এই ধাপটি অনেকটা সোজা। এখানে আপনাকে যা করতে হবে আপনার সাইটের প্রত্যেকটি পেজ আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে সাইট রেঙ্ক করবেনা। বরং, আপনার সাইটে কিছু ভিজিটর পাবেন, যেটা পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাবে আপনাকে সাহায্য করবে।
কেন সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার গুরুত্বপূর্ণ?
বর্তমান সময়ে লিঙ্কই একমাত্র র্যাংকিং ফ্যাক্টর নয়, যদিও এসইও সোশ্যাল মিডিয়ার সরস্বতী তেমন কোন ইম্প্যাক্ট নেই, তবুও অনেকে বিশ্বাস করেন সোশ্যাল শেয়ারের মাধ্যমে ভিজিটর আসলে গুগোল ওই সাইট সম্পর্কে পজিটিভ চিন্তাভাবনা করা শুরু করে। আবার বর্তমান সময়ে ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনি একটি রিয়েল লাইফ ব্র্যান্ড ওয়েবসাইট প্রমোট করছেন এটা গুগোল কে বোঝানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোশ্যাল শেয়ার ভ্যালু না থাকলেও সোশ্যাল সিগনাল তথা লাইক কমেন্ট ইত্যাদির কিছুটা মূল্য রয়েছে, রেংকিং এর ক্ষেত্রে।
যা যা করবেন না:
একাধিক বার পিং করবেন না: গুগলে সার্চ দিলে অনেক গুলো পিং করার সাইট আসে। পিন করা উচিত কি অনুচিত এটা নিয়ে তর্ক করা যেতে পারে। আমি সাধারণত আমার ক্লায়েন্টের সাইটগুলোতে পিংক করিনা। কারণ এতে করে অনেকগুলো স্প্যাম লিংক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পরবর্তী ধাপে যখন আমরা লিংক সম্পর্কে জানব তখন স্প্যাম লিংক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
অনেকেই তার নতুন সাইটে ভিজিটর আনার জন্য পিং করে থাকেন। আপনি চাইলে কোন লিংকে লাইফটাইম এ একবার পিং করতে পারেন। তবে একাধিকবার করবেন না।
লিঙ্কবিল্ডিং টুল ব্যবহার:
লিংক বিল্ডিং এর জন্য কোন টুলস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। টুলস ব্যবহার করে লিংক করলে, উপকার হওয়ার সম্ভাবনা তো নাই, বরং অপকার হবে। গুগল তার ইনডেক্স থেকে আপনার সাইটটি সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে ফেলতে পারে। অথবা, র্যাঙ্ক ড্রপ হতে পারে।
আসুন জেনে নেই আজকের পোস্টে ব্যবহৃত কিছু অ্যাক্রোনিম সম্পর্কে:
অর্গানিক ভিজিটরঃ ন্যাচারাল ভাবে সার্চ ইঞ্জিন থেকে যে ভিজিটর পাওয়া যায় তাকে অর্গানিক ভিজিটর বলা হয়। অনেকে অর্গানিক সার্চ ভিজিটর বলে থাকেন।
কিওয়ার্ডঃ এটি হলো কিছু শব্দ বা শব্দগুচ্ছ, যেগুলো ব্যবহার করে মানুষ কোন জিনিস খুঁজে। যেমন: আপনি ইউটিউবে এসইও সম্পর্কে জানতে “ এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল” বা “ এসইও” লিখে সার্চ দেন। এই দুটি শব্দ বা শব্দগুচ্ছ হল এসইওর পরিভাষায় কিওয়ার্ড।
সোশ্যাল সিগনালঃ সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ারকৃত কোন লিংকে, লাইক, কমেন্ট, টুইট, লাভ, ইত্যাদি হল সিগনাল। এটি একটি র্যাংকিং ফ্যাক্টর। সহজ করে বলতে, আপনার সাইট রাঙ্ক করতে এটা সাহায্য করে ।
স্প্যাম লিংকঃ আজেবাজে স্থানে করা ব্যাকলিংক গুলোকে স্প্যাম লিংক বলা হয়। বট, অটোমেটেড কোন মাধ্যমে লিংকগুলো স্প্যাম লিংক। একটি লিংকের জন্যও অনেক বাজে প্রভাব পড়তে পারে ।
শেষ কথা
তো আজ এ পর্যন্তই, পরবর্তী টিউটোরিয়ালে আপনাদের সাথে ওয়েবমাস্টার টুলস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, ইনশাআল্লাহ। আশাকরি ততদিন সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
Leave a Reply