নিউজ ডেস্কঃ ক্রিকেটার নাসিরের বর্তমান স্ত্রী তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বিবাহ-বিচ্ছেদ পক্রিয়া ডিজিটাল করতে করা রিটের শুনানি আজকে।আজকে ২২ মার্চ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও মো. কামরুল হোসেন মোল্লাকে নিয়ে গঠিত ব্রেঞ্চে সুনানির জন্য কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।
চলতি বছরের ৪ মার্চ ক্রিকেটার নাসিরের বর্তমান স্ত্রী তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান,অন্য তিন জন ব্যাক্তি এবং একটি সংস্থা (এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন) এই রিট দায়ের করেন।রিটকারীদের মধ্য অন্য দুজন ব্যাক্তি হলেন, সোহাগ হোসেন, কামরুল হাসান।
দায়ের করা এই রিটে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব,তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব,বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
এই রিটে বিয়ে এবং বিচ্ছেদে সম্মান রক্ষায় প্রতারণার হাত থেকে বাঁচিয়ে সম্মান রক্ষা এবং পরিবারের জীবন বাঁচাতে বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারি করার অনুরধ জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতরনার হাত থেকে বাঁচাতে বিবাহ এবং তালাক রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করার নির্দেশনা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
ক্রিকেটার নাসিরের বর্তমান স্ত্রী তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান,অন্য তিন জন ব্যাক্তি এবং একটি সংস্থা (এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন) এর পক্ষ থেকে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
তাদের পাহান সেই লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, বিবাহ এবং তালাক রেজিস্ট্রেশনের আইনগত বিধান থাকলেও তা ডিজিটাল না করার ফলে প্রতিদিন অসংখ্য প্রতারণার ঘটনা ঘটে চলেছে।এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিয়ের তথ্য গোপন রেখে আগের স্বামী/স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে নতুন বিবাহ করার প্রবনতা বেড়ে যাচ্ছে।আর এর কারনে সন্তানদের পিতৃপরিচয় নিয়েও জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।বিয়ে সংক্রান্ত মামলা দিন দিন বেড়েই চলেছে।সুতরাং, বিবাহ এবং তালাক রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল হওয়া একান্ত আবশ্যক হয়ে পরেছে। বিবাহ এবং তালাক রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করলে শুধু এনআইডি নাম্বার দিয়ে সার্চ করলেই সমস্ত তথ্য বের হয়ে আসবে।এতে করে প্রতরনার হাত ঠেক অনেক মানুষ রক্ষা পাবে।
লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল, নোটিশ পাওয়ার ৩ দিনের ভেতর বিবাহ এবং তালাক রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা যেন গ্রহন করা হয়।কিন্তু কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করার কারনে এই রিট দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply