঘসময় ধরে বাদুড়ের সাথে সাথে বিবর্তিত হয়েছে এবং সার্স-কোভির উত্তরসূরীরা প্রথমে হিপোসিডারিডি গণের প্রজাতির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এরপরে তা রাইনোলফিডির প্রজাতির মধ্যে, পরবর্তীতে ভামের মধ্যে এটি ছড়ায় এবং সর্বশেষে ছড়ায় মানুষের মধ্যে। আলপাকা করোনাভাইরাস এবং মানব করোনাভাইরাস ২২৯ই ১৯৬০-এর দিকে উৎপত্তি লাভ করে।তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

মানব করোনাভাইরাসের প্রকারভেদঃ

ক্ষতির সম্ভাবনার দিক থেকে করোনাভাইরাস বেশ বৈচিত্র্যময়। কিছু প্রকরণ আক্রান্তের ৩০%-এরও বেশিকে মেরে ফেলে (যেমন মার্স-কোভি), কিছু প্রকরণ মোটামুটি নিরীহ, যেমন সাধারণ ঠাণ্ডা। করোনাভাইরাস ঠাণ্ডার পাশাপাশি বড় ধরণের কিছু উপসর্গ সৃষ্টি করে, যেমন জ্বর, ফুলে যাওয়া অ্যাডিনয়েডের ফলে গলা ব্যথা। এগুলো সাধারণত শীতকালে এবং বসন্ত ঋতুর শুরুর দিকে হয়। করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া ঘটাতে পারে (সরাসরিভাবে ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া অথবা পরোক্ষভাবে ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়া) এবং ব্রঙ্কাইটিসের (সরাসরিভাবে ভাইরাসজনিত ব্রঙ্কাইটিস অথবা পরোক্ষভাবে ব্যাকটেরিয়াজনিত ব্রঙ্কাইটিস) মাধ্যমে।২০০৩ সালে সার্স-কোভি ছড়ানোর পর থেকে করোনাভাইরাস পরিচিতি পায়। এই ভাইরাস একইসাথে সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) এবং উর্ধ্ব এবং নিম্ন শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়।

মানব করোনাভাইরাসের নিম্নলিখিত প্রকরণ আবিষ্কৃত হয়েছেঃ

  • মানব করোনাভাইরাস ২২৯ই (এইচকোভি-২২৯ই)
  • মানব করোনাভাইরাস ওসি৪৩ (এইচকোভি-ওসি৪৩)
  • মানব করোনাভাইরাস এনএল৬৩ (এইচকোভি-এনএল৬৩, নিউ হ্যাভেন করোনাভাইরাস)
  • মানব করোনাভাইরাস এইচকেইউ ১

এবং নিচের তিনটি, সাধারণত মারাত্মক হয়ে থাকে:

  • সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স-কোভি বা সার্স ক্ল্যাসিক)
  • মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম-সম্পর্কিত করোনাভাইরাস (মার্স-কোভি), পূর্বে “নোভেল করোনাভাইরাস ২০১২” এবং “এইচকোভি-ইএমসি” হিসেবে পরিচিত ছিল
  • সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাস ২ (সার্স-কোভি-২), পূর্বে “২০১৯-কোভি” বা “নোভেল করোনাভাইরাস ২০১৯” হিসেবে পরিচিত ছিল।

করোনাভাইরাস এইচকোভি-২২৯ই, -এনএল৬৩, -ওসি৪৩ এবং -এইচকেইউআই মানুষের মধ্যে ক্রমাগত ছড়ায় এবং বিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের শ্বসনতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়।তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে সুরক্ষা করতে পারেনঃ

যেহেতু এখন পর্যন্ত মানব করোনা ভাইরাসের কোন ঔষধ অথবা ভাক্সিন আবিস্কার করা সম্ভব হয় নি।সুতরাং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বাঁচার সম্ভবনা খুবই কম।তবে আপনি কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে করন ভাইরাস থাকে নিজেকে অনেকটাই সুরক্ষিত রাখতে পারেন।যেমনঃ

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে বেশি বেশি করে পাক পবিত্র থাকতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। যা আপনাকে শয়তানের ওয়াছ ওয়াছা থেকে মুক্ত রাখবে এবং আল্লাহ তা’আলা আপনাকে হেফাজত করবেন ইনশাআল্লাহ। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য কয়েকটি দো’আ রয়েছে তারমধ্যে একটি নিচে উল্লেখ করা হ’ল।(_আল্ল-_হুম্মা_ইন্নী_আ’ঊযুবিকা_মিনাল_বারাছি_ওয়াল_জুযা-মি_ওয়াল_জুনূনি_ওয়া_মিন_সাইয়িইল_আসক্বা-ম।_)”

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চায় শ্বেত, উন্মাদনা, কুষ্ঠ এবং সমস্ত দুরারোগ্য ব্যাধি হ’তে’ (আবূদাঊদ হা/১৫৫৪; নাসাই হা/৫৫০৮; মিশকাত হা/২৪৭০, সনদ ছহীহ)। তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

প্রথমত, এই ভাইরাসটি যেখানে ছড়াচ্ছে সেখানে যাওয়া এড়ানো উচিত। আর আপনি যদি একান্তই এমন জায়গার কাছাকাছি থাকেন তবে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করতে পারেনঃ

  • আপনার হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। যদি কোনও সাবান না থাকে তবে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
  • আপনার নাক এবং মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখুন।
  • অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন। তাদের ব্যবহৃত বাসন ব্যবহার করবেন না এবং তাদের স্পর্শ করবেন না। এর ফলে রোগী এবং আপনি দুজনেই সুরক্ষিত থাকবেন।
  • ঘর পরিষ্কার রাখুন এবং বাইরে থেকে আসা জিনিসগুলিকেও পরিষ্কার করে ঘরে আনুন।
  • নন-ভেজ বিশেষত সামুদ্রিক খাদ্য খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। কেননা এই ভাইরাস সি-ফুড থেকেই ছড়ায়।তথ্য সুত্রঃ বিডি জার্নাল

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ  এই লেখাটির সকল তথ্য উইকিপিডিয়া এবং ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং আংশিক পরিবর্তিত।লেখাটি শুধু মাত্র গন সচেতনতা তৈরি করার জন্য প্রকাশ করা হল।সুতরাং এই লেখা বেশী বেশী শেয়ার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Warning: Trying to access array offset on null in /home/bcsaid/instabangla.com/wp-content/themes/disto/single.php on line 260