আপনি যদি একজন নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত হবে অনলাইন এর ঝুঁকি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা এবং কিভাবে এই সব ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন এই সম্পর্কে আপনার পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।কারন অনলাইনে এমন অনেক সাইট আছে যে ওয়েবসাইট অথবা সেবা ব্যাবহার করলে আপনার অনেক পার্সোনাল তথ্য তাঁরা নিয়ে নিতে পারে এবং পরবর্তীতে তা কোন খারাপ কাজে ব্যাবহার করতে পারে।আমরা আজকে এই আর্টিকেলে জানবো কিভাবে আমরা আমাদের পার্সোনাল তথ্য অনলাইনে সুরক্ষিত রাখতে পারি।কিভাবে নিজেদের তথ্য চুরি হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারি।আর এই সব বিষয়ে সব কিছু জানতে অবশ্যই এই আর্টিকেল খুব মন দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল লেখা শুরু করা যাক।
আমরা বর্তমানে নানা ভাবেই না চাইলেও ইন্টারনেট ব্যাবহার করছি।জীবনের নানা পর্যায়ে ইন্টারনেট আমাদের সাথে জরিয়ে গেছে।এর অনেক উপকার থাক্লেও অনেক ঝুঁকিও রয়েছে তাই আমাদের সবার সতর্কতার সহিত ইন্টারনেট ব্যাবহার করা।নিম্নক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রেখে ইন্টারনেট ব্যাবহার করলে আমরা অনেকটা ঝুঁকি মুক্ত থাকব।
আমরা অনেকেই ফ্রী ওয়াই-ফাই ব্যাবহার করতে পছন্দ করি।আপনি কি জানেন আপনার বাসার ওয়াই-ফাই এর তুলনায় পাব্লক ওয়াই-ফাই অনেক কম নিরাপদ?আর এই কারনেই আপনি যতটা সম্ভব যখন পাব্লিক ওয়াই-ফাই ব্যাবহার করবেন তখন আপনার পার্সোনাল তথ্য কম ব্যাবহার করবেন।আপনি যখন ফ্রীতে এই সব পাব্লিক ওয়াই-ফাই ব্যাবহার করছেন তখন অনলাইন বাটপাররা আপনাকে টার্গেট করে আছে আপনার পার্সোনাল তথ্য চুরি করার।সুতরাং নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আমাদের পাব্লিক ওয়াই-ফাই ব্যাবহারে সতর্ক থাকতে হবে।
জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলো তাদের ব্যাবহারকারীর অ্যাকাউন্ট/পার্সোনাল তথ্য নিরাপদ রাখার জন্য টু স্টেপ ভেরিফিকেসন চালু করেছে।কিন্তু এই ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টে লগিন করতে একটু বেশী সময় লাগে বলে আমরা অনেকেই এই সুবিধা এরিয়ে চলি।আপনি যখন আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টে এই সুবিধা চালু করবেন তখন আপনি অথবা অন্য কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে লগিন করতে গেলে আপনার মোবাইলে একটি নিরাপত্তা কোড আসবে সেই নিরাপত্তা কোড প্রবেশ করালেই কেবল আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে।এখন আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টে যদি আপনি ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করার চেষ্টাও করে থাকে সে আপনার নিরাপত্তা কোড এর কারনে লগিন করতে পারবে না।এইবার একটু ভেবে দেখেন এই সুবিধা কেন আমাদের গ্রহন করা উচিত।
আমরা অনেকেই কমন পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করে থাকি,যেমনঃ আমাদের মোবাইল নাম্বার,আমাদের জন্ম তারিখ ইত্যাদি।এখন কেউ যদি এই সব দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে তাহলে আপনার পার্সোনাল তথ্য গুলো সে খুব সহজেই পেয়ে যাবে।আবার অনেকে খুব কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করে এবং তা কোথাও লিখে রাখে মনে থাকে না বলে।সেখান থেকে কেই আপনার পাসওয়ার্ড পেলে তা ব্যাবহার করে আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টে সে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে।সুতরাং কথাও পাসওয়ার্ড লিখে রাখা যাবে না।এবং কারও সাথে কখনও পাসওয়ার্ড শেয়ার করা যাবে না।আমাদের এমন পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করতে হবে যা খুব সহজেই মনে রাখা যায় আবার আমাদের জীবনের কোন কমন বিষয়ও না।
আমরা যখন ফেসবুক বা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ব্যাবহার করি তখন অনেক অফার এর লিংক আমাদের সামনে আসে।এগুলর বেশিরভাগই মূলত অনলাইন বাটপারদের ওয়েবসাইট।একটু খেয়াল করলে দেখবেন তাদের ওয়েবসাইটে গেলে আপনাকে ফেসবুক এর ইমেইল আর পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে বলবে।আর যদি আপনি তাদের নির্দেশ মতও কাজ করেন তাহলে আপনার অজান্তেই দেখবেন আপনার তথ্য তাদের হাতে চলে গেছে।
এছারা আমাদের অনেক সময় অনেক আকর্ষণীয় প্রলভন দিয়ে কোন কিছু ডাউনলোড করতে বলা হয়।এই গুলো মূলত মালইয়ার ফাইল।যদি আপনি এই ফাইল গুলো ডাউনলোড করেন তাহলে আপনার অজান্তেই আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটারে ভাইরাস ফাইল ইন্সটল হয় এবং সেই সফটওয়্যার গুলো আপনার ডিভাইসে থাকা তথ্য সমূহ আপনার অজান্তেই অন্নত্র প্রাচার করতে থাকে।এই সব থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হলে আপনার কম্পিউটার অথবা মোবাইলে অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করে নিন।কারন বেশির ভাগ অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার যেকোনো ফাইল ডাউনলোড হবার আগে সেই ফাইল কে স্ক্যান করে নেই এবং সেই ফাইল যদি আপনার কম্পিউটার এর জন্য ক্ষতিকর হয় তবে তা ডাউনলোড করতে বাধা দেয়।
এছারা সর্বদা একটি নিয়ম মাফিক আপনার অনলাইন এর পাসওয়ার্ড গুলো পরিবর্তন করা।আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্ট সমুহে লগিন করে আপনার অ্যাকাউন্ট এর অ্যাক্টিভিটি গুলো চেক করা।কোন আনআউথরাইজড অ্যাক্টিভিটি থাকলে তা লগআউট করে দেওয়া।উপরক্ত বিষয়গুলো নজর রেখে ইন্টারনেট ব্যাবহার করলে অনলাইনে নিজেকে এবং নিজের পার্সোনাল তথ্য গুলোকে অনেকটাই নিরাপদ তথা সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
Leave a Reply