আপনি এই লেখা পড়া শুরু করেছেন তার মানে আমি ধরে নিচ্ছি আপনি নতুন কোন বিজনেস শুরু করেছেন এবং আপনি বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে আপনার নতুন শুরু করা বিজনেস কে আরও ভালো ভাবে উন্নত করবেন।আজকের আর্টিকেল মূলত তাদের জন্য যারা নতুন বিজনেস শুরু করেছেন এবং বিজনেস কে আরও ভালো করতে চাচ্ছেন।আপনার উচিত হবে এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়া এবং কোন বিষয়ে বুঝতে না পারলে এই পোস্ট এর শেষে কমেন্ট করে প্রশ্ন করা।আমি চেষ্টা করব আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনাকে সাহায্য করার।
আচ্ছা আপনি কি মনে করেন?এই পৃথিবীতে সবাইকে দিয়ে সব কাজ হয়?না হয় না।সবাই সব রকমের কাজের উপযুক্ত না তাই আপনি যখন বিজনেস শুরু করবেন তখন আপনার প্রথম কাজ হবে আপনার বিজনেস পরিচালনার জন্য কিছু সঠিক মানুষ।যারা আপনার বিজনেসকে সঠিক ভাবে সঠিক পথে পরিচালনা করবে।কারন বিজনেসে দক্ষ কর্মীর কোন বিকল্প নাই।
বিজনেস মানেজ করার জন্য অবশ্যই আপনার ডিজিটাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যাবহার করা উচিত।কারন একটি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আপনার অনেক মূল্যবান সময় সেভ করতে পারে।আর ডিজিটাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর আরও একটি সুবিধা হল এর দ্বারা হিসাব এবং আপনার বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এর সময় ভুল হবার সম্ভবনা নাই বললেই চলে।
আপনার উচিত হবে সব সময় বিজনেসের ঝুঁকি এরিয়ে চলা।কারন আপনি নতুন বিজনেস শুরু করেছেন তাই আপনার যদি বিজনেসের কোন সিদ্ধান্ত নিতে যেয়ে মনে হয় এই কাজ করলে আপনার বিজনেসের ভবিষ্যৎ ঝুকিতে পড়ার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে সেই সিদ্ধান্ত কে সেখানেই বন্ধ করে দিতে হবে।এই রকম হলে আপনি আপনার বিজনেস ম্যানেজমেন্ট টিম মেম্বারদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন।কারন নতুন বিজনেসে কোন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলে লস হবার সমূহ সম্ভবনা আছে।আর এইসব ঝুঁকি এরাতে আপনাকে সবসময় মার্কেট রিসার্চ করতে হবে।
আপনি বিজনেস শুরু করেছেন আপনার মধ্য অনেকগুল বিশেষ গুন থাকতে হবে।যেমন আপনাকে যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিথি মানিয়ে নেওয়ার মত মানুসিকতা থাকতে হবে।কারন বিজনেস করতে গেলে আপনি অনেক সময় এমন অনেক পরিস্থিথির মুখোমুখি হবেন যা একজন সাধারন মানুষের পক্ষে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব না।কিন্তু আপনি যদি একজন বিজনেস ম্যান হয়ে থাকেন তাহলে এই ব্যাপারটা আপনার ভেতর থাকতে হবে।আর মানিয়ে নিতে পারলেই আপনি বিজনেসে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
আপনি যখন বিজনেস শুরু করবেন তখন আপনার প্রোডাক্ট এর ক্রেতা বা আপনার গ্রাহক এর চাহিদা এবং পছন্দ কে সব চাইতে বেশী গুরুত্ত দিতে হবে।কারন যেকোনো বিজনেসে ক্রেতা বা গ্রাহকই প্রান।আপনার ক্রেতা যদি আপনার সেবার প্রতি সন্তুষ্ট থাকে তাহলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।তাই সবসময় চেষ্টা করবেন গ্রাহক কে সন্তুষ্ট রাখতে।
আপনি জসি আপনার বিজনেস থেকে আয় করতে পারেন তাহলে সম্পূর্ণ অর্থ আপনার নিজের জন্য খরচ না করে কিছু অর্থ আপনার বিজনেসের জন্য খরচ করা উচিত।ধীরে ধীরে আপনার ব্যাবসা কে প্রসার করার চেষ্টা করা উচিত।কারন আপনি একজন নতুন ব্যাবসায়ী তাই আপনার জন্য হুট করে অনেক অর্থ লগ্নি করা কিছুটা কষ্টকর।এবং বর্তমানে যেহেতু অনলাইনের যুগ চলছে তাই শুরু থেকেই আপনার ব্যাবেসার অনলাইন মার্কেটিং করা উচিত।
উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনার ব্যাবেসার ঝুঁকি অনেক কমে যাবে এবং আপনি খুব দ্রুত ব্যাবেসায় উন্নত লাভ করতে পারবেন এবং আপনি খুব দ্রুত একজন সফল ব্যাবসায়ী হিসাবে সকলের মাঝে পরিচিত লাভ করবেন।এখানে খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে কিছু পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে।আপনার কাছে যদি এর বাহিরে কোন আইডিয়া থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেল এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন।আপনার আইডিয়া ভালো এবং গ্রহণযোগ্য হলে তা আমরা এই পোস্ট এর সাথে সংযুক্ত করে দিব।
Leave a Reply