হাই বন্ধুরা। আশাকরি সবাই ভালই আছেন। আজকে আমি আপনাদের মা মাঝে মোবাইল বা ট্যাবলেট ফোন থেকে পিসিতে বা কম্পিউটার এর মধ্যে ফাইল শেয়ার করবেন। আপনার যদি কোনো ফাইল হস্তান্তর করার প্রয়োজন পরে সে ক্ষেত্রে আপনার এই কাজটি অনেক জটিল হতে পারে। ওয়েল, বন্দুরা আজকে আমি আপনাদের সেই কাজ এর সমাধান নিয়ে কিছু বিস্তারিত আলোচনা করব। যা আপনার এই কাজগুলি অনেক সহয হয়ে যাবে। তো আর কথা না বাড়িয়ে আমি বিস্তারিত আর্টিকেলে চলে যাব।
ইউএসবি ফাইল ট্র্যান্সফার
এর ব্যবহার করে যদি আপনি ফাইল কম্পিউটার এ হস্তান্তর করতে চান তাহলে আপনার ভাল একটি ওয়্যার এর প্রয়োজন পরবে। মানে ইউএসবি ক্যাবল এর দরকার পরবে।
নতুন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলির জন্য একটি ইউএসবি-সি কেবল লাগবে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলির জন্য একটি মাইক্রো-ইউএসবি কেবল দরকার হবে। কিছু পুরানো ডিভাইসের জন্য মিনি-ইউএসবি কেবল দরকার হতে পারে। আপনার ফোন বা ডিভাইসের প্লাস “ইউএসবি টাইপ” এর মডেলটি গুগল এ সার্চ করতে পারেন।এবং আপনার কোনটি প্রয়োজন তা খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারে গুগল। আপনি যদি আপনার ফোনের মডেলটি না জানেন তবে আপনি তার সেটিংস মেনুতে আপনার ডিভাইসের মডেলটি পরীক্ষা করতে পারেন। এবং তা থেকে ইউএসবি মিলিয়ে কাজ করতে পারেন।
আপনার যদি আইফোন বা আইপ্যাড থাকে তবে আপনার জন্য একটি অ্যাপল লাইটনিং কেবল দরকার হবে। আপনার আইফোনের মডেলটির জন্য ডিজাইন করা কেবলটি দেখে ভালোভাবে দেখে নিন।
ফাইল ট্র্যান্সফার করতে, আপনার ডিভাইস এবং ডেস্কটপটিকে ইউএসবি কেবল দিয়ে সংযুক্ত করুন। যখন দুটি ডিভাইস প্লাগ ইন করা থাকে তখন আপনার কম্পিউটার আপনাকে নোটিফিকেশান এর মধ্যমে আপনাকে জানাবে যে আপনার ফোনটি কম্পিউটার এর সাথে যুক্ত হয়েছে। এবং এটি সাধারনত আপনার অপারেটিং সিস্টেমের উপর নির্ভর করবে। এবং আপনার সেই নোটিফিকেশান এর মাধ্যমে আপনার সেই পারমিশন ঠিক করতে হবে। যে আপনি কি এর পারমিশন দিবেন কি দিবেন না।
আবার কোনো কোনো অপারেটিং সিস্টেম অটোমেটিক ডেটা হস্তান্তর করার জন্য পারমিশন দিয়ে থাকে।
তারপরে, আপনি ডাউনলোড করা ফাইলটি খুঁজে পেতে এবং আপনার ডেস্কটপের যে কোনও স্থানে স্থানান্তর করতে আপনার ডিভাইসের স্টোরেজটি ব্রাউজ করতে পারেন। এতে আপনি সব একসাথে পেয়ে যাবেন।
ব্লুটুথ পদ্ধতি
এই পদ্ধতির কথা আমরা কম বেশি সবাই জানি। আমরা সবাই আগেকার দিনে জাভা ফোন দিয়ে এই পদ্ধতিতে ফাইল শারিং করে থাকতাম। তো এখানকার দিনে এতো প্রয়োজন পরে না এই ব্লুটুথ এর । তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যবহার ব্যাপক।
এই পদ্ধতিটি ইউএসবি পদ্ধতির মতো কোনও তারের প্রয়োজন নেই। এটির জন্য ব্লুটুথ সংযোগের সাথে একটি ডেস্কটপ প্রয়োজন।
শুরু করতে, ব্লুটুথ ব্যবহার করে আপনার ডিভাইসগুলির সাথে কানেক্ট করুন। এবং এই যুক্ত করার পদ্ধতিটি একই অপারেটিং সিস্টেম এ একেক রকমের হতে পারে। সেটি সবকিছু আপনার উপড় নির্ভর করবে। মানে এই ডিভাইস দুটি পেইর করে একসাথে যুক্ত করতে হলে আপনার কিছু জটিল ট্রাম অবলম্বন করতে হবে।
এবং যুক্ত হয়ে গেলে। আপনার মোবাইল এর সমস্থ ফাইল কম্পিউটার এর যেকোনো যায়গায় নিয়ে নিতে পারবেন।
ক্লাউড স্টোরেজ
আপনি যদি কোনো ইউএসবি ক্যাবল না ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার পথ থাকে ব্লুটুথ ব্যবহার করে ফাইল ট্রান্সফার করার। আবার যদি তাও ব্লুতুথ ব্যবহার করার কোনো উপায় না থাকে তাহলে আপনি ক্লাউড সিস্টেম এর মাধ্যমে মোবাইল থেকে পিসিতে ফাইল হস্তান্তর করতে পারবেন।
সাধারনত ক্লাউড স্টোরেজ গুলি হলো গুগল ড্রাইভ এবং ড্রপবক্স। এই ক্লাউড সেবাগুলি আপনি সাধারণত ফ্রী তেই পাওয়া যায়। এই পরিসেবাগুলি গ্রহন করার জন্য আপনাকে জিমেইল অ্যাকাউন্ট করলেই হবে।
বেশিরভাগ ক্লাউড স্টোরেজ পরিসেবাগুলির ফোন অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা আপনি আপনার ট্যাবলেট, স্মার্টফোন বা অন্যান্য ডিভাইসে ডাউনলোড করতে পারবেন। এবং তা খুব সহযেই ব্যবহার করতে পারবেন। তারপরে আপনি ডাউনলোড করা ফাইলগুলি আপলোড করতে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করতে পারবেনীবং সেই অ্যাকাউন্ট এর ফাইল গুলি আপনি ডেক্সটপ দ্ধারা আবার পনুরাউদ্ধার করতে পারবেন।
আপনি যে কোনও ডিভাইস থেকে আপনার ক্লাউড স্টোরেজ অ্যাক্সেস করতে পারেন। ক্লাউডে আপনার ফাইলগুলি যতক্ষণ থাকবে, আপনি ইন্টারনেট সংযোগের সাথে প্রায় কোনও ডেস্কটপে আপনার ডাউনলোড অ্যাক্সেস করতে পারেন। এবং খুব সহযেই আপনি ব্যবহার করতে পরবেন আপনার ডেটাগুলি।
ইমেল
আপনি ইচ্ছে করলে ই-মেইল এর মাধ্যমে আপনি ফাইল মোবাইল থেকে আপনার ডেক্সটপ এ ট্রান্সফার করতে পারবেন।
এই পদ্ধতি সাধারনত ক্লাউড স্টোরেজ এর মতই। আপনি যদি ইমেইল এর মাধ্যমে ফাইল ট্রান্সফার করতে চান তাহলে তা করতে পারবেন। ই-মেইল এর মাধ্যমেও আপনি নির্দিষ্ট পরিমানের স্পেসের মাধ্যম খুজে পাবেন। মনে করেন আপনি আপনার মোবাইল বা স্মার্ট ট্যাবলেট এর মধ্যে একটা ই-মেইল করলেন। আবার আপনার যে ডেক্সটপ এর মধ্যে আপনি ই-মেইল এর মাধ্যমে সেই ফাইলটি ট্রান্সফার করতে পারবেন।
উপসংহার
ফোন থেকে ডেস্কটপে ফাইল ট্রান্সফার করতে জটিল হওয়ার দরকার নেই। ব্লুটুথ সংযোগের মাধ্যমে খুব সহজেই ফাইল ট্রান্সফার করতে পারবেন। যা আপনার জন্য কুব সহজ পদ্ধতি বলে আমি মনে করি। তার চাইতে সহজ হলো ইউএসবি ক্যাবল আর মাধ্যমে ফাইল ট্রান্সফার করা। এভাবে আমিও করি মাঝে মাঝে। আশাকরি আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বিস্তারিত জান তে পেরেছেন।
Leave a Reply