মোবাইল ফোন কি তা আর নতুন করে বলার কিছু নাই।কারন আপনি হয়ত এই লেখা আপনার হাতে থাকে স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করেই পড়ছেন।কেউ একে বলে মোবাইল,কেউ বলে মোবাইল ফোন,কেউ বলে সেল ফোন আমার কেউ বলে মুঠোফোন।যা ই বলি না কেন তাতে কিন্তু এর কাজ করার ধরন পরিবর্তন হয়ে যায় না।মোবাইল ফোন মূলত তার এর সংযোগ বিহীন এর দূরভাষ যন্ত্র।যা সিগন্যাল আদান প্রদান এর জন্য মোবাইল কোম্পানি গুলোর স্থাপন করা মোবাইল টাওয়ার ব্যাবহার করে।আর এই টাওয়ার গুলো রেডিও তরঙ্গ ব্যাবহার করে সিগন্যাল বা আমাদের প্রেরিত ভয়েস অথবা টেক্সট বার্তা আদান প্রদান করে।
মোবাইল ফোন কবে কখন কথায় কীভাবে আবিস্কার হয়েছিল টা বলা মুশকিল।তবে প্রথমে যে দুইটি যন্ত্র আবিস্কার হয়েছিল তা হল টিভি এবং টেলিফোন।এই দুটি যন্ত্র এর সমন্বয় ই হচ্ছে আজকের আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন।১৮৭৬ সালে গ্রাহাম বেল নামের একজন বিজ্ঞানি টেলিভিশন আবিস্কার করেন এবং ১৮৯৪ সালে বিজ্ঞানি মার্কনি টেলিভিশন আবিস্কার হবার ১৮ বছর পর রেডিও আবিস্কার করেন।
তবে ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে একত্রে মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক বলা হয়।১৯৭৩ ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেল প্রথমে তাদের তৈরি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলতে সক্ষম হয়।এবং সেই মোবাইল ফোনের ওজন ছিল ১ কেজি(প্রায় ২.২ পাউন্ড)।১৯৮৩ সালে সর্ব প্রথম মোবাইল ফোনের বাণিজ্যিক কপি বাজারে আসে এবং এটি তৈরি করেছিল মোটোরোলা কোম্পানি।
এখন আমরা জানবো মোবাইল ফোন কীভাবে কাজ করে?মোবাইল কোম্পানি গুলো প্রতিটা এলাকা কে একটি সেলে ভাগ করে নেই যার প্রতি সেল এর পরিমান ১৬ বঃকিঃ।এবং এই টাওয়ার গুলো একটি প্রধান টাওয়ার এর সাথে যুক্ত থেকে সিগন্যাল আদান প্রদান করে।এবং এরা একে অন্য টাওয়ার এর সাথে সংযুক্ত হতে Low Powers Transmissions ব্যাবহার করে।যার ফলে আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন অল্প ক্ষমতার ব্যাটারি দিয়ে চলে।
যখন আমরা আমদের মোবাইল ফোন চালু করি তখন আমাদের মোবাইল ফোন কন্ট্রোল চানেলের মাধ্যমে System Indentification Code(SID) করে এবং আমাদের মোবাইল ফোনের অবস্থান সেন্ট্রাল অফিসের ডাটা বেজে থাকে।আমরা কখন কোন টাওয়ার এর কাছে অবস্থান করছি এটিও সেন্ট্রাল অফিসের ডাটাবেসে থাকে।ফলে যখন কেউ আমাদের মোবাইল ফোন কল করে তখন সেন্ট্রাল অফিসের ডাটাবেস থেকে আমাদের মোবাইল কোন টাওয়ার এর কাছে অবস্থান করছে সেই টাওয়ার থেকে সিগন্যাল আমাদের মোবাইল ফোন প্রেরন করে এবং আমরা তখন কতা বলতে পারি।
মোবাইল ফোনের আরও একটি সুবিধা হল আপনি চলমান অবস্থায় ও কথা বলতে পারেন কোন প্রকার সমস্যা ছারায়।যেমন ধরেন আপনি এই মুহূর্তে কথা বলছেন এবং আপনি গারিতে আছেন।কিন্তু আপনি কথা বলতে বলতে যে সেলে কথা বলা শুরু করেছিলেন সেই সেল এর এরিয়া থেকে চলে গেলেন এবং অন্য একটি সেলে প্রবস করলেন।এখন আপনি এই যে একটি সেল থেকে অন্য সেলে চলে গেলেন তারপরেও আপনার কথা বলার উপর এর কোন প্রভাব পরবে না।কারন প্রথম যে সেলে আপনি কথা বলা শুরু করেছিলেন সেই সেল থেকে আপনার দুরুত্ত বেরে যাবার কারনে প্রথম সেল টি আপনার বর্তমান অবস্থান করা সেলের সাথে সংযোগ স্থাপন করে ফলে আপনি নির্বিঘ্নে কথা চালিয়ে যেতে পারেন।
Leave a Reply